কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ
চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রেখেছিল ব্রাজিলের যুবারা। আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে হলে করতে হতো ৪ গোল। কিন্তু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে চার গোল তো দেয়া হয়নি, বরং ৩-২ গোলে হেরেছে ক্লদিও এচেভেরির দল। ফাইনাল পর্ব শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাই অনেকটা হেসেখেলেই কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলল ব্রাজিল।
নিজেদের ম্যাচটা শেষ করেই ব্রাজিল দল চলে এসেছিল আর্জেন্টিনা ম্যাচের ভেন্যুতে। প্যারাগুয়ের তৃতীয় গোলের পর তাদের উচ্ছ্বাসই ছিল সবচেয়ে বেশি। ডিয়েগো লিওনের সেই গোলের পর আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জয়ের জন্য করতে হতো আরও ৫ গোল। কিন্তু ৮২ মিনিটে গোল হজমের পর ৫ গোল দেয়ার স্বপ্ন দেখাটাও বেশ কঠিনই বটে।
আর্জেন্টিনার হারের এপিটাফ অবশ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল আরও অনেকটা আগেই। চিলির বিপক্ষে ব্রাজিল ৩-০ গোলে জিতেছিল কয়েক ঘণ্টা আগেই। এমন অবস্থায় শিরোপা জিততে আর্জেন্টিনার জন্য ভরসা ছিল গোল ব্যবধান। চার গোলের নিচে জয় পেলেও তাদের লাভ হতো না সে অর্থে। কিন্তু আর্জেন্টিনা যুবারা ম্যাচে পিছিয়ে যায় ৩০ মিনিটেই। লুকা কেমেটের গোল লিড নেয় প্যারাগুয়ে।
বিরতির পর ফের গোল হজম করে তারা। তিয়াগো ইসায়