সংক্রমণ ৯ শতাংশের নিচে
দেশে করোনা শনাক্তের হার এবার ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত একদিনে দেশে করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; এই সময়ে এক হাজার ৭৩৯ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে করোনার ভারতীয় ‘স্ট্রেইন’ (প্রজাতি বা ধরন) দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কিনা- সেটি জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৬৪৪ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া রোগীদের নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত মার্চের শুরুতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল গত ১৬ এপ্রিল। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর থেকে শনাক্তের হার নিয়মিত কমেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত একদিনে শনাক্তের হার ছিল সবচেয়ে কম। এদিকে ভারতে ছড়িয়ে পড়া ‘অধিকতর সংক্রামক ও প্রাণঘাতী’ করোনাভাইরাসের ভারতীয় স্ট্রেইন দেশে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে কিনা সেটাও দেশে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গতকাল দুপুরে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে এসেছে কিনা, এটি হয়তো আমরা আরও কিছু দিন পরে বলতে পারব।’
অনেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের পজেটিভ পাচ্ছি তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হচ্ছে আর জিনোম সিকোয়েন্সের একটু সময় লাগে। তবে রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই সে তথ্য জানানো হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত একদিনে সরকারি ও বেসরকারি ৪২০টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৪৫২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জনে। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন ও নারী ২৩ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১১ হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৪৭৬ জন এবং নারী তিন হাজার ১৬৮ জন। গত একদিনে মৃত্যু হওয়া রোগীর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন ও পাঁচজন বাসায় মারা যান।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, আট জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিন জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
বিভাগভিত্তিক তথ্যে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রামে ১৭ জন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় চারজন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে ছয়জন ও রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
সংক্রমণ ৯ শতাংশের নিচে
মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১
দেশে করোনা শনাক্তের হার এবার ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত একদিনে দেশে করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; এই সময়ে এক হাজার ৭৩৯ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে করোনার ভারতীয় ‘স্ট্রেইন’ (প্রজাতি বা ধরন) দেশে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কিনা- সেটি জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৬৪৪ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া রোগীদের নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত মার্চের শুরুতে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল গত ১৬ এপ্রিল। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর থেকে শনাক্তের হার নিয়মিত কমেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত একদিনে শনাক্তের হার ছিল সবচেয়ে কম। এদিকে ভারতে ছড়িয়ে পড়া ‘অধিকতর সংক্রামক ও প্রাণঘাতী’ করোনাভাইরাসের ভারতীয় স্ট্রেইন দেশে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে কিনা সেটাও দেশে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গতকাল দুপুরে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর ভারতীয় স্ট্রেইন বাংলাদেশে এসেছে কিনা, এটি হয়তো আমরা আরও কিছু দিন পরে বলতে পারব।’
অনেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের পজেটিভ পাচ্ছি তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হচ্ছে আর জিনোম সিকোয়েন্সের একটু সময় লাগে। তবে রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই সে তথ্য জানানো হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত একদিনে সরকারি ও বেসরকারি ৪২০টি ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজার ৪৫২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৯ হাজার ৪৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জনে। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন ও নারী ২৩ জন। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া ১১ হাজার ৬৪৪ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৪৭৬ জন এবং নারী তিন হাজার ১৬৮ জন। গত একদিনে মৃত্যু হওয়া রোগীর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন ও পাঁচজন বাসায় মারা যান।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, আট জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তিন জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
বিভাগভিত্তিক তথ্যে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রামে ১৭ জন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় চারজন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে ছয়জন ও রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।