alt

জাতীয়

লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে বেড়েছে মানুষ ও যান চলাচল

শাফিউল ইমরান : বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করছে, অন্যদিকে দিন যত যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ ততই শিথিল হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী মানুষ এবং যানবাহনের চাপ। গণপরিবহন না চললেও সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট সব ধরনের যানবাহনই আস্তে আস্তে রাস্তায় বের হয়ে আসছে। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ভেতরে পুলিশের চেকপোস্টগুলো এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা।

লকডাউনের কারণে প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের ভীড় কম থাকলেও ব্যাক্তিগত গাড়ী বেশী। আবার অলিগলিতে ব্যাক্তিগত যানবহন কম দেখা গেলেও মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ সকালের নাস্তা করতে। আবার কেউবা বের হয়েছেন হাঁটতে। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষকরে গলিতে গলিতে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা থেমে নেই। মোহাম্মদপুরের এক চা-দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ দুইবার টহলে আসে তখন দোকানের ঝাপ বন্ধ রেখে দেই। কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে আজ বুধবার সকাল থেকে সব সড়কে যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়েছে। নানা প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, বেশকিছু সরকারি এবং স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়েছেন।

বনানীতে একটি বেসরকারী অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান সজীব বলেন, অফিস চালূ থাকার কারণে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই অফিসে যেতে হয়। যেহেতু অফিসে যেতে হয় সেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সুফল মিলছে না। মতিঝিলে কাজ করা এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, এখানকার প্রায় ৯০শতাংশ অফিস খোলা। অফিস যেহেতু খোলা তাই বিধিনিষেধের মধ্যেই আসতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ দেখলে মানুষ একটু সর্তক হলেও বাজারের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে কেউ যেমন স্বাস্থ্যবিধী মানছেনা তেমনি অবাধে চলাচল করছে। বিক্রেতাদের কারো মুখে মাস্ক নেই। দুই এক জনের থাকলেও সেটা গালায় ঝোলানো বা থুতনীতে আটকানো। শ্যামলীতে রিকশাচালক আরিফ বলেন, ‘আজ রাস্তায় মানুষ বেশি। অন্যদিরে চেয়ে ভাড়া বেশি পাইচি। কিন্ত অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় রিক্সাও বেশি।

গণ পরিবহণে যাতায়াত কারা যাত্রীদের মধ্যে আক্ষেপও দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশের কোনো বাধা নেই। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা না করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কষ্টে পড়ে মানুষগুলো সড়কে নামছে।

রাজধানীর শ্যামলি, কলেজগেট, ধানমন্ডি, পাস্থপথ, শাহবাগ, কাওরানবাজার বাংলামটর, ইন্দিরা রোডসহ নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। রাস্তায় যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানের চেকপোস্টগুলোতেও শিথিলতা লক্ষ করা গেছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে অবস্থান নিলেও সব যানবাহন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ দেখা যায়নি।

শ্যামলীতে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ সকাল ৮টার পর থেকে সড়কে গাড়ির ভিড় বাড়তে থাকে। সবাই কোন না কোন হাসপাতাল বা রোগীর সাথে যোগাযোগ করার কথা বললেও তারা ব্যাক্তিগত কাজের বাহিরে বের হচ্ছে। আমরা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছি।

গণভবন এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আতিক মাহমুদ সংবাদকে বলেন, আমরা অনান্য সময়ের চেয়ে বেশি এক্টিভলি কাজ করছি। তবুও সামলাতে হিমসিম খাচ্ছি। রাস্তায় বের হওয়া মানুষের নানান অভিযোগ। বেশিরভাগ সাধারণ যাত্রী হাসপাতালে যাবার কথা বলেন, কেউবা নিজেরা অসুস্থ বলে চেক পোষ্ট অতিক্রম করতে চায়।তাদের তো না ছেড়ে পারিনা।

তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেরাও সাধ্যমাত বোঝানোর চেষ্টা করছি মানুষদের তারা যেন অকারণে বের না হন। যতক্ষণ না মানুষ নিজেরা সচেতন না হয় ততদিন লকডাউন আইন দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভবনা।

সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।

বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: রাষ্ট্রদূত

ছবি

সাবেক এমপি ও ক্রিকেট অধিনায়ক দুর্জয় গ্রেপ্তার

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জামিন নামঞ্জুর

‘দুর্নীতি করতে বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া জটিল করা হয়’

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ৪১৬ জন

ভুয়া তথ্য ঠেকাতে জাতিসংঘের উদ্যোগ চান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

দালাই লামা জানালেন, পুরনো নিয়ম মেনে উত্তরসূরি ঠিক করবে ট্রাস্ট

ছবি

কন্যা-বাবা সহপাঠী, একই সঙ্গে দিচ্ছেন এইচএসসি

ছবি

পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মহাসড়ক অবরোধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

এলপি গ্যাস: ১২ কেজি সিলিন্ডারে দাম কমলো ৩৯ টাকা

‘ভবিষ্যতে এনআইডি সেবা নিয়ে কোনো হয়রানির অভিযোগ থাকবে না’

৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবসে’ সাধারণ ছুটি

ছবি

গত পাঁচ সপ্তাহে খাবারের জন্য অপেক্ষারত ৬০০-র বেশি প্যালেস্টাইনিকে হত্যা

এবার এনবিআরের তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে অবসরে পাঠালো সরকার

৫ লাখ রিয়াল ছিনতাই: অর্ধেক উদ্ধার করে পুলিশ বলছে ঘটনা ‘পরিকল্পিত’

এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনে বড় ধরনের ঝামেলায় পড়েছিল সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

সংসদ নির্বাচনে ইসিকে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান

সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ‘ঐকমত্য হয়েছে’: আলী রীয়াজ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে নৌবাহিনী, এরপর বিবেচনায় ডিপি ওয়ার্ল্ড

ছবি

আদালত অবমাননা: শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড

ছবি

জুলাইয়ের তিনটি দিনকে বিশেষ দিবস ঘোষণা করল অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

আদালত অবমাননায় পলাতক শেখ হাসিনার ৬ মাস কারাদণ্ড

ছবি

জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে সমঝোতায় পৌঁছার আশা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের: আলী রীয়াজ

ছবি

আমরা জোর করে আসিনি, উড়ে এসেও বসিনি: সিইসি

ছবি

সংসদে প্রতিনিধিত্ব চায় জুলাই শহীদ পরিবার

ছবি

জুলাই শহীদদের তালিকায় যুক্ত হলো আরও ১০ জন

আগামী ছয় মাস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে নিউমুরিং টার্মিনাল: অর্থ উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠতা যোগদানের তারিখ থেকে, রুল হাইকোর্টের

মগবাজারে হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু

ডেঙ্গু: আরও ৩৮৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১

আদালতে সাবেক সিইসি নূরুল হুদার ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি

ছবি

বারোমাসিয়া নদীর ভাঙা সাঁকোয় বারোমাসই দুঃখ

ছবি

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিচার শুরু আগামী ৩ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মুরাদনগরে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ১৫ সদস্যের দল

ছবি

ইস্টার্ন রিফাইনারিতে গত অর্থবছরে তেল শোধন ১৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন

ছবি

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

tab

জাতীয়

লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে বেড়েছে মানুষ ও যান চলাচল

শাফিউল ইমরান

বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড করছে, অন্যদিকে দিন যত যাচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ ততই শিথিল হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী মানুষ এবং যানবাহনের চাপ। গণপরিবহন না চললেও সিএনজি অটোরিকশাসহ ছোট ছোট সব ধরনের যানবাহনই আস্তে আস্তে রাস্তায় বের হয়ে আসছে। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ভেতরে পুলিশের চেকপোস্টগুলো এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা।

