আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উন্নত ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগে সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থী। প্রচারনায় হুমকি ও হামলাসহ নানা অভিযোগ করছেন বিএনপি সমর্থিত দু’ মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি তারাও উন্নয়নের বানী শোনাচ্ছেন ভোটারদের।
এদিকে, ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছেন নগরবাসী। প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নানা হিসাব কষতে শুরু করেছেন ভোটাররা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিভিন্ন এলাকায় মেয়র প্রার্থীরা প্রচারনা চালিয়েছেন। ১৩ জন মেয়র প্রার্থী থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন নৌকা ও ধানের শীসেল চার প্রার্থী। এছাড়া দক্ষিনে জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন মিলনও রয়েছেন আলোচনায়। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচারনা নেমেছেন। প্রার্থীদের পোষ্টারে ইতোমধ্যে ঢাকার অলি-গলি ছেয়ে গেছে। কর্মী-সমর্থকরা মাইকিং, পদসভা ও গণসংযোগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
তাপস: পঞ্চম দিনে দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারনা চালান। এসময় তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে আমরা উন্নত সিটি করপোরেশনে পরিণত করব। নগর ভবন ২৪ ঘণ্টা জনগণের জন্য খোলা থাকবে। ঢাকাকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জনগণের জন্য নিবেদিত থাকবো। আমরা ঢাকাবাসী, ঢাকা আমাদের প্রাণের শহর। আসুন আমাদের ঢাকাকে আমরাই গড়ব। এখানকার রাস্তাঘাট, অলি-গলি সব কিছুই উন্নত হবে। বিএনপি মনোনিত প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। আচরণবিধি মেনেই আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। মঙ্গলবার ডিএসসিসির ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়ও নির্বাচনী প্রচারণা চালান তিনি।
আতিকুল: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমিসহ আমার কাউন্সিলররা বিজয়ী হই, তাহলে স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত সিটি গড়ার জন্য আমি তা নিশ্চিত করব। আমরা চাই ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যার সমাধান করার জন্য। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে কাউন্সিলর ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা হবে। সাতটি খেলার মাঠ উন্মুক্ত করেছি। ছোট ছোট খেলার মাঠকে শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যত বেশি খেলার মাঠ থাকবে তত বেশি আমাদের যুবকরা, তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ পাবে, মাদক থেকে দূরে থাকবে। মঙ্গলবার তিনি আগারগাঁও তালতলা শতদল কমপ্লেক্স’র সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেন। এদিন মাটির মসজিদ, আবুল হোটেল, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায়ও প্রচারনা চালান তিনি।
তাবিথ: উত্তরে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল মঙ্গলবার উত্তর বাড্ডায় ফুজি টাওয়ার থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি মধ্য বাড্ডা বাজার, মেরুল বাড্ডা, মোল্লাপাড়া বাজার, খিলবাড়িরটেক, নুরের চালা, বাজার মসজিদ, ভোটঘাট, বারিধারা মহিলা সমিতির আশেপাশের এলাকায় প্রচারনা চালান। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। শত বাধার পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্ত আছেন। যতই উসকানি দেয়া হোক না কেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে আছি, থাকব। ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ভোট দিতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত। এদিকে, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের কাছে দিয়েছেন তাবিথ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার পক্ষে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করে নিম্নরূপ আচরণ করে চলেছেন। আচরণ বিধিমালার ৮ বিধির ৪ উপবিধি লঙ্ঘন করে কারওয়ানবাজার ওয়াসা ভবনের উত্তর কোনায় কাঠের বৃহৎ সাইজের নৌকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিধিমালার ৮ বিধির ৫ উপবিধি লঙ্ঘন করে পান্থকুঞ্জের বীরউত্তম সিআর দত্ত রোডে নিজ ছবি ও দলীয় প্রধানের ছবি ব্যতীত দলীয় সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ছবি দিয়ে পোস্টার দেয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রতিনিয়ত এ ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। এর