দেশে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষায় অনেকেই পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই এখনও গণপরিবহন, মেট্রোরেল, বাসস্টেশন, শপিংমলসহ জনসমাগমস্থলে মাস্ক না পরে চলাফেরা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) পর্যন্ত দেশে মোট ৫১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে মোট ২৯,৫১৮ জন মারা গেছেন। সাম্প্রতিককালে সংক্রমণ বাড়ার ফলে আবারও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
রাজধানীসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানলাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার দুই মাস পর বাংলাদেশেও সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর দেশজুড়ে লকডাউন, মাস্ক বাধ্যতামূলকসহ নানা স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা হয়। সেই সময় অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে কার্যক্রম চালানো হয়েছিল।
সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত ও বিমানবন্দরে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরপর হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে আইসিইউ সংকট দেখা দেয়। রোগী ভর্তি নিয়ে স্বজনদের ভোগান্তিও হয়।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (এনবি-১.৮.১) শনাক্ত হয়েছে, যা আগের চেয়ে দ্রুত ছড়ায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও গত ৫ জুন নতুন করে একজন মারা গেছেন, যা দেড় বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যু বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণ বাড়া রোধে জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরা আবশ্যক।
মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ওঊউঈজ) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুস্তাক হোসেন জানান, নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে। এখনই হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সচিবালয়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে পারলে জনসাধারণও তা অনুসরণ করবে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৯৫ জন, মৃত্যু ২
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। প্রতিদিন এই মশার কামড়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, আবার মারাও যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯ হাজার ৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রাজধানীতে ২১ জন। আর ১৯ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এবং ২ জন ঢাকা উত্তর সিটিতে মারা গেছেন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানা গেলেও যারা বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের আক্রান্তের সংখ্যা জানা গেলে আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, গড় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মারা গেছেন।
চলতি জুন মাসের গত ২৬ দিনে ৪ হাজার ৭২০ জন আক্রান্ত। আর জুন মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২ জন,ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৯ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব এখন রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে উপকূলীয় বরিশাল বিভাগের বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সেখানে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণের চেয়েও ৮ গুণ বেশি।
জানা গেছে, বরগুনা জেলা শহরের চেয়ে পৌর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কিছুটা কম, তবে দ্বিগুণের বেশি। কারণ হিসেবে পানির সংকটে থাকা জেলাবাসী ড্রামে ও বিভিন্ন পাত্রে দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রামের ঢাকনা বন্ধ রাখার পাশাপাশি এলাকা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বরগুনার এডিস মশার উপস্থিতি নিয়ে গত ১৬ থেকে ২২ জুন এ জরিপ করা হয়েছে। আইইডিসিআরের জরিপ টিম এ জরিপ চালিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
দেশে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নমুনা পরীক্ষায় অনেকেই পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই এখনও গণপরিবহন, মেট্রোরেল, বাসস্টেশন, শপিংমলসহ জনসমাগমস্থলে মাস্ক না পরে চলাফেরা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) পর্যন্ত দেশে মোট ৫১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে মোট ২৯,৫১৮ জন মারা গেছেন। সাম্প্রতিককালে সংক্রমণ বাড়ার ফলে আবারও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
রাজধানীসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানলাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার দুই মাস পর বাংলাদেশেও সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর দেশজুড়ে লকডাউন, মাস্ক বাধ্যতামূলকসহ নানা স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা হয়। সেই সময় অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে কার্যক্রম চালানো হয়েছিল।
সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত ও বিমানবন্দরে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরপর হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে আইসিইউ সংকট দেখা দেয়। রোগী ভর্তি নিয়ে স্বজনদের ভোগান্তিও হয়।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (এনবি-১.৮.১) শনাক্ত হয়েছে, যা আগের চেয়ে দ্রুত ছড়ায়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও গত ৫ জুন নতুন করে একজন মারা গেছেন, যা দেড় বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যু বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণ বাড়া রোধে জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরা আবশ্যক।
মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ওঊউঈজ) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুস্তাক হোসেন জানান, নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়াচ্ছে। এখনই হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সচিবালয়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে পারলে জনসাধারণও তা অনুসরণ করবে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৯৫ জন, মৃত্যু ২
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। প্রতিদিন এই মশার কামড়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, আবার মারাও যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯ হাজার ৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রাজধানীতে ২১ জন। আর ১৯ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এবং ২ জন ঢাকা উত্তর সিটিতে মারা গেছেন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানা গেলেও যারা বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের আক্রান্তের সংখ্যা জানা গেলে আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, গড় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৯৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মারা গেছেন।
চলতি জুন মাসের গত ২৬ দিনে ৪ হাজার ৭২০ জন আক্রান্ত। আর জুন মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২ জন,ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৯ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব এখন রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে উপকূলীয় বরিশাল বিভাগের বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। সেখানে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণের চেয়েও ৮ গুণ বেশি।
জানা গেছে, বরগুনা জেলা শহরের চেয়ে পৌর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কিছুটা কম, তবে দ্বিগুণের বেশি। কারণ হিসেবে পানির সংকটে থাকা জেলাবাসী ড্রামে ও বিভিন্ন পাত্রে দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রামের ঢাকনা বন্ধ রাখার পাশাপাশি এলাকা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বরগুনার এডিস মশার উপস্থিতি নিয়ে গত ১৬ থেকে ২২ জুন এ জরিপ করা হয়েছে। আইইডিসিআরের জরিপ টিম এ জরিপ চালিয়েছেন।