alt

রাজনীতি

সংসদে জিয়ার কবর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক। আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় বিএনপির সদস্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বিতর্ক হয়।

বিএনপিদলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মন্ত্রী ও সাংসদেরা বলছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি পাকিস্তানের দোসর। হারুন আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। প্রথম, তৃতীয় ও অষ্টম ব্যাটালিয়নে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সরাসরি মাঠে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার সময় যে সেক্টর কমান্ডাররা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধে করেছেন, তাঁদের মধ্যে জেড ফোর্সের ২৮৭ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। এই সেক্টরের দুজন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ বক্তব্যের জবাবে বলেন, জিয়াউর রহমান যত দিন ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলার বাণীর কোনো কপি আর্কাইভে রাখা হয়নি। বহু তথ্য–উপাত্ত তারা সরিয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, ‘সংসদ ভবন নিয়ে লুই কানের যে নকশা, সেখানে কোথায় রয়েছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করতে হবে? সেখানে লাশ আছে কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেগম জিয়া স্বামী মনে করে কাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান? তাঁরই উচিত এ প্রশ্ন করা, ওনার স্বামীর লাশ সেখানে আছে কি না? বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে নির্ণয় করা উচিত। আপনারা দলের নেতা ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন? ওখানে কি কারও মৃতদেহ আছে? নাকি অন্য কারও মৃতদেহ আছে?’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) নিরপেক্ষ একটা কমিটি করেন। সরকার সহযোগিতা করবে। সত্য উদ্ঘাটনে ভয়ের কী আছে? আপনাদের দলের নেত্রীকে বলেন, যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে, সাজা স্থগিত নিয়ে বসবাস করছেন। আইনের সুযোগ থাকলে তাঁর নেতৃত্বে কমিটি করেন।’

পরে এই বিলের সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুন বলেন, ‘পরনিন্দা, বিষোদ্গার ভালো নয়। সংসদের লবিতে পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা আছে, “তোমরা জানা সত্ত্বেও সত্য গোপন করিও না এবং সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মিশ্রিত করিও না”।’ তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে সংসদ ছিল, সে সংসদে আওয়ামী লীগের ৩৯ জন ছিলেন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জিয়াউর রহমানের জানাজায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। সংসদে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের লাশের পোস্টমর্টেম হয়েছে, সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচারও হয়েছে। এগুলো সত্য ঘটনা। অহেতুক কথা বলে সময় নষ্ট করার দরকার নেই। তাঁর এ বক্তব্যের সময় সরকারি দলের অনেক সদস্য হইচই করে প্রতিবাদ জানান।

বিএনপি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, আফ্রিকান একটা প্রবাদ আছে, সিংহ যদি ইতিহাস লেখতে পারত, তাহলে প্রতিটি বিজয়গাথা শিকারির হতো না। সিংহেরও বিজয়গাথা থাকত। মুশকিল হলো, সব সময় ইতিহাস লেখে জয়ীরা। তিনি আরও বলেন, এত বড় সংসদে মাত্র দু–তিনটা বিরোধী কণ্ঠ শোনা যায়। সে সময়ও সরকারি দলের সাংসদেরা অসহিষ্ণু আচরণ করেন। তিনি বলেন, আর্কাইভ করতে হলে স্বীকার করতে হবে জিয়াউর রহমান ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম, সেক্টর কমান্ডার। সরকারের ব্যর্থতা, ভোট চুরি, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিতর্ক করা হচ্ছে।

রুমিনের বক্তব্যের সময়ও সরকারি দলের সাংসদেরা প্রতিবাদ করেন।

এসব বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে রুমিনের দিকে ইঙ্গিত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর মুখে কিছু মধু দেওয়া হয়। কারও কারও মুখে মনে হয় পিতা-মাতা দিতে ভুলে গেছেন। অত্যন্ত একজন বক্তার ব্যাপারে তিনি এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর ৪০ বছর পর সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে এলে সমস্যা কোথায়। জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি নেই, প্রমাণ করতে সমস্যা কী।

আইন প্রণয়ন কার্যাবলি শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই, সেটা ৪০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালের ২০ জুন জাতীয় সংসদে বলেছিলেন জিয়ার লাশের ছবি প্রকাশ করতে। কিন্তু তা করতে পারেনি। স্পিকারকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘ওখানে যে বাক্সটা আছে, তা সরিয়ে লুই কানের নকশা বাস্তবায়ন করেন।’

