আক্রান্ত ৫৬ লাখ
সুস্থ ২৪ লাখ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে শুরু হওয়া করোনার সংক্রমণ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৮৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৬ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ লাখ ৮১ হাজার ২৮০ জন মানুষ। এখনো কার্যকর কোন প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানীসহ বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটির সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইট থেকে মঙ্গলবার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১২টায় সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক ও ভারত। মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেন।
সংক্রমণ তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ইরান। ১২ থেকে ১৫ নম্বর অবস্থানে আছে যথাক্রমে পেরু, কানাডা, চায়না ও সৌদি আরব। পাকিস্তান আছে সংক্রমণ তালিকার ১৮ নম্বরে এবং ২৪ নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্র: করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোরই শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৬ হাজার ২২৬ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৯৯ হাজার ৮০৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬৭০ জন মানুষ।
ব্রাজিল: ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৫২২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৩ জন মানুষ।
রাশিয়া: রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৭ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ জন মানুষ।
স্পেন: স্পেনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৮০ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৩৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৮ জন মানুষ।
যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন): যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ১৮৪ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ৯১৪ জনের। দেশটি সরকারিভাবে সুস্থতার কোন পরিসংখ্যান দেয়নি।
ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানী, তুরস্ক, ইরান: ইতালিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৩০ হাজার ১৫৮, মৃত্যু ৩২ হাজার ৮৮৭; ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৪২, মৃত্যু ২৮ হাজার ৪২৩; জার্মানীতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৮৯, মৃত্যু ৮ হাজার ৪২৮; তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৮, মৃত্যু ৪ হাজার ৩৬৯ এবং সংক্রমণ তালিকার ১০ নম্বরে থাকা ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৬ জন মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৭২ জনের, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ হাজার ৭০৬ জন মানুষ।
চীন: করোনার উৎসস্থল চীন চলে এসেছে সংক্রমণ তালিকার ১৪ নম্বরে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯৯২ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮ হাজার ২৭৭ জন মানুষ।
পাকিস্তান: সংক্রমণ তালিকার ১৮ নম্বরে থাকা পাকিস্তানে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭০৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৯৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ হাজার ৩১৪ জন মানুষ।
বাংলাদেশ: সংক্রমণ তালিকার ২৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫০১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ৩৩৪ জন মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণকে পার্ল হারবার এবং টুইন টাওয়ারে হামলার চেয়েও মারাত্মক বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প ও তার মিত্ররা করোনা মাহামারীর জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করছে। তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এদিকে শুরুতে বিপাকে পড়লেও প্রায় সাড়ে চার মাসে প্রাদুর্ভাব অনেকটাই সামলে উঠেছে করোনার উৎসস্থল চীন। যদিও নতুন করে হারবিন শহরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নভেল (নতুন) করোনাভাইরাসের উৎস চীনের গবেষণাগার নাকি প্রাকৃতিকভাবেই এর উৎপত্তি; বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে একজোট হওয়া একশ’রও বেশী দেশের জোরালো দাবির মুখে তাতে সম্মত হয়েছে চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এ ধরণের তদন্ত অবশ্যই ‘বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে’ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই তদন্তে বৈজ্ঞানিক এবং পেশাদার মনোভাব থাকা দরকার। তদন্তটি বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার নেতৃত্বে হওয়া প্রয়োজন।
আক্রান্ত ৫৬ লাখ
সুস্থ ২৪ লাখ
মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহানে শুরু হওয়া করোনার সংক্রমণ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৮৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৬ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৩ লাখ ৮১ হাজার ২৮০ জন মানুষ। এখনো কার্যকর কোন প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানীসহ বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটির সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইট থেকে মঙ্গলবার (২৬ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১২টায় সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক ও ভারত। মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেন।
সংক্রমণ তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ইরান। ১২ থেকে ১৫ নম্বর অবস্থানে আছে যথাক্রমে পেরু, কানাডা, চায়না ও সৌদি আরব। পাকিস্তান আছে সংক্রমণ তালিকার ১৮ নম্বরে এবং ২৪ নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্র: করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোরই শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৬ হাজার ২২৬ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৯৯ হাজার ৮০৫ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬৭০ জন মানুষ।
ব্রাজিল: ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৯ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৫২২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৩৩ জন মানুষ।
রাশিয়া: রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৭ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৩ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ জন মানুষ।
স্পেন: স্পেনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৪৮০ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৮৩৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৮ জন মানুষ।
যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন): যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ১৮৪ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ৯১৪ জনের। দেশটি সরকারিভাবে সুস্থতার কোন পরিসংখ্যান দেয়নি।
ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানী, তুরস্ক, ইরান: ইতালিতে মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৩০ হাজার ১৫৮, মৃত্যু ৩২ হাজার ৮৮৭; ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৪২, মৃত্যু ২৮ হাজার ৪২৩; জার্মানীতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৮৯, মৃত্যু ৮ হাজার ৪২৮; তুরস্কে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৮, মৃত্যু ৪ হাজার ৩৬৯ এবং সংক্রমণ তালিকার ১০ নম্বরে থাকা ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৬ জন মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৭২ জনের, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ হাজার ৭০৬ জন মানুষ।
চীন: করোনার উৎসস্থল চীন চলে এসেছে সংক্রমণ তালিকার ১৪ নম্বরে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯৯২ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮ হাজার ২৭৭ জন মানুষ।
পাকিস্তান: সংক্রমণ তালিকার ১৮ নম্বরে থাকা পাকিস্তানে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭০৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৯৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ হাজার ৩১৪ জন মানুষ।
বাংলাদেশ: সংক্রমণ তালিকার ২৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৮৫ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫০১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ৩৩৪ জন মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণকে পার্ল হারবার এবং টুইন টাওয়ারে হামলার চেয়েও মারাত্মক বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প ও তার মিত্ররা করোনা মাহামারীর জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করছে। তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এদিকে শুরুতে বিপাকে পড়লেও প্রায় সাড়ে চার মাসে প্রাদুর্ভাব অনেকটাই সামলে উঠেছে করোনার উৎসস্থল চীন। যদিও নতুন করে হারবিন শহরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নভেল (নতুন) করোনাভাইরাসের উৎস চীনের গবেষণাগার নাকি প্রাকৃতিকভাবেই এর উৎপত্তি; বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানে একজোট হওয়া একশ’রও বেশী দেশের জোরালো দাবির মুখে তাতে সম্মত হয়েছে চীন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এ ধরণের তদন্ত অবশ্যই ‘বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষভাবে’ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই তদন্তে বৈজ্ঞানিক এবং পেশাদার মনোভাব থাকা দরকার। তদন্তটি বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার নেতৃত্বে হওয়া প্রয়োজন।