লকডাউনের কারণে প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের ভীড় কম থাকলেও ব্যাক্তিগত গাড়ী বেশী। আবার অলিগলিতে ব্যাক্তিগত যানবহন কম দেখা গেলেও মানুষের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তাদের কেউ বের হয়েছেন বাজার করতে, কেউ সকালের নাস্তা করতে। আবার কেউবা বের হয়েছেন হাঁটতে। গলির কিছু কিছু দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বিক্রি চলছে। ছোট কয়েকটি হোটেলে বসে খাওয়ার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষকরে গলিতে গলিতে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা থেমে নেই। মোহাম্মদপুরের এক চা-দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশ দুইবার টহলে আসে তখন দোকানের ঝাপ বন্ধ রেখে দেই। কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনে আজ বুধবার সকাল থেকে সব সড়কে যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়েছে। নানা প্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, বেশকিছু সরকারি এবং স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়েছেন।

বনানীতে একটি বেসরকারী অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান সজীব বলেন, অফিস চালূ থাকার কারণে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই অফিসে যেতে হয়। যেহেতু অফিসে যেতে হয় সেহেতু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সুফল মিলছে না। মতিঝিলে কাজ করা এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, এখানকার প্রায় ৯০শতাংশ অফিস খোলা। অফিস যেহেতু খোলা তাই বিধিনিষেধের মধ্যেই আসতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ দেখলে মানুষ একটু সর্তক হলেও বাজারের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে কেউ যেমন স্বাস্থ্যবিধী মানছেনা তেমনি অবাধে চলাচল করছে। বিক্রেতাদের কারো মুখে মাস্ক নেই। দুই এক জনের থাকলেও সেটা গালায় ঝোলানো বা থুতনীতে আটকানো। শ্যামলীতে রিকশাচালক আরিফ বলেন, ‘আজ রাস্তায় মানুষ বেশি। অন্যদিরে চেয়ে ভাড়া বেশি পাইচি। কিন্ত অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় রিক্সাও বেশি।

গণ পরিবহণে যাতায়াত কারা যাত্রীদের মধ্যে আক্ষেপও দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশের কোনো বাধা নেই। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা না করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কষ্টে পড়ে মানুষগুলো সড়কে নামছে।

রাজধানীর শ্যামলি, কলেজগেট, ধানমন্ডি, পাস্থপথ, শাহবাগ, কাওরানবাজার বাংলামটর, ইন্দিরা রোডসহ নগরীর প্রতিটি প্রতিটি পয়েন্টেই দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। রাস্তায় যানবাহন এবং মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানের চেকপোস্টগুলোতেও শিথিলতা লক্ষ করা গেছে। কারওয়ান বাজার এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে অবস্থান নিলেও সব যানবাহন এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ দেখা যায়নি।

শ্যামলীতে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ সকাল ৮টার পর থেকে সড়কে গাড়ির ভিড় বাড়তে থাকে। সবাই কোন না কোন হাসপাতাল বা রোগীর সাথে যোগাযোগ করার কথা বললেও তারা ব্যাক্তিগত কাজের বাহিরে বের হচ্ছে। আমরা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছি।

গণভবন এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আতিক মাহমুদ সংবাদকে বলেন, আমরা অনান্য সময়ের চেয়ে বেশি এক্টিভলি কাজ করছি। তবুও সামলাতে হিমসিম খাচ্ছি। রাস্তায় বের হওয়া মানুষের নানান অভিযোগ। বেশিরভাগ সাধারণ যাত্রী হাসপাতালে যাবার কথা বলেন, কেউবা নিজেরা অসুস্থ বলে চেক পোষ্ট অতিক্রম করতে চায়।তাদের তো না ছেড়ে পারিনা।

তিনি আরো বলেন, আমরা নিজেরাও সাধ্যমাত বোঝানোর চেষ্টা করছি মানুষদের তারা যেন অকারণে বের না হন। যতক্ষণ না মানুষ নিজেরা সচেতন না হয় ততদিন লকডাউন আইন দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভবনা।

সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার।

বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

back to top