ছবি

দুদকের আবেদনে লতিফ বিশ্বাস ও পরিবারের বিদেশযাত্রা স্থগিত

ছবি

‘সংস্কার ছাড়া নতুন বাংলাদেশ আসবে না’ — বরগুনায় এনসিপির পথসভায় আহ্বায়ক

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

বিএনপির বিক্ষোভে ব্যবসায়ী হত্যা তদন্তের দাবি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ

ছবি

জাতীয় পার্টির বিভক্তির জন্য ক্ষমতাসীনদের দায় দেখছেন কিছু নেতা

ছবি

‘গুপ্ত সংগঠনের মব’ এর বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ

ছবি

‘তুমি টানতেছ কেন?’—পুলিশকে ধমক সাবেক মন্ত্রী কামরুলের

ছবি

সোহাগ হত্যা: আসামিদের পক্ষে লড়বেন না বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

ছবি

জয়-পুতুলের দান-অনুদান সংক্রান্ত নথি চেয়ে এনবিআরকে দুদকের চিঠি

ছবি

সোহাগ হত্যাকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের

ছবি

হাতিরঝিলে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

জরুরি অবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট আইন চায় এনসিপি

অপপ্রচারের জবাব দিতে তরুণদের সাইবার যুদ্ধে নামতে হবে’

ছবি

ইসি পুনর্গঠন ও শাপলা প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিলো এনসিপি

ছবি

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর বিএনপি কর্মীদের হামলা চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর

ছবি

ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল

ছবি

‘৯ লাখের শেয়ার লেনদেন, দিয়েছেন ২৫ হাজার’ — খাগড়াছড়িতে এনসিপি নেত্রীকে অভিযুক্ত করলেন সহকর্মী

ছবি

‘গণতান্ত্রিক অধিকারের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি’ — সজাগ থাকার আহ্বান তারেকের

ছবি

‘অন্তর্বর্তী সরকার অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কি না?’ – প্রশ্ন তারেক রহমানের

ছবি

সহিংসতা বন্ধ না করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি ভোগ করবে বিএনপি’ — হুঁশিয়ারি যুবশক্তির

ছবি

পরিকল্পিত প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তায় দেশে অরাজকতা, নির্বাচন বিলম্বের সুযোগ তৈরি করছে : যুবদল সভাপতি

ছবি

সোহাগ হত্যাকাণ্ডে বিএনপির কড়া প্রতিক্রিয়া, জড়িতদের শাস্তির দাবি

ছবি

‘নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না’ — সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে দুই দলের বিবৃতি

ছবি

জাতিসংঘ কার্যালয়কে ‘সার্বভৌমত্বের হুমকি’ আখ্যা দিয়ে তিন দাবি হেফাজতে ইসলামের

ছবি

সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বললেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

ছবি

“পাগলও বোঝে কারা ক্ষমতায় যাবে,” প্রতিবাদ সভায় দুদু

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক, জরুরি অবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগে আংশিক ঐকমত্য,আলোচনা চল‌বে : আলী রীয়াজ

ছবি

বিএনপি চায় না ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হোক: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

তরুণ ভোটার, সীমানা, পোস্টাল ব্যালট ও আইন সংশোধনে নানা প্রস্তাব ইসির

ছবি

“বিএনপি কি পাঁচ নম্বর দল?” ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যাচ্ছিলেন সালাহউদ্দিন, অনুরোধে ফিরে আসেন

অনলাইন নিবন্ধনে প্রবাসীদের ভোট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে আর ইভিএম নয়

ছবি

ছাত্রদলের অভিযোগ অস্বীকার, সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের

ছবি

শেখ হাসিনার গুলির নির্দেশের অডিও নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনকে একপেশে বললেন জয়

ছবি

বড়লেখায় জামায়াত নেতার ‘পাকিস্তান খ্যাত’ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ছাত্রদল, আইনগত ব্যবস্থার দাবি

ছবি

আইনশৃঙ্খলা থেকে পর্যবেক্ষক পর্যন্ত দায়িত্বে চার নির্বাচন কমিশনার

tab

রাজনীতি

সংসদে জিয়ার কবর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক। আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় বিএনপির সদস্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বিতর্ক হয়।

