হঠাৎ পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই বৈঠকে তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার কথা আবারও উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর যমুনা বাসভবনে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত পৌনে ৮টায় বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শুরু হয়। এরপর জামায়াতের দুই নেতা এবং এনসিপির চার নেতার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকগুলো শেষে রাত সোয়া ১০টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি জানান, বৈঠকগুলো অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে এবং আলোচনা মূলত নির্বাচন, সংস্কার এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে হয়েছে।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে। “কয়েকটি দল মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশের মানুষ প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা রেখেছে এবং তার নেতৃত্বেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।”
বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইলেও, জামায়াত মনে করে সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। জামায়াত এবং এনসিপি উভয়েই প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত ডিসেম্বর-জুন সময়সীমাকে সমর্থন জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে জামায়াত ও এনসিপির পর্যবেক্ষণ হলো—বর্তমান কমিশনের অবস্থান নির্বাচন উপযোগী নয় এবং সেখানে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ অনুপস্থিত। তারা কমিশনের সংস্কারকে অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বৈঠকে ঐক্যমতের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, সংস্কার প্রক্রিয়া ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করে জুলাই সনদ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। শিগগিরই জুলাই ঘোষণা সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন, চলতি মাসেই বিচার শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে তা শেষ করার চেষ্টা চলবে।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, “সংকটের কী হয়েছে তা আমরা জানি না। আজকের আলোচনা অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।”
এই বৈঠকগুলো ডাকা হয় এমন এক সময়ে, যখন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য এবং প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনা’— সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমদ। জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এনসিপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম আদীব ও তাসনিম জারা।
তিনটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন ঐক্যমতের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এবং বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
প্রধান উপদেষ্টা রোববার আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন তার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
হঠাৎ পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই বৈঠকে তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার কথা আবারও উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর যমুনা বাসভবনে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত পৌনে ৮টায় বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শুরু হয়। এরপর জামায়াতের দুই নেতা এবং এনসিপির চার নেতার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকগুলো শেষে রাত সোয়া ১০টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি জানান, বৈঠকগুলো অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে এবং আলোচনা মূলত নির্বাচন, সংস্কার এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে হয়েছে।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে। “কয়েকটি দল মন্তব্য করেছে, বাংলাদেশের মানুষ প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা রেখেছে এবং তার নেতৃত্বেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।”
বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইলেও, জামায়াত মনে করে সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। জামায়াত এবং এনসিপি উভয়েই প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত ডিসেম্বর-জুন সময়সীমাকে সমর্থন জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে জামায়াত ও এনসিপির পর্যবেক্ষণ হলো—বর্তমান কমিশনের অবস্থান নির্বাচন উপযোগী নয় এবং সেখানে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ অনুপস্থিত। তারা কমিশনের সংস্কারকে অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বৈঠকে ঐক্যমতের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, সংস্কার প্রক্রিয়া ২০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করে জুলাই সনদ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। শিগগিরই জুলাই ঘোষণা সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন, চলতি মাসেই বিচার শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী দ্রুততার সঙ্গে তা শেষ করার চেষ্টা চলবে।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, “সংকটের কী হয়েছে তা আমরা জানি না। আজকের আলোচনা অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।”
এই বৈঠকগুলো ডাকা হয় এমন এক সময়ে, যখন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মতানৈক্য এবং প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনা’— সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমদ। জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আমির শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। এনসিপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম আদীব ও তাসনিম জারা।
তিনটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন ঐক্যমতের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এবং বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
প্রধান উপদেষ্টা রোববার আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন তার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।