জেরে জনমনে নির্বাচন নিয়ে বিরূপ ধারণা জন্মাচ্ছে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ইশরাক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, অভিযোগ দিলে সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা আমাদের অভিযোগের দল বলে, নালিশ পার্টি বলে। অথচ আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পোস্টার লাগাতে গেলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা কোনো অভিযোগ দেব না। সিটি করপোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোর উন্নয়নে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন যে ওয়ার্ডগুলো যুক্ত হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আমরা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরব।
মঙ্গলবার খিলগাও থানার ত্রিমোহনী বাজার থেকে প্রচারনা শুরু করেন ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক। এদিন ৭৫,৭৪,৭৩,৪,৫,৩,৭,৭১,৭২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারনা চালান তিনি।
ইসি: নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব কক্ষে সরস্বতী পূজা হবে সেগুলো বাদ দিয়ে অন্য কক্ষগুলোতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। পূজার জায়গাগুলোকে ছেড়ে দিয়েই বাকি রুমগুলোতে ভোট হবে। যেখানে পূজা হবে সেই কক্ষ বাদ দিয়ে অন্য কক্ষগুলোতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন চলবে।
শাহবাগে অবরোধ: সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি ভোট না করার দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। পূজার জন্য ভোট পেছানোর আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ওই শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাজার খানেক শিক্ষার্থীদের এই অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা রয়েছেন।
আন্দোলন কত দিন চলবে- প্রশ্নে জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, এটা আসলে বলা যাচ্ছে না। দাবি যতদিন পর্যন্ত মেনে না নেওয়া হয়, ততদিন পর্যন্ত চলবে।
বিক্ষোররত শিক্ষার্থীরা ‘৩০ তারিখের নির্বাচন, মানি না-মানবো না’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পূজার দিনে নির্বাচন, মানি না-মানবো না’ শ্লোগান দেয়।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উন্নত ও আধুনিক ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগে সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থী। প্রচারনায় হুমকি ও হামলাসহ নানা অভিযোগ করছেন বিএনপি সমর্থিত দু’ মেয়র প্রার্থী। পাশাপাশি তারাও উন্নয়নের বানী শোনাচ্ছেন ভোটারদের।
এদিকে, ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছেন নগরবাসী। প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নানা হিসাব কষতে শুরু করেছেন ভোটাররা।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিভিন্ন এলাকায় মেয়র প্রার্থীরা প্রচারনা চালিয়েছেন। ১৩ জন মেয়র প্রার্থী থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন নৌকা ও ধানের শীসেল চার প্রার্থী। এছাড়া দক্ষিনে জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন মিলনও রয়েছেন আলোচনায়। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও প্রচারনা নেমেছেন। প্রার্থীদের পোষ্টারে ইতোমধ্যে ঢাকার অলি-গলি ছেয়ে গেছে। কর্মী-সমর্থকরা মাইকিং, পদসভা ও গণসংযোগে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
তাপস: পঞ্চম দিনে দক্ষিণে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারনা চালান। এসময় তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে আমরা উন্নত সিটি করপোরেশনে পরিণত করব। নগর ভবন ২৪ ঘণ্টা জনগণের জন্য খোলা থাকবে। ঢাকাকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জনগণের জন্য নিবেদিত থাকবো। আমরা ঢাকাবাসী, ঢাকা আমাদের প্রাণের শহর। আসুন আমাদের ঢাকাকে আমরাই গড়ব। এখানকার রাস্তাঘাট, অলি-গলি সব কিছুই উন্নত হবে। বিএনপি মনোনিত প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি না। আচরণবিধি মেনেই আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। মঙ্গলবার ডিএসসিসির ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায়ও নির্বাচনী প্রচারণা চালান তিনি।
আতিকুল: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমিসহ আমার কাউন্সিলররা বিজয়ী হই, তাহলে স্বচ্ছতা ও জবাবহিদিতার জন্য, দুর্নীতিমুক্ত সিটি গড়ার জন্য আমি তা নিশ্চিত করব। আমরা চাই ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যার সমাধান করার জন্য। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে সমন্বিতভাবে কাউন্সিলর ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা হবে। সাতটি খেলার মাঠ উন্মুক্ত করেছি। ছোট ছোট খেলার মাঠকে শিশুপার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যত বেশি খেলার মাঠ থাকবে তত বেশি আমাদের যুবকরা, তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ পাবে, মাদক থেকে দূরে থাকবে। মঙ্গলবার তিনি আগারগাঁও তালতলা শতদল কমপ্লেক্স’র সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেন। এদিন মাটির মসজিদ, আবুল হোটেল, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায়ও প্রচারনা চালান তিনি।
তাবিথ: উত্তরে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল মঙ্গলবার উত্তর বাড্ডায় ফুজি টাওয়ার থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি মধ্য বাড্ডা বাজার, মেরুল বাড্ডা, মোল্লাপাড়া বাজার, খিলবাড়িরটেক, নুরের চালা, বাজার মসজিদ, ভোটঘাট, বারিধারা মহিলা সমিতির আশেপাশের এলাকায় প্রচারনা চালান। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। শত বাধার পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্ত আছেন। যতই উসকানি দেয়া হোক না কেন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে আছি, থাকব। ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ ভোট দিতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত। এদিকে, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের কাছে দিয়েছেন তাবিথ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার পক্ষে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করে নিম্নরূপ আচরণ করে চলেছেন। আচরণ বিধিমালার ৮ বিধির ৪ উপবিধি লঙ্ঘন করে কারওয়ানবাজার ওয়াসা ভবনের উত্তর কোনায় কাঠের বৃহৎ সাইজের নৌকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিধিমালার ৮ বিধির ৫ উপবিধি লঙ্ঘন করে পান্থকুঞ্জের বীরউত্তম সিআর দত্ত রোডে নিজ ছবি ও দলীয় প্রধানের ছবি ব্যতীত দলীয় সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ছবি দিয়ে পোস্টার দেয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রতিনিয়ত এ ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। এর জেরে জনমনে নির্বাচন নিয়ে বিরূপ ধারণা জন্মাচ্ছে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
ইশরাক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, অভিযোগ দিলে সরকারি দলের নেতা-মন্ত্রীরা আমাদের অভিযোগের দল বলে, নালিশ পার্টি বলে। অথচ আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, পোস্টার লাগাতে গেলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা কোনো অভিযোগ দেব না। সিটি করপোরেশনে নতুন করে যুক্ত হওয়া এলাকাগুলোর উন্নয়নে আমাদের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন যে ওয়ার্ডগুলো যুক্ত হয়েছে সে বিষয় নিয়ে আমরা আমাদের ইশতেহারে তুলে ধরব।
মঙ্গলবার খিলগাও থানার ত্রিমোহনী বাজার থেকে প্রচারনা শুরু করেন ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক। এদিন ৭৫,৭৪,৭৩,৪,৫,৩,৭,৭১,৭২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারনা চালান তিনি।
ইসি: নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব কক্ষে সরস্বতী পূজা হবে সেগুলো বাদ দিয়ে অন্য কক্ষগুলোতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। পূজার জায়গাগুলোকে ছেড়ে দিয়েই বাকি রুমগুলোতে ভোট হবে। যেখানে পূজা হবে সেই কক্ষ বাদ দিয়ে অন্য কক্ষগুলোতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। পূজার জায়গায় পূজা চলবে, নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন চলবে।
শাহবাগে অবরোধ: সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি ভোট না করার দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। পূজার জন্য ভোট পেছানোর আবেদন খারিজ হয়ে গেলে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ওই শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাজার খানেক শিক্ষার্থীদের এই অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা রয়েছেন।
আন্দোলন কত দিন চলবে- প্রশ্নে জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, এটা আসলে বলা যাচ্ছে না। দাবি যতদিন পর্যন্ত মেনে না নেওয়া হয়, ততদিন পর্যন্ত চলবে।
বিক্ষোররত শিক্ষার্থীরা ‘৩০ তারিখের নির্বাচন, মানি না-মানবো না’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘পূজার দিনে নির্বাচন, মানি না-মানবো না’ শ্লোগান দেয়।