বিএনপিদলীয় সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মন্ত্রী ও সাংসদেরা বলছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধাই নন, তিনি পাকিস্তানের দোসর। হারুন আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। প্রথম, তৃতীয় ও অষ্টম ব্যাটালিয়নে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সরাসরি মাঠে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার সময় যে সেক্টর কমান্ডাররা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধে করেছেন, তাঁদের মধ্যে জেড ফোর্সের ২৮৭ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। এই সেক্টরের দুজন বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ বক্তব্যের জবাবে বলেন, জিয়াউর রহমান যত দিন ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলার বাণীর কোনো কপি আর্কাইভে রাখা হয়নি। বহু তথ্য–উপাত্ত তারা সরিয়েছে। কে এম খালিদ বলেন, ‘সংসদ ভবন নিয়ে লুই কানের যে নকশা, সেখানে কোথায় রয়েছে যে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করতে হবে? সেখানে লাশ আছে কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেগম জিয়া স্বামী মনে করে কাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান? তাঁরই উচিত এ প্রশ্ন করা, ওনার স্বামীর লাশ সেখানে আছে কি না? বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে নির্ণয় করা উচিত। আপনারা দলের নেতা ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন? ওখানে কি কারও মৃতদেহ আছে? নাকি অন্য কারও মৃতদেহ আছে?’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) নিরপেক্ষ একটা কমিটি করেন। সরকার সহযোগিতা করবে। সত্য উদ্ঘাটনে ভয়ের কী আছে? আপনাদের দলের নেত্রীকে বলেন, যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে, সাজা স্থগিত নিয়ে বসবাস করছেন। আইনের সুযোগ থাকলে তাঁর নেতৃত্বে কমিটি করেন।’

পরে এই বিলের সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুন বলেন, ‘পরনিন্দা, বিষোদ্গার ভালো নয়। সংসদের লবিতে পবিত্র কোরআনের আয়াত লেখা আছে, “তোমরা জানা সত্ত্বেও সত্য গোপন করিও না এবং সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মিশ্রিত করিও না”।’ তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে সংসদ ছিল, সে সংসদে আওয়ামী লীগের ৩৯ জন ছিলেন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জিয়াউর রহমানের জানাজায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। সংসদে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের লাশের পোস্টমর্টেম হয়েছে, সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচারও হয়েছে। এগুলো সত্য ঘটনা। অহেতুক কথা বলে সময় নষ্ট করার দরকার নেই। তাঁর এ বক্তব্যের সময় সরকারি দলের অনেক সদস্য হইচই করে প্রতিবাদ জানান।

বিএনপি থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, আফ্রিকান একটা প্রবাদ আছে, সিংহ যদি ইতিহাস লেখতে পারত, তাহলে প্রতিটি বিজয়গাথা শিকারির হতো না। সিংহেরও বিজয়গাথা থাকত। মুশকিল হলো, সব সময় ইতিহাস লেখে জয়ীরা। তিনি আরও বলেন, এত বড় সংসদে মাত্র দু–তিনটা বিরোধী কণ্ঠ শোনা যায়। সে সময়ও সরকারি দলের সাংসদেরা অসহিষ্ণু আচরণ করেন। তিনি বলেন, আর্কাইভ করতে হলে স্বীকার করতে হবে জিয়াউর রহমান ছিলেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম, সেক্টর কমান্ডার। সরকারের ব্যর্থতা, ভোট চুরি, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিতর্ক করা হচ্ছে।

রুমিনের বক্তব্যের সময়ও সরকারি দলের সাংসদেরা প্রতিবাদ করেন।

এসব বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে রুমিনের দিকে ইঙ্গিত করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর মুখে কিছু মধু দেওয়া হয়। কারও কারও মুখে মনে হয় পিতা-মাতা দিতে ভুলে গেছেন। অত্যন্ত একজন বক্তার ব্যাপারে তিনি এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর ৪০ বছর পর সঠিক ইতিহাস বেরিয়ে এলে সমস্যা কোথায়। জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি নেই, প্রমাণ করতে সমস্যা কী।

আইন প্রণয়ন কার্যাবলি শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই, সেটা ৪০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালের ২০ জুন জাতীয় সংসদে বলেছিলেন জিয়ার লাশের ছবি প্রকাশ করতে। কিন্তু তা করতে পারেনি। স্পিকারকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘ওখানে যে বাক্সটা আছে, তা সরিয়ে লুই কানের নকশা বাস্তবায়ন করেন।’

back to top