রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এনপিপি) পরিচালনায় নিজস্ব প্রকৌশলী ও জনবল তৈরি একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সঠিকভাবে পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবল তৈরীতে বাংলাদেশকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম, বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন (বিএইসি) এবং রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রুশ ঠিকাদার এটোমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে এএসই’র যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ গনচারোভা নাতালিয়া ‘ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে তাই এ খাতের প্রকৌশলীদের জ্ঞান ও দক্ষতা চর্চার সুযোগও বাড়ছে।
রোসাটমের অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান বিশেষজ্ঞ ফোকিন কনস্তান্তিনতা বলেন, রোসাটম বিশ্বের বিভিন্ন পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষ জনবল তৈরি করছে। সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি আছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা প্রশিক্ষণের এবং শিক্ষার্থীরা এনপিপি বিষয়ে রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
বিএইসির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর (পারমাণবিক চুল্লি) পরিচালনায় ঝুঁকি রয়েছে। ফুয়েল রড বদল ও পর্যবেক্ষণে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা জরুরি। প্রতিটি রিঅ্যাক্টরের জন্য অন্তত পাঁচশ প্রকৌশলী দরকার হবে। এই জনবল তৈরীতে বাংলাদেশকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ পেতে বিশ্বের অনেক দেশ এখন পারমণাবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর পরিবেশবান্ধব, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে রূপপুর হবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর আদর্শ।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, বিএইসির সদস্য (জীববিজ্ঞান) অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল প্রমুখ। বিএইসি সূত্র জানায়, পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর প্রকল্পে বর্তমানে ১৪৮ টি রুশ প্রতিষ্ঠান ও ২২টি সংস্থার বিশ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছে। প্রকল্পে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নজরদারি করছে।
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এনপিপি) পরিচালনায় নিজস্ব প্রকৌশলী ও জনবল তৈরি একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সঠিকভাবে পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবল তৈরীতে বাংলাদেশকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম, বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন (বিএইসি) এবং রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রুশ ঠিকাদার এটোমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে এএসই’র যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ গনচারোভা নাতালিয়া ‘ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে টেকসই উন্নয়ন’ বিষয়ক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে তাই এ খাতের প্রকৌশলীদের জ্ঞান ও দক্ষতা চর্চার সুযোগও বাড়ছে।
রোসাটমের অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান বিশেষজ্ঞ ফোকিন কনস্তান্তিনতা বলেন, রোসাটম বিশ্বের বিভিন্ন পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ক দক্ষ জনবল তৈরি করছে। সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি আছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা প্রশিক্ষণের এবং শিক্ষার্থীরা এনপিপি বিষয়ে রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
বিএইসির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর (পারমাণবিক চুল্লি) পরিচালনায় ঝুঁকি রয়েছে। ফুয়েল রড বদল ও পর্যবেক্ষণে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা জরুরি। প্রতিটি রিঅ্যাক্টরের জন্য অন্তত পাঁচশ প্রকৌশলী দরকার হবে। এই জনবল তৈরীতে বাংলাদেশকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ পেতে বিশ্বের অনেক দেশ এখন পারমণাবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর পরিবেশবান্ধব, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে রূপপুর হবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর আদর্শ।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, বিএইসির সদস্য (জীববিজ্ঞান) অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল প্রমুখ। বিএইসি সূত্র জানায়, পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর প্রকল্পে বর্তমানে ১৪৮ টি রুশ প্রতিষ্ঠান ও ২২টি সংস্থার বিশ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছে। প্রকল্পে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নজরদারি করছে।