জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘সরকার রাজস্ব আয় না বাড়িয়ে এবং বেশি ঋণের মাধ্যমে বেশি ব্যয় করে ‘গণি মিয়ার’ মতো সমস্যায় পড়তে চায় না। অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে।’ মঙ্গলবার, (২৯ এপ্রিল ২০২৫) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সামষ্টিক অর্থনীতির অংশীদারত্ব ও রাজস্ব পদক্ষেপ নিয়ে যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে ইআরএফ এবং ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই।
আমরা বাজেটে ব্যয় কমিয়ে এবং আয় বাড়িয়ে কীভাবে এ আয়-ব্যয়ের দূরত্ব কমাতে পারি, সে চেষ্টা করছি
অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যাতে আমরা আমাদের ঋণের বোঝা না বাড়াই এবং পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও ঋণের এ বোঝা না বাড়ে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। ফরেন চেম্বারের পক্ষে বক্তব্য দেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “আমরা যদি বেশি পরিমাণ ঋণ করি, আমাদের খরচ যদি বড় করি এবং সেই খরচ যদি ‘গণি মিয়ার’ মতো ঋণ করে হয়, তাহলে ‘গণি মিয়া’ যে রকম সমস্যায় পড়বে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক ‘গণি মিয়া’ও একই সমস্যায় পড়বে। অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যাতে আমরা আমাদের ঋণের বোঝা না বাড়াই এবং পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও ঋণের এ বোঝা না বাড়ে।”
‘গণি মিয়া’ বাংলাদেশে খুব সাধারণ ও পরিচিত একটি নাম, যা অধিকাংশ সময় রূপক বা উপমা হিসেবে ব্যবহার হয়। ‘গণি মিয়া’ নামটি সাধারণত একজন দরিদ্র কৃষকের প্রতীক, যিনি সীমিত আয়ের মধ্যেও অতিরিক্ত খরচ করেন এবং ধারদেনা করে সেই খরচ চালান।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ‘এবারের বাজেটের আকার যেন যথাসম্ভব বাস্তবসম্মত হয়, খুব উচ্চাভিলাষী না হয় প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা সে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে আমরা বাজেটে ব্যয় কমিয়ে এবং আয় বাড়িয়ে কীভাবে এ আয়-ব্যয়ের দূরত্ব কমাতে পারি, সে চেষ্টা করছি।’
সেমিনারে পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমাদের মধ্যে যে মুগ্ধতা রয়েছে, সেটি আপাতত বাদ দিতে হবে। আপাতত ৩-৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়েও যদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো সামাল দেয়া যায়, সেটি বড় বিষয় হবে। সে ক্ষেত্রে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গেলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।’
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, ‘সরকার রাজস্ব আয় না বাড়িয়ে এবং বেশি ঋণের মাধ্যমে বেশি ব্যয় করে ‘গণি মিয়ার’ মতো সমস্যায় পড়তে চায় না। অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে।’ মঙ্গলবার, (২৯ এপ্রিল ২০২৫) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সামষ্টিক অর্থনীতির অংশীদারত্ব ও রাজস্ব পদক্ষেপ নিয়ে যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে ইআরএফ এবং ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই।
আমরা বাজেটে ব্যয় কমিয়ে এবং আয় বাড়িয়ে কীভাবে এ আয়-ব্যয়ের দূরত্ব কমাতে পারি, সে চেষ্টা করছি
অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যাতে আমরা আমাদের ঋণের বোঝা না বাড়াই এবং পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও ঋণের এ বোঝা না বাড়ে।
ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। ফরেন চেম্বারের পক্ষে বক্তব্য দেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “আমরা যদি বেশি পরিমাণ ঋণ করি, আমাদের খরচ যদি বড় করি এবং সেই খরচ যদি ‘গণি মিয়ার’ মতো ঋণ করে হয়, তাহলে ‘গণি মিয়া’ যে রকম সমস্যায় পড়বে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নামক ‘গণি মিয়া’ও একই সমস্যায় পড়বে। অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যাতে আমরা আমাদের ঋণের বোঝা না বাড়াই এবং পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও ঋণের এ বোঝা না বাড়ে।”
‘গণি মিয়া’ বাংলাদেশে খুব সাধারণ ও পরিচিত একটি নাম, যা অধিকাংশ সময় রূপক বা উপমা হিসেবে ব্যবহার হয়। ‘গণি মিয়া’ নামটি সাধারণত একজন দরিদ্র কৃষকের প্রতীক, যিনি সীমিত আয়ের মধ্যেও অতিরিক্ত খরচ করেন এবং ধারদেনা করে সেই খরচ চালান।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ‘এবারের বাজেটের আকার যেন যথাসম্ভব বাস্তবসম্মত হয়, খুব উচ্চাভিলাষী না হয় প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা সে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে আমরা বাজেটে ব্যয় কমিয়ে এবং আয় বাড়িয়ে কীভাবে এ আয়-ব্যয়ের দূরত্ব কমাতে পারি, সে চেষ্টা করছি।’
সেমিনারে পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমাদের মধ্যে যে মুগ্ধতা রয়েছে, সেটি আপাতত বাদ দিতে হবে। আপাতত ৩-৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়েও যদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো সামাল দেয়া যায়, সেটি বড় বিষয় হবে। সে ক্ষেত্রে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গেলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।’