ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের বিরুদ্ধে শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনটি এ অবস্থান জানায়।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছরে ঘটে যাওয়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিচার নিশ্চিত না করে এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য দরজা খুলে দেওয়া মানে অপরাধীদের দায়মুক্তি ও জনগণের প্রতি অবিচার। তিনি বলেন, ‘খাল কেটে কুমির আনার অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি। এই মানবাধিকার কার্যালয় ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিল না করে, তাহলে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।
মামুনুল হক আরও বলেন, জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের পরিবর্তে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা জন–আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী ও স্বাধীনতার মৌলিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত এই সরকারকে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো অধিকার দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার আসলে ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থী পশ্চিমা আদর্শের হাতিয়ার।’
সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা বলেন, বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে মানবাধিকার ইস্যুতে হস্তক্ষেপ দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী এবং এটি সরকারের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্নতার প্রতিফলন।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁরা ইমানি দায়িত্ব ও জাতীয় কর্তব্য থেকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার ঘোষণা দেন এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন।
সমাবেশ থেকে তিনটি দাবি উত্থাপন করা হয়:
১. ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করা।
২. দেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেওয়া।
৩. বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতি শরীফুল্লাহ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা জোবায়ের রশীদ ও মাওলানা এহতেশামুল হক সাকী।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের বিরুদ্ধে শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনটি এ অবস্থান জানায়।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছরে ঘটে যাওয়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিচার নিশ্চিত না করে এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য দরজা খুলে দেওয়া মানে অপরাধীদের দায়মুক্তি ও জনগণের প্রতি অবিচার। তিনি বলেন, ‘খাল কেটে কুমির আনার অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি। এই মানবাধিকার কার্যালয় ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিল না করে, তাহলে হেফাজতে ইসলাম সারা দেশে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।
মামুনুল হক আরও বলেন, জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের পরিবর্তে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা জন–আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী ও স্বাধীনতার মৌলিক চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত এই সরকারকে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো অধিকার দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার আসলে ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থী পশ্চিমা আদর্শের হাতিয়ার।’
সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা বলেন, বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে মানবাধিকার ইস্যুতে হস্তক্ষেপ দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী এবং এটি সরকারের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্নতার প্রতিফলন।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁরা ইমানি দায়িত্ব ও জাতীয় কর্তব্য থেকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার ঘোষণা দেন এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন।
সমাবেশ থেকে তিনটি দাবি উত্থাপন করা হয়:
১. ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করা।
২. দেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেওয়া।
৩. বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতি শরীফুল্লাহ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা জোবায়ের রশীদ ও মাওলানা এহতেশামুল হক সাকী।