চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ পাঁচজন যুবক আটক হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
শনিবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে আটককৃতদের ছবি যুক্ত করে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন,
> “আজ সবাই ভান করছে যেন তারা প্রথম জানল! বাস্তবে, শুধু ধরা খাওয়াটাই নতুন ঘটনা। এদের কর্মকাণ্ডের গভীর শেকড় বহু আগেই চারদিক জুড়ে ছড়িয়ে গেছে।”
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই ছাত্রীনেত্রী আরও লেখেন,
> “এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। এই খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর।”
উমামা ফাতেমা দাবি করেন, চাঁদাবাজিতে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সচিবালয়, মিছিল-মিটিং এমনকি রূপায়ন টাওয়ারেও অবাধে চলাফেরা করতেন।
> “এদের অনেককে সমন্বয়কদের ডান-বাম হাত হিসেবে দেখা গেছে। গুলশান-বনানীর গ্যাং কালচারের অভিযোগ অভ্যন্তরীণভাবে বহু আগে থেকেই ছিল,”—লিখেছেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, মেয়েরা যখন তাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
> “আমি নিজেও একটি ঘটনার পর খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ছেলেটির বিরুদ্ধে হুমকি, মারামারি ও চাঁদাবাজির আগের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে নতুন ছিল না, কারণ ততদিনে সংগঠনের অভ্যন্তরে এমন চরিত্রের লোকজনের চলাচল স্পষ্ট ছিল।”
সংগঠনের অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থা ও নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
> “কারও দুর্নীতি বা অসততার ব্যাপারে অভিযোগ জানালে পিনড্রপ সাইলেন্স উপহার পাওয়া যেত। আর যারা এসব করত, তারা দিনের শেষে প্ল্যাটফর্ম এক্সেস করে নিত অনায়াসেই।”
উমামা আরও বলেন,
> “আজকে এত মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে বলার ভাষা পাই না কোনো। যে যেভাবে পারছে এই প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট করেছে।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
---
চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫
রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ পাঁচজন যুবক আটক হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
শনিবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে আটককৃতদের ছবি যুক্ত করে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন,
> “আজ সবাই ভান করছে যেন তারা প্রথম জানল! বাস্তবে, শুধু ধরা খাওয়াটাই নতুন ঘটনা। এদের কর্মকাণ্ডের গভীর শেকড় বহু আগেই চারদিক জুড়ে ছড়িয়ে গেছে।”
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী এই ছাত্রীনেত্রী আরও লেখেন,
> “এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। এই খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর।”
উমামা ফাতেমা দাবি করেন, চাঁদাবাজিতে আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সচিবালয়, মিছিল-মিটিং এমনকি রূপায়ন টাওয়ারেও অবাধে চলাফেরা করতেন।
> “এদের অনেককে সমন্বয়কদের ডান-বাম হাত হিসেবে দেখা গেছে। গুলশান-বনানীর গ্যাং কালচারের অভিযোগ অভ্যন্তরীণভাবে বহু আগে থেকেই ছিল,”—লিখেছেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, মেয়েরা যখন তাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
> “আমি নিজেও একটি ঘটনার পর খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ছেলেটির বিরুদ্ধে হুমকি, মারামারি ও চাঁদাবাজির আগের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে নতুন ছিল না, কারণ ততদিনে সংগঠনের অভ্যন্তরে এমন চরিত্রের লোকজনের চলাচল স্পষ্ট ছিল।”
সংগঠনের অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থা ও নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
> “কারও দুর্নীতি বা অসততার ব্যাপারে অভিযোগ জানালে পিনড্রপ সাইলেন্স উপহার পাওয়া যেত। আর যারা এসব করত, তারা দিনের শেষে প্ল্যাটফর্ম এক্সেস করে নিত অনায়াসেই।”
উমামা আরও বলেন,
> “আজকে এত মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে বলার ভাষা পাই না কোনো। যে যেভাবে পারছে এই প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট করেছে।”
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
---