কম খরচে ডিআরআইসিএমের মানসম্পন্ন কিট
বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশে করোনা শনাক্তের ৫ হাজার কিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্টের নমুনা সংগ্রহের জন্য অল্প খরচে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের ডিটিএম কিট তৈরি করেছে বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিএসআইআর এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিআরআইসিএম। মঙ্গলবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার কাছে কিট হস্তান্তর করেন ডিআরআইসিএমের পরিচালক ড. মালা খান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইন্সটিটউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (ডিআরআইসিএম) পরিচালক ড. মালা খানের নেতৃত্বে এক দল গবেষক ল্যাবরেটরিতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি, ইউএসএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ি ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া (ভিটিএম) কিট তৈরি করছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কিটটি ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, দেশে তৈরি সঠিক মানের এই ভিটিএম কিট করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা যেমন কমাবে, তেমনি বৈদেশকি মুদ্রা সাশ্রয়ও সম্ভব হবে।
ডিআরআইসিএমের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মালা খান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ের ল্যাবে এনে পরীক্ষা করতে দীর্ঘ সময় লাগে। আমাদের তৈরী ভিটিএম কিটে সংগৃহীত নমুন ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সহজেই ৩দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাই এই কিট করোনা পরীক্ষায় সঠিক ফলাফল দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ভিটিএম কী?
ভিটিএম হচ্ছে লবন, প্রোটিন এবং অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরণের সল্যুশন বা দ্রবণ, যার মাধ্যমে ভাইরাস সংগ্রহ, ট্রান্সপোর্ট এবং দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়। সার্স কোভ-২ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য বিশেষ ধরণের ভিটিএম তৈরির গাইডলাইন দিয়েছে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি, ইউএসএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউিএইচও)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশে এবং মন্ত্রীপরিষদ সচিব একেএম আনোয়ার ইসলামের উৎসাহে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন ও বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান (সরকারের অতিরিক্ত সচিব) মো. ফারুক আহমেদের নিয়মিত তদারকিতে ডিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী তৈরীতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
দিনরাত কাজ করছে ডিআরআইসিএম:
করোনা মহামারিতে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক, ভিটিএম এবং বি-ক্লিন জার্মিসাইডাল ডিভাইস তৈরির কাজ করছে ডিআরআইসিএম। ল্যাবে উৎপাদিত এসব সামগ্রী বিতরণ অব্যহত রেছেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এসব সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত প্রায় দুই মাস যাবৎ সাতটি হাসপাতালসহ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীতে বিসিএসআইআর নির্মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক, ভিটিএম এবং বি-ক্লিন জার্মিসাইডাল ডিভাইস সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ বিষয়ে বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোগীদের মধ্যে এসব সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ কমসূচি চলমান আছে।
কম খরচে ডিআরআইসিএমের মানসম্পন্ন কিট
মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশে করোনা শনাক্তের ৫ হাজার কিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্টের নমুনা সংগ্রহের জন্য অল্প খরচে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের ডিটিএম কিট তৈরি করেছে বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিএসআইআর এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিআরআইসিএম। মঙ্গলবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার কাছে কিট হস্তান্তর করেন ডিআরআইসিএমের পরিচালক ড. মালা খান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইন্সটিটউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (ডিআরআইসিএম) পরিচালক ড. মালা খানের নেতৃত্বে এক দল গবেষক ল্যাবরেটরিতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি, ইউএসএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ি ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া (ভিটিএম) কিট তৈরি করছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কিটটি ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, দেশে তৈরি সঠিক মানের এই ভিটিএম কিট করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা যেমন কমাবে, তেমনি বৈদেশকি মুদ্রা সাশ্রয়ও সম্ভব হবে।
ডিআরআইসিএমের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মালা খান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ের ল্যাবে এনে পরীক্ষা করতে দীর্ঘ সময় লাগে। আমাদের তৈরী ভিটিএম কিটে সংগৃহীত নমুন ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সহজেই ৩দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাই এই কিট করোনা পরীক্ষায় সঠিক ফলাফল দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ভিটিএম কী?
ভিটিএম হচ্ছে লবন, প্রোটিন এবং অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরণের সল্যুশন বা দ্রবণ, যার মাধ্যমে ভাইরাস সংগ্রহ, ট্রান্সপোর্ট এবং দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়। সার্স কোভ-২ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য বিশেষ ধরণের ভিটিএম তৈরির গাইডলাইন দিয়েছে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি, ইউএসএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউিএইচও)।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশে এবং মন্ত্রীপরিষদ সচিব একেএম আনোয়ার ইসলামের উৎসাহে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন ও বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান (সরকারের অতিরিক্ত সচিব) মো. ফারুক আহমেদের নিয়মিত তদারকিতে ডিআরআইসিএমের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী তৈরীতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
দিনরাত কাজ করছে ডিআরআইসিএম:
করোনা মহামারিতে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক, ভিটিএম এবং বি-ক্লিন জার্মিসাইডাল ডিভাইস তৈরির কাজ করছে ডিআরআইসিএম। ল্যাবে উৎপাদিত এসব সামগ্রী বিতরণ অব্যহত রেছেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে এসব সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত প্রায় দুই মাস যাবৎ সাতটি হাসপাতালসহ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীতে বিসিএসআইআর নির্মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক, ভিটিএম এবং বি-ক্লিন জার্মিসাইডাল ডিভাইস সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ বিষয়ে বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে করোনা প্রতিরোধক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তৈরি করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোগীদের মধ্যে এসব সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ কমসূচি চলমান আছে।