বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদমাধ্যম তেমন কিছু লিখছে না। যদিও তিনি কোনো ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক নেতার নাম উল্লেখ করেননি।
মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে লেক শোর হোটেলে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা লিখছেন না কোন ব্যবসায়ীর হেলিকপ্টারে কে বেড়াতে যায়, কে কাকে কত টাকা দেয়, কিংবা কোন ব্যবসায়ীকে কোন রাজনৈতিক দল পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি বিশেষ দল সম্পর্কে আপনারা কিছুই লিখছেন না, পর্দার অন্তরালে আরও অনেক কিছু ঘটছে। অথচ বিএনপিকে নিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক দলগুলোকে সহায়তা করা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংবাদমাধ্যম নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে, যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদের বিষয়ে কিছু লেখা হচ্ছে না। অথচ এরা শুধু জুলাই-আগস্ট নয়, আরও অনেক ঘটনার সঙ্গে জড়িত।”
তিনি দাবি করেন, গত ১৭ বছরে এই শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছে এবং আগামী ১৭ বছর সেই অর্থ দেশের বিরুদ্ধে কাজে লাগাবে। সাংবাদিকদের এসব তথ্য সামনে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ওরা মনে করে টাকা থাকলেই সবকিছু কেনা যায়, কিন্তু ওরা জানে না সব সাংবাদিককে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি আপনাদের ভুল ধরিয়ে দিতে চাই না, কিন্তু আপনাদের ভুলের কারণে দেশ ও জাতির ক্ষতি হচ্ছে। আপনারা কেন তুলে ধরছেন না, জুলাইয়ের শুরুর দিকে ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে কারা ছিল, কারা গ্রেপ্তার হলো, কারা রয়ে গেল?”
তিনি আরও বলেন, “শুধু ব্যবসায়ী নয়, সচিবালয়ে, থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো সক্রিয়। তাই সাংবাদিকদের উচিত হবে তাদের অবস্থান তুলে ধরা।”
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন দল কী অবস্থানে আছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।”
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি।
এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও সেলিমা রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও সংগঠনের সদস্যরা।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদমাধ্যম তেমন কিছু লিখছে না। যদিও তিনি কোনো ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক নেতার নাম উল্লেখ করেননি।
মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে লেক শোর হোটেলে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা লিখছেন না কোন ব্যবসায়ীর হেলিকপ্টারে কে বেড়াতে যায়, কে কাকে কত টাকা দেয়, কিংবা কোন ব্যবসায়ীকে কোন রাজনৈতিক দল পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি বিশেষ দল সম্পর্কে আপনারা কিছুই লিখছেন না, পর্দার অন্তরালে আরও অনেক কিছু ঘটছে। অথচ বিএনপিকে নিয়ে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক দলগুলোকে সহায়তা করা ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংবাদমাধ্যম নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আছে, যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদের বিষয়ে কিছু লেখা হচ্ছে না। অথচ এরা শুধু জুলাই-আগস্ট নয়, আরও অনেক ঘটনার সঙ্গে জড়িত।”
তিনি দাবি করেন, গত ১৭ বছরে এই শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছে এবং আগামী ১৭ বছর সেই অর্থ দেশের বিরুদ্ধে কাজে লাগাবে। সাংবাদিকদের এসব তথ্য সামনে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ওরা মনে করে টাকা থাকলেই সবকিছু কেনা যায়, কিন্তু ওরা জানে না সব সাংবাদিককে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি আপনাদের ভুল ধরিয়ে দিতে চাই না, কিন্তু আপনাদের ভুলের কারণে দেশ ও জাতির ক্ষতি হচ্ছে। আপনারা কেন তুলে ধরছেন না, জুলাইয়ের শুরুর দিকে ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে কারা ছিল, কারা গ্রেপ্তার হলো, কারা রয়ে গেল?”
তিনি আরও বলেন, “শুধু ব্যবসায়ী নয়, সচিবালয়ে, থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো সক্রিয়। তাই সাংবাদিকদের উচিত হবে তাদের অবস্থান তুলে ধরা।”
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন দল কী অবস্থানে আছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।”
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি।
এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও সেলিমা রহমান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও সংগঠনের সদস্যরা।