আন্দোলন না নির্বাচন
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি কোন পথে চলবে সরকার হঠাতে রাজপথে আন্দোলন বেগবান করা নাকি এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন? এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দলের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের তিন দিনের বৈঠক। আজ বিকেলে এ বৈঠক দলের চেয়ারপরসনের কার্যালয় শুরু হবে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর বিএনপির এমন উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন বৈঠক আহবান করা হয়েছে।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পরপরই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আগামী দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন নিয়ে কথা-বার্তা শুরু হয়েছে। এর পরই বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরোধী দল বিএনপিও দলের আগামী রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারনের জন্য বৈঠক আহবান করলো।
এনিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও এমন কথা চাউর হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি অনুসরণ করে বিএনপিও নড়েচড়ে বসছে। তারাও আওয়াম লীগের কৌশল পর্যবেক্ষন করে তাদের দলীয় নীতি-পরিকল্পনা ঠিক করতে সক্রিয় হচ্ছে। তার ফল কেন্দ্রীয় থেকে জেলা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক আহবান।
তবে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নির্দেশনা দেয়ার পর নয়, বরং তার আগেই বিএনপি দল গোছাতে তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জানা গেছে, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আজ প্রথম দিনের সভা বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হবে। আগামীকাল বুধবার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, সহসম্পাদকদের সঙ্গে সভা হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার সভা হবে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে।
এ সময়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকদের সামনে আগামী দিনগুলোতে দলের রাজনৈতিক করনীয় কি হতে পারে তা নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হবে। তিন দিন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক শেষে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী কমিটি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। সে বৈঠকে দলের আগামী দিনের করনীয় সম্পর্কে তৃণমুল নেতাদের মতামত বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দল আগামীতে সরকার হঠাতে আন্দোলন করবে নাকি রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি আগামী সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে সবধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ থেকে অনুষ্ঠিতব্য সবগুলো বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন।আমন্ত্রিত নেতাদের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এসব সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে বিএনপি জানিয়েছে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের এ সিরিজ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে না আন্দোল না নির্বাচনে অংশ নেয়া -কোন দিকেই খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা। এ অবস্থা থেকে উঠে আসতেই নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগুতে চায় বিএনপি তা জানতে এ সিরিজ বৈঠক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
আন্দোলন না নির্বাচন
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি কোন পথে চলবে সরকার হঠাতে রাজপথে আন্দোলন বেগবান করা নাকি এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন? এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দলের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের তিন দিনের বৈঠক। আজ বিকেলে এ বৈঠক দলের চেয়ারপরসনের কার্যালয় শুরু হবে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর বিএনপির এমন উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন বৈঠক আহবান করা হয়েছে।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পরপরই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আগামী দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন নিয়ে কথা-বার্তা শুরু হয়েছে। এর পরই বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরোধী দল বিএনপিও দলের আগামী রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারনের জন্য বৈঠক আহবান করলো।
এনিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও এমন কথা চাউর হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি অনুসরণ করে বিএনপিও নড়েচড়ে বসছে। তারাও আওয়াম লীগের কৌশল পর্যবেক্ষন করে তাদের দলীয় নীতি-পরিকল্পনা ঠিক করতে সক্রিয় হচ্ছে। তার ফল কেন্দ্রীয় থেকে জেলা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক আহবান।
তবে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নির্দেশনা দেয়ার পর নয়, বরং তার আগেই বিএনপি দল গোছাতে তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জানা গেছে, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আজ প্রথম দিনের সভা বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হবে। আগামীকাল বুধবার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক, সহসম্পাদকদের সঙ্গে সভা হবে। পরদিন বৃহস্পতিবার সভা হবে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে।
এ সময়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকদের সামনে আগামী দিনগুলোতে দলের রাজনৈতিক করনীয় কি হতে পারে তা নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হবে। তিন দিন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক শেষে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী কমিটি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। সে বৈঠকে দলের আগামী দিনের করনীয় সম্পর্কে তৃণমুল নেতাদের মতামত বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দল আগামীতে সরকার হঠাতে আন্দোলন করবে নাকি রাজপথে আন্দোলনের পাশাপাশি আগামী সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে সবধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ থেকে অনুষ্ঠিতব্য সবগুলো বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন।আমন্ত্রিত নেতাদের সঙ্গে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এসব সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে বিএনপি জানিয়েছে।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের এ সিরিজ বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে না আন্দোল না নির্বাচনে অংশ নেয়া -কোন দিকেই খুব একটা সুবিধা করতে পারছেনা। এ অবস্থা থেকে উঠে আসতেই নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগুতে চায় বিএনপি তা জানতে এ সিরিজ বৈঠক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষ করতে হবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।