অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, প্রথম পূর্ণকালীন কোচ এবং ক্রিকেট ইতিহাসের প্রভাববিস্তারি ব্যক্তিত্ব বব সিম্পসন আর নেই। শনিবার ৮৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬২ টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন সিম্পসন। ওপেনার, লেগ স্পিনার ও দুর্দান্ত স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে তিনি ছিলেন বহুমুখী। টেস্টে তার রান ৪ হাজার ৮৬৯, উইকেট ৭১টি, ক্যাচ ১১০। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছেন ২১ হাজারের বেশি রান, নিয়েছেন ৩৪৯ উইকেট।
১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে তার ৩১১ রানের ম্যারাথন ইনিংস আজও ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয়। ১০ টেস্ট সেঞ্চুরির সবকটিই এসেছে অধিনায়ক হিসেবে। নেতৃত্বের ৩৯ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৫৪-এর বেশি।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি দায়িত্ব নিয়ে অ্যালান বোর্ডারের সঙ্গে গড়ে তোলেন শৃঙ্খলাপূর্ণ, ফিটনেসনির্ভর সংস্কৃতি। তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ, ১৯৮৯ অ্যাশেজ ও ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ঐতিহাসিক সিরিজ।
ডেভিড বুন, স্টিভ ওয়াহ, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংদের মতো প্রজন্ম গড়ে তোলার পেছনেও ছিল সিম্পসনের অবদান। অনেকের চোখে তিনি সর্বকালের সেরা কোচ। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও কাউন্টি ও ভারতের কোচিংয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৬৫ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সিম্পসন। ১৯৭৮ সালে পান ‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’, পরে হন ‘অফিসার অব অস্ট্রেলিয়া’। আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হল অব ফেমেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ খেলোয়াড়ি ও কোচিং জীবনে অসংখ্য কীর্তি গড়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন বব সিম্পসন। অনন্তলোকে পাড়ি জমালেও ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি রয়ে যাবেন অমর।
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, প্রথম পূর্ণকালীন কোচ এবং ক্রিকেট ইতিহাসের প্রভাববিস্তারি ব্যক্তিত্ব বব সিম্পসন আর নেই। শনিবার ৮৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬২ টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন সিম্পসন। ওপেনার, লেগ স্পিনার ও দুর্দান্ত স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে তিনি ছিলেন বহুমুখী। টেস্টে তার রান ৪ হাজার ৮৬৯, উইকেট ৭১টি, ক্যাচ ১১০। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছেন ২১ হাজারের বেশি রান, নিয়েছেন ৩৪৯ উইকেট।
১৯৬৪ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে তার ৩১১ রানের ম্যারাথন ইনিংস আজও ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয়। ১০ টেস্ট সেঞ্চুরির সবকটিই এসেছে অধিনায়ক হিসেবে। নেতৃত্বের ৩৯ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৫৪-এর বেশি।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি দায়িত্ব নিয়ে অ্যালান বোর্ডারের সঙ্গে গড়ে তোলেন শৃঙ্খলাপূর্ণ, ফিটনেসনির্ভর সংস্কৃতি। তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া জেতে ১৯৮৭ বিশ্বকাপ, ১৯৮৯ অ্যাশেজ ও ১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ঐতিহাসিক সিরিজ।
ডেভিড বুন, স্টিভ ওয়াহ, শেন ওয়ার্ন, রিকি পন্টিংদের মতো প্রজন্ম গড়ে তোলার পেছনেও ছিল সিম্পসনের অবদান। অনেকের চোখে তিনি সর্বকালের সেরা কোচ। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও কাউন্টি ও ভারতের কোচিংয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৬৫ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সিম্পসন। ১৯৭৮ সালে পান ‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’, পরে হন ‘অফিসার অব অস্ট্রেলিয়া’। আইসিসি ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের হল অব ফেমেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ খেলোয়াড়ি ও কোচিং জীবনে অসংখ্য কীর্তি গড়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন বব সিম্পসন। অনন্তলোকে পাড়ি জমালেও ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি রয়ে যাবেন অমর।