গণ অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে এ আহ্বান জানায় দলটি।
বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি এবং অনুরোধ করেছি, যে প্রতিশ্রুতি তিনি নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তা যেন তিনি পূরণ করেন।”
এনসিপি পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে—জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত প্রকাশ, শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন, শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচনগুলো আইন করে অবৈধ ঘোষণা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং জুলাই গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি।
নাহিদ জানান, প্রধান উপদেষ্টা এসব দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জুলাই মাসের মধ্যেই সনদ আসতে পারে—এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে। বিচার ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়েও আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছি।”
ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চেয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে নাহিদ বলেন, “ছাত্র উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে গেছেন। তাদের হেয় করা বা পদত্যাগ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।”
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে নাহিদ বলেন, “ড. ইউনূস দায়িত্ব পালনে অসুবিধার কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, তিনি যেন জনগণ ও আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার প্রতিই দায়বদ্ধ থাকেন, রাজনৈতিক দলের প্রতি নয়।”
বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
ছাত্র আন্দোলনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। সময়ের ব্যবধানে নির্বাচন নিয়ে বিভাজন, উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি ও প্রধান উপদেষ্টার হতাশা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।
এরই মধ্যে সেনাপ্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলার পর পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি নেতা নাহিদ এবং সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টারা। ওই রাতেই ইউনূসের পদত্যাগ ভাবনার বিষয়টি সামনে আসে।
অপরদিকে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পৃথকভাবে বৈঠক করে নির্বাচন ও চলমান সংকট নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। জামায়াত প্রধান সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতি।
রোববার, ২৫ মে ২০২৫
গণ অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে এ আহ্বান জানায় দলটি।
বৈঠকে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি এবং অনুরোধ করেছি, যে প্রতিশ্রুতি তিনি নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তা যেন তিনি পূরণ করেন।”
এনসিপি পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে—জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত প্রকাশ, শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন, শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচনগুলো আইন করে অবৈধ ঘোষণা, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং জুলাই গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি।
নাহিদ জানান, প্রধান উপদেষ্টা এসব দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জুলাই মাসের মধ্যেই সনদ আসতে পারে—এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে। বিচার ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়েও আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছি।”
ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চেয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে নাহিদ বলেন, “ছাত্র উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে গেছেন। তাদের হেয় করা বা পদত্যাগ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।”
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে নাহিদ বলেন, “ড. ইউনূস দায়িত্ব পালনে অসুবিধার কথা বলেছেন। আমরা বলেছি, তিনি যেন জনগণ ও আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার প্রতিই দায়বদ্ধ থাকেন, রাজনৈতিক দলের প্রতি নয়।”
বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।
ছাত্র আন্দোলনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। সময়ের ব্যবধানে নির্বাচন নিয়ে বিভাজন, উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি ও প্রধান উপদেষ্টার হতাশা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।
এরই মধ্যে সেনাপ্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলার পর পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন এনসিপি নেতা নাহিদ এবং সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টারা। ওই রাতেই ইউনূসের পদত্যাগ ভাবনার বিষয়টি সামনে আসে।
অপরদিকে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পৃথকভাবে বৈঠক করে নির্বাচন ও চলমান সংকট নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। জামায়াত প্রধান সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতি।