সালাহ উদ্দিন আহমেদের অভিযোগ: ‘জাতি বেশি সময় নেওয়া মেনে নেবে না’
সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘বেশি সময় নেওয়ার কৌশল’ নিলে জাতি তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “নির্বাচনমুখী সংস্কারের জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা দরকার, সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আইনি সংস্কার করুন। আইনি সংস্কারের পর যদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন হয়, সেটাও করা যাবে। কিন্তু এর জন্য কত সময় লাগবে, তা আমরা জানি।”
বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চাইলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করেই ভোটে যেতে চান। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। “নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, যা মার্চের ২ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর শুনানি ও আপত্তির প্রক্রিয়া মাত্র দুই মাসের মধ্যেই শেষ হবে। ডিলিমিটেশন ও অন্যান্য কার্যক্রমও দীর্ঘ সময় লাগার কথা নয়। তাই যদি বেশি সময় নেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়, জাতি তা মানবে না।”
সংস্কার প্রক্রিয়ার ধীরগতির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংস্কারের সকল প্রতিবেদন জমা হবে এবং জানুয়ারির মধ্যেই রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি চলে এলেও সেই আলোচনা শুরু হয়নি। এখন বলা হচ্ছে, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা হবে, এরপর কতদিন লাগবে তা জানি না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “প্রশাসন ও উপদেষ্টা পরিষদে এখনো আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ রয়ে গেছে। আমরা বলেছিলাম, ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে না দিলে সংস্কারে সফল হওয়া সম্ভব নয়। সংস্কারের নামে এত ধীরগতিতে কাজ হলে, তা কতটা কার্যকর হবে, সেটাই প্রশ্ন।”
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের বিচার হোক এবং সংবিধান অনুযায়ী তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি সত্যিই আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ করতে চায়, তবে তাদের বিচারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। শুধুমাত্র পুলিশি বাধার মাধ্যমে তাদের দমন করা যাবে না।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদসহ আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের অভিযোগ: ‘জাতি বেশি সময় নেওয়া মেনে নেবে না’
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘বেশি সময় নেওয়ার কৌশল’ নিলে জাতি তা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “নির্বাচনমুখী সংস্কারের জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করা দরকার, সেগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আইনি সংস্কার করুন। আইনি সংস্কারের পর যদি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন হয়, সেটাও করা যাবে। কিন্তু এর জন্য কত সময় লাগবে, তা আমরা জানি।”
বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চাইলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করেই ভোটে যেতে চান। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। “নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, যা মার্চের ২ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর শুনানি ও আপত্তির প্রক্রিয়া মাত্র দুই মাসের মধ্যেই শেষ হবে। ডিলিমিটেশন ও অন্যান্য কার্যক্রমও দীর্ঘ সময় লাগার কথা নয়। তাই যদি বেশি সময় নেওয়ার কৌশল নেওয়া হয়, জাতি তা মানবে না।”
সংস্কার প্রক্রিয়ার ধীরগতির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংস্কারের সকল প্রতিবেদন জমা হবে এবং জানুয়ারির মধ্যেই রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি চলে এলেও সেই আলোচনা শুরু হয়নি। এখন বলা হচ্ছে, মধ্য ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা হবে, এরপর কতদিন লাগবে তা জানি না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “প্রশাসন ও উপদেষ্টা পরিষদে এখনো আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ রয়ে গেছে। আমরা বলেছিলাম, ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে না দিলে সংস্কারে সফল হওয়া সম্ভব নয়। সংস্কারের নামে এত ধীরগতিতে কাজ হলে, তা কতটা কার্যকর হবে, সেটাই প্রশ্ন।”
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের বিচার হোক এবং সংবিধান অনুযায়ী তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি সত্যিই আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ করতে চায়, তবে তাদের বিচারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। শুধুমাত্র পুলিশি বাধার মাধ্যমে তাদের দমন করা যাবে না।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদসহ আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদের নেতৃবৃন্দ।