বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে তার বক্তব্য কয়েকটি গণমাধ্যমে বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে, বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার অভিযোগ, “আমার দেয়া বক্তব্যকে কাটপিস করা হয়েছে।“
আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আমি গতকাল ইলিয়াস আলীর গুমের বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলাম। আমি বক্তব্য রাখার পর ১ ঘণ্টা সময়ও লাগেনি বিভিন্ন মিডিয়া ফোন করেছে। আমি কি এ কথা বলেছি কিনা, ওই কথা বলেছি কিনা। আমি তো বুঝতেই পারলাম না যে আমি এমন কী কথা বললাম?“
শনিবার এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস ইলিয়াস আলীর ‘গুমের’ সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা সরকার জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেন। ‘গুমের’ পেছনে নিজ দলের কারো সংশ্লিষ্টতারও তিনি ইঙ্গিত দেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহাখালি এলাকা থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তাঁকে সরকারই ‘গুম’ করেছে।
কারো নাম উল্লেখ না করে শনিবারের ঐ সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, “ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয় মারাত্মক রকমের। ইলিয়াস তাদের খুব গালিগালাজ করেছিল। সেই যে পেছন থেকে দংশন করা সাপগুলো আমাদের দলে এখনো রয়ে গেছে।”
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, “যদি এদেরকে দল থেকে বিতাড়িত না করেন, তাহলে কোনো পরিস্থিতিতেই দল সামনে এগুতে পারবে না।”
“আমি জানি, বাংলাদেশ সরকার বা আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াসকে গুম করে নাই। কিন্তু গুমটা করলো কে? এই সরকারের কাছে আমি এটা জানতে চাই,” শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বলেন মির্জা আব্বাস। সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী–ঢাকার উদ্যোগে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, “একজন জলজ্যান্ত তাজা রাজনৈতিক নেতা গুম হয়ে গেলো দেশের অভ্যন্তর থেকে, আমাদের একজন নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেল, আমাদের চৌধুরী আলমকে গুম করে দেয়া হলো, আমাদের কত ছেলেকে গুম করে দেয়া হলো-আমি বুঝলাম এই সরকার করে না। করলো কারা? আমি বলতে চাই, যারা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা চায় না, তারা এদেশটাকে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব থাকতে দেবে না।“
তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উল্লেখ করে আজ রোববার বিএনপির এ নেতা বলেন, “সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াসকে গুম করেনি- এ কথা আমি বলিনি। আমার কথাকে বিকৃত করে পেঁচিয়ে লেখা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি নেতারাই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে বলেও আমার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। আমি বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হয়ে এ কথা কি বলা সম্ভব? অর্থাৎ নিজের মাথায় নিজেই বোম ফাটানোর ব্যবস্থা। অর্থাৎ, এটাকেও বিকৃত করা হয়েছে।“
মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এসব কেন করা হলো আমি জানি না। আমার সহজ সরল বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে।“
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে, মালিকদের স্বাধীনতা আছে। অবস্থাটা দাঁড়াল, বিএনপির বিরুদ্ধে যা খুশি লিখতে পারবে কিন্তু আওয়ামী লীগের বিপক্ষে একটা কথাও বলা যাবে না।“
নিজের সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় আব্বাস বলেন, “আমি এমন কোনো কথা বলিনি, যাতে দেশের কাছে, জাতির কাছে, দলের কাছে আমার বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। আমার বক্তব্যকে অনেকে হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি। আমার বক্তব্যকে যে যার মতো মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখেছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এজন্য আমি বা আমার দল দায়-দায়িত্ব বহন করি না। আমি যা বলেছি, আমার সংগঠনের ভালোর জন্য বলেছি। আমি যা বলেছি, ইলিয়াসকে স্মরণ করেই বলেছি। আমার বক্তব্যে আমি যা বলেছিলাম, আশা করি আজ তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।“
রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে তার বক্তব্য কয়েকটি গণমাধ্যমে বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে, বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তার অভিযোগ, “আমার দেয়া বক্তব্যকে কাটপিস করা হয়েছে।“
আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “আমি গতকাল ইলিয়াস আলীর গুমের বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলাম। আমি বক্তব্য রাখার পর ১ ঘণ্টা সময়ও লাগেনি বিভিন্ন মিডিয়া ফোন করেছে। আমি কি এ কথা বলেছি কিনা, ওই কথা বলেছি কিনা। আমি তো বুঝতেই পারলাম না যে আমি এমন কী কথা বললাম?“
শনিবার এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস ইলিয়াস আলীর ‘গুমের’ সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা সরকার জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেন। ‘গুমের’ পেছনে নিজ দলের কারো সংশ্লিষ্টতারও তিনি ইঙ্গিত দেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহাখালি এলাকা থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তাঁকে সরকারই ‘গুম’ করেছে।
কারো নাম উল্লেখ না করে শনিবারের ঐ সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, “ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয় মারাত্মক রকমের। ইলিয়াস তাদের খুব গালিগালাজ করেছিল। সেই যে পেছন থেকে দংশন করা সাপগুলো আমাদের দলে এখনো রয়ে গেছে।”
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, “যদি এদেরকে দল থেকে বিতাড়িত না করেন, তাহলে কোনো পরিস্থিতিতেই দল সামনে এগুতে পারবে না।”
“আমি জানি, বাংলাদেশ সরকার বা আওয়ামী লীগ সরকার ইলিয়াসকে গুম করে নাই। কিন্তু গুমটা করলো কে? এই সরকারের কাছে আমি এটা জানতে চাই,” শনিবার এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বলেন মির্জা আব্বাস। সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী–ঢাকার উদ্যোগে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, “একজন জলজ্যান্ত তাজা রাজনৈতিক নেতা গুম হয়ে গেলো দেশের অভ্যন্তর থেকে, আমাদের একজন নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে গেল, আমাদের চৌধুরী আলমকে গুম করে দেয়া হলো, আমাদের কত ছেলেকে গুম করে দেয়া হলো-আমি বুঝলাম এই সরকার করে না। করলো কারা? আমি বলতে চাই, যারা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা চায় না, তারা এদেশটাকে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব থাকতে দেবে না।“
তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উল্লেখ করে আজ রোববার বিএনপির এ নেতা বলেন, “সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াসকে গুম করেনি- এ কথা আমি বলিনি। আমার কথাকে বিকৃত করে পেঁচিয়ে লেখা হয়েছে। এছাড়া বিএনপি নেতারাই ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে বলেও আমার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। আমি বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হয়ে এ কথা কি বলা সম্ভব? অর্থাৎ নিজের মাথায় নিজেই বোম ফাটানোর ব্যবস্থা। অর্থাৎ, এটাকেও বিকৃত করা হয়েছে।“
মির্জা আব্বাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে এসব কেন করা হলো আমি জানি না। আমার সহজ সরল বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে।“
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আছে, মালিকদের স্বাধীনতা আছে। অবস্থাটা দাঁড়াল, বিএনপির বিরুদ্ধে যা খুশি লিখতে পারবে কিন্তু আওয়ামী লীগের বিপক্ষে একটা কথাও বলা যাবে না।“
নিজের সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় আব্বাস বলেন, “আমি এমন কোনো কথা বলিনি, যাতে দেশের কাছে, জাতির কাছে, দলের কাছে আমার বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। আমার বক্তব্যকে অনেকে হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি। আমার বক্তব্যকে যে যার মতো মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখেছে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এজন্য আমি বা আমার দল দায়-দায়িত্ব বহন করি না। আমি যা বলেছি, আমার সংগঠনের ভালোর জন্য বলেছি। আমি যা বলেছি, ইলিয়াসকে স্মরণ করেই বলেছি। আমার বক্তব্যে আমি যা বলেছিলাম, আশা করি আজ তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।“