গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার বিডায় আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার দেখা মতে ভালো ভূমিকা পালন করেছে। তারা সফলভাবে সবাইকে সেখান থেকে সরিয়ে আনতে পেরেছে। আশা করছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
বুধবার এনসিপির সমাবেশ ঘিরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। টানা পাঁচ ঘণ্টার ওই সংঘাতে অন্তত চারজন নিহত হন। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আটকা পড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।
সহিংসতার বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, “সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা চাই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণভাবে চলুক। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়।”
পরে ফেসবুকে তিনি একটি ছবি পোস্ট করে জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে হোম মিনিস্ট্রি কাজ করছে। সঠিক উত্তর তাদের কাছেই পাবেন।”
এনসিপি নেতা নাহিদ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন— এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আসিফ মাহমুদ বলেন, “মিনিস্ট্রিকে এই প্রশ্নটা করতে হবে।”
অনেকে বলছেন, এনসিপি গোপালগঞ্জে না গেলে এই সংঘাত এড়ানো যেত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, “এটা এনসিপিকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।”
আওয়ামী লীগের পেইজ ‘টেকডাউন’ প্রসঙ্গে
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ হলেও সোশাল মিডিয়ায় তাদের পেইজ চালু রয়েছে। এসব পেইজ সরাতে সরকার পদক্ষেপ নেবে কি না— এ প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বাংলাদেশে পার্সোনাল ডেটা প্রটেকশন আইন নেই, এটিই একটি সীমাবদ্ধতা। সরকার নিজে কোনো কনটেন্ট সরাতে পারে না। আমরা বিটিআরসির মাধ্যমে মেটা, গুগলসহ প্ল্যাটফর্মগুলোকে জানিয়েছি, তবে তারা বাধ্য নয়।”
তিনি বলেন, “কোনো পেইজের বিপরীতে স্পষ্টভাবে কিছু করা হয়নি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে এরা সন্ত্রাসী সংগঠন এবং পেইজগুলো সরানোর জন্য জানানো হয়েছে। আমরা তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।”
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার বিডায় আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার দেখা মতে ভালো ভূমিকা পালন করেছে। তারা সফলভাবে সবাইকে সেখান থেকে সরিয়ে আনতে পেরেছে। আশা করছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
বুধবার এনসিপির সমাবেশ ঘিরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। টানা পাঁচ ঘণ্টার ওই সংঘাতে অন্তত চারজন নিহত হন। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আটকা পড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হতো না।
সহিংসতার বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, “সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা চাই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণভাবে চলুক। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়।”
পরে ফেসবুকে তিনি একটি ছবি পোস্ট করে জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিনি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে হোম মিনিস্ট্রি কাজ করছে। সঠিক উত্তর তাদের কাছেই পাবেন।”
এনসিপি নেতা নাহিদ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন— এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আসিফ মাহমুদ বলেন, “মিনিস্ট্রিকে এই প্রশ্নটা করতে হবে।”
অনেকে বলছেন, এনসিপি গোপালগঞ্জে না গেলে এই সংঘাত এড়ানো যেত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, “এটা এনসিপিকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।”
আওয়ামী লীগের পেইজ ‘টেকডাউন’ প্রসঙ্গে
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ হলেও সোশাল মিডিয়ায় তাদের পেইজ চালু রয়েছে। এসব পেইজ সরাতে সরকার পদক্ষেপ নেবে কি না— এ প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “বাংলাদেশে পার্সোনাল ডেটা প্রটেকশন আইন নেই, এটিই একটি সীমাবদ্ধতা। সরকার নিজে কোনো কনটেন্ট সরাতে পারে না। আমরা বিটিআরসির মাধ্যমে মেটা, গুগলসহ প্ল্যাটফর্মগুলোকে জানিয়েছি, তবে তারা বাধ্য নয়।”
তিনি বলেন, “কোনো পেইজের বিপরীতে স্পষ্টভাবে কিছু করা হয়নি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে এরা সন্ত্রাসী সংগঠন এবং পেইজগুলো সরানোর জন্য জানানো হয়েছে। আমরা তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।”