ফের নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে টাকা খেয়ে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত কবিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু-জুতা মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপির পদবঞ্চিত ও তৃণমুল নেতা-কর্মিরা।
রোববার বিকেলে কবিরহাট পৌরসভা এলাকার কবিরহাট বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কবিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কবিরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতাকমি ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি কবিরহাট বাজারের প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ বাঁধা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
এতে বিক্ষোভকারীরা ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে টাকা খেয়ে উক্ত ঘোষিত কমিটি দ্রুত বাতিল করার দাবি জানান এবং তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তী আরো কর্মসূচি ঘোষণা ও বিএনপি থেকে তারা একযোগে সবাই পদত্যাগ করার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত এ কমিটিতে পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র জুনিয়র মানা হয়নি। জেলা বিএনপির সভাপতি অর্থের বিনিময়ে এখানে জুনিয়র একজনকে সদস্য সচিব বানিয়েছে। যাকে সদস্য সচিব বানিয়েছে তার ভাই ও পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ করে। আওয়ামীলীগের তদবিরে তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ জন্য এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। আমাদের দাবি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঘোষিত কমিটি পুর্নবহাল করা হোক। এ ছাড়াও জেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব কামাল হোসেন অভিযোগ নাকচ করে বলেন,১৯৮৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আমি কবিরহাট কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। আমি ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে কবিরহাট পৌরসভার বিএনপির সহসভাপতি নির্বাচিত হই। এরপর ২০১৭ সালে আমি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ২০১৯ সাথে পুনরায় আবার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। এভাবে রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা আমি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হই। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মিরা দলীয় কর্মকান্ড করায় আমার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা দেয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন ফরহাদের পরিবার আওয়ামীগ নেতাদের সাথে সম্পর্ক রেখে চলে।
অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে টাকা খেয়ে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মিরা। একই সময়ে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আহছান উল্যাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো.শাহাজানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় স্লোগান দিয়ে বলে কালো টাকার কমিটি মানিনা মানবনা। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকার বসুরহাট বাজারে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতাকমি এ কর্মসূচি পালন করে । এর আগে শুক্রবার ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে বিএনপির প্রবীণ নেতা কাজী একরাম নতুন কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
ফের নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে টাকা খেয়ে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত কবিরহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু-জুতা মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপির পদবঞ্চিত ও তৃণমুল নেতা-কর্মিরা।
রোববার বিকেলে কবিরহাট পৌরসভা এলাকার কবিরহাট বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কবিরহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কবিরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতাকমি ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি কবিরহাট বাজারের প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ বাঁধা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
এতে বিক্ষোভকারীরা ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে টাকা খেয়ে উক্ত ঘোষিত কমিটি দ্রুত বাতিল করার দাবি জানান এবং তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তী আরো কর্মসূচি ঘোষণা ও বিএনপি থেকে তারা একযোগে সবাই পদত্যাগ করার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হুদা অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত এ কমিটিতে পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র জুনিয়র মানা হয়নি। জেলা বিএনপির সভাপতি অর্থের বিনিময়ে এখানে জুনিয়র একজনকে সদস্য সচিব বানিয়েছে। যাকে সদস্য সচিব বানিয়েছে তার ভাই ও পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ করে। আওয়ামীলীগের তদবিরে তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ জন্য এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। আমাদের দাবি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঘোষিত কমিটি পুর্নবহাল করা হোক। এ ছাড়াও জেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব কামাল হোসেন অভিযোগ নাকচ করে বলেন,১৯৮৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আমি কবিরহাট কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। আমি ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে কবিরহাট পৌরসভার বিএনপির সহসভাপতি নির্বাচিত হই। এরপর ২০১৭ সালে আমি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। তারপর ২০১৯ সাথে পুনরায় আবার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। এভাবে রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা আমি বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হই। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মিরা দলীয় কর্মকান্ড করায় আমার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা দেয়। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন ফরহাদের পরিবার আওয়ামীগ নেতাদের সাথে সম্পর্ক রেখে চলে।
অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে রোববার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে টাকা খেয়ে পকেট কমিটি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মিরা। একই সময়ে উপজেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আহছান উল্যাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো.শাহাজানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় স্লোগান দিয়ে বলে কালো টাকার কমিটি মানিনা মানবনা। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকার বসুরহাট বাজারে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতাকমি এ কর্মসূচি পালন করে । এর আগে শুক্রবার ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে বিএনপির প্রবীণ নেতা কাজী একরাম নতুন কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।