খ্যাতিমান কলাম লেখক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদরা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শোকবার্তায় বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যু আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এসময় রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও পৃথক বার্তায় তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানান।
তথ্যমন্ত্রী শোক বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ, কলাম ও পাশাপাশি তার কাব্যচর্চা আমাদের যেভাবে সমৃদ্ধ করেছে, তা কালজয়ী।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থ ও প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন । তার অবদান দেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ তার অসামান্য কর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তার শোকবার্তায় বলেন, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের বিশ্লেষণধর্মী লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ তার কর্মের মাঝে দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এছাড়া শোক প্রকাশ করে বাণী দিয়েছেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
শোক প্রকাশ করে বাণী দিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সহজাত লেখনীর মাধ্যমে যেমনি আমাদের সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি তার বিশ্লেষণী চিন্তা-চেতনায় প্রতিভাসিত হয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের জীবনের নানাদিক। তার সৃজনশীল ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি প্রজন্মের আলোর দিশারী হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীকে হারালো। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকবেন।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এক শোক বার্তায় বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী। তিনি রাষ্ট্র, রাজনীতি, সাহিত্য এবং বিভিন্ন ইস্যুতে গবেষণায় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।
একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, বাংলা একাডেমি পুরুষ্কারপ্রাপ্ত সৈয়দ আবুল মকসুদ বর্ণাঢ্য কর্মময়জীবনে সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে লেখালেখি করতেন। তিনি সাবলীল, বিশ্লেষণধর্মী লেখার মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার শোকবার্তায় মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান এবং সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তার মৃত্যুতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সমাজ প্রগতির আন্দোলনের যে ক্ষতি হলো, তা আর পূরণ হবে না। আমরা প্রয়াত প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আবুল মকসুদ (৭৪)। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
স্কয়ার হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্ক কর্মকর্তা মারিয়া সরকার জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আবুল মকসুদকে ধানমন্ডির বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তিনি পথেই মারা গেছেন।
১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের এলাচিপুরে সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া আবুল মকসুদ ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। পরে তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন।
বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
খ্যাতিমান কলাম লেখক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদরা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শোকবার্তায় বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যু আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এসময় রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও পৃথক বার্তায় তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানান।
তথ্যমন্ত্রী শোক বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ, কলাম ও পাশাপাশি তার কাব্যচর্চা আমাদের যেভাবে সমৃদ্ধ করেছে, তা কালজয়ী।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থ ও প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন । তার অবদান দেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ তার অসামান্য কর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তার শোকবার্তায় বলেন, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের বিশ্লেষণধর্মী লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ তার কর্মের মাঝে দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
এছাড়া শোক প্রকাশ করে বাণী দিয়েছেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শোক প্রকাশ করেছেন।
শোক প্রকাশ করে বাণী দিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সহজাত লেখনীর মাধ্যমে যেমনি আমাদের সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি তার বিশ্লেষণী চিন্তা-চেতনায় প্রতিভাসিত হয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের জীবনের নানাদিক। তার সৃজনশীল ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি প্রজন্মের আলোর দিশারী হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীকে হারালো। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকবেন।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এক শোক বার্তায় বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী। তিনি রাষ্ট্র, রাজনীতি, সাহিত্য এবং বিভিন্ন ইস্যুতে গবেষণায় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।
একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এদিকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, বাংলা একাডেমি পুরুষ্কারপ্রাপ্ত সৈয়দ আবুল মকসুদ বর্ণাঢ্য কর্মময়জীবনে সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে লেখালেখি করতেন। তিনি সাবলীল, বিশ্লেষণধর্মী লেখার মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার শোকবার্তায় মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান এবং সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘তার মৃত্যুতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সমাজ প্রগতির আন্দোলনের যে ক্ষতি হলো, তা আর পূরণ হবে না। আমরা প্রয়াত প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আবুল মকসুদ (৭৪)। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
স্কয়ার হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্ক কর্মকর্তা মারিয়া সরকার জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আবুল মকসুদকে ধানমন্ডির বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তিনি পথেই মারা গেছেন।
১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের এলাচিপুরে সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া আবুল মকসুদ ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন। পরে তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন।