দেশের বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতি ও ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে নতুন পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচনাসভায় দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক জনমতের সঠিক প্রতিফলনে ‘মিক্সড মেম্বার প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ বা ‘এমএমপিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “খেলাফত মজলিসের উত্থাপিত ‘এমএমপিআর’ পদ্ধতির মাধ্যমে ‘এফপিটিপি’ পদ্ধতি ও ‘পিআর’ পদ্ধতির যাবতীয় আলোচনার দিক, দুর্বলতার দিক নিরসন হয়ে একটি ভারসাম্যমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। পৃথিবীর বহু উন্নত দেশে এই ‘এমএমপিআর’ পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে, চলমান রয়েছে এবং জনমতের প্রকৃত, ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল একটি জনমতের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসেও এই পদ্ধতির নির্বাচন চায়।”
‘এমএমপিআর’ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে মামুনুল হক বলেন, ‘‘এটি বর্তমানে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (এফপিটিপি) এবং ‘প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ (পিআর) এর সম্মিলিত নির্বাচন পদ্ধতি, যা বাস্তবায়নে সব নাগরিকের ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’’
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে ‘জনমত প্রতিফলনে কার্যকর নির্বাচন পদ্ধতি: এমএমপিআর’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় কথা বলেন মামুনুল হক।
হেফাজতে ইসলামের এ নেতা বলেন, “ইসলামে শাসক নির্বাচনের স্বতন্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে সকল ব্যবস্থার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। ইসলামী ব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় এখন বিকল্প হিসেবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনকে ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানারকম নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। তন্মধ্যে আমাদের দেশে বর্তমানে কার্যকর রয়েছে ‘এফপিটিপি’ পদ্ধতি। সম্প্রতি বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক দল ও পক্ষসমূহ ‘পিআর’ পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি তুলেছে।”
তিনি বলেন, “উভয় পদ্ধতির নানারকম দুর্বলতা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণমানুষের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তৃতীয় পদ্ধতি তথা ‘এমএমপিআর’ প্রস্তাব করেছে। এটিই তুলনামূলকভাবে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হতে পারে। এতে জনমতের সঠিক প্রতিফলন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভোটারের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।”
সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, “পিআর ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করার ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। সেজন্য বিদ্যমান নির্বাচনি ব্যবস্থায় নির্বাচন করে পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে।”
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের বলেন, “৪০টি দেশে পুরোপুরি ‘পিআর’ পদ্ধতি আছে। কিছু দেশে মিক্সড পদ্ধতি আছে। যারা বলছেন, ‘পিআর’ বুঝেন না, এটা তাদের অজ্ঞতা।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, নেজামী ইসলাম পার্টির মুসা বিন এজহার, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী, জাতীয় নাগরিক পার্টির আতিক মুজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফয়জুল হক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
দেশের বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতি ও ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে নতুন পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
ঢাকার সেগুনবাগিচায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আলোচনাসভায় দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক জনমতের সঠিক প্রতিফলনে ‘মিক্সড মেম্বার প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ বা ‘এমএমপিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “খেলাফত মজলিসের উত্থাপিত ‘এমএমপিআর’ পদ্ধতির মাধ্যমে ‘এফপিটিপি’ পদ্ধতি ও ‘পিআর’ পদ্ধতির যাবতীয় আলোচনার দিক, দুর্বলতার দিক নিরসন হয়ে একটি ভারসাম্যমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। পৃথিবীর বহু উন্নত দেশে এই ‘এমএমপিআর’ পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে, চলমান রয়েছে এবং জনমতের প্রকৃত, ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল একটি জনমতের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসেও এই পদ্ধতির নির্বাচন চায়।”
‘এমএমপিআর’ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে মামুনুল হক বলেন, ‘‘এটি বর্তমানে ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (এফপিটিপি) এবং ‘প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ (পিআর) এর সম্মিলিত নির্বাচন পদ্ধতি, যা বাস্তবায়নে সব নাগরিকের ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’’
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে ‘জনমত প্রতিফলনে কার্যকর নির্বাচন পদ্ধতি: এমএমপিআর’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় কথা বলেন মামুনুল হক।
হেফাজতে ইসলামের এ নেতা বলেন, “ইসলামে শাসক নির্বাচনের স্বতন্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে সকল ব্যবস্থার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। ইসলামী ব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় এখন বিকল্প হিসেবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির নির্বাচনকে ‘মন্দের ভালো’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানারকম নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। তন্মধ্যে আমাদের দেশে বর্তমানে কার্যকর রয়েছে ‘এফপিটিপি’ পদ্ধতি। সম্প্রতি বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক দল ও পক্ষসমূহ ‘পিআর’ পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি তুলেছে।”
তিনি বলেন, “উভয় পদ্ধতির নানারকম দুর্বলতা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণমানুষের মতামতের প্রকৃত প্রতিফলনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তৃতীয় পদ্ধতি তথা ‘এমএমপিআর’ প্রস্তাব করেছে। এটিই তুলনামূলকভাবে শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হতে পারে। এতে জনমতের সঠিক প্রতিফলন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভোটারের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।”
সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, “পিআর ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করার ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই। সেজন্য বিদ্যমান নির্বাচনি ব্যবস্থায় নির্বাচন করে পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে।”
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের বলেন, “৪০টি দেশে পুরোপুরি ‘পিআর’ পদ্ধতি আছে। কিছু দেশে মিক্সড পদ্ধতি আছে। যারা বলছেন, ‘পিআর’ বুঝেন না, এটা তাদের অজ্ঞতা।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, নেজামী ইসলাম পার্টির মুসা বিন এজহার, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী, জাতীয় নাগরিক পার্টির আতিক মুজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফয়জুল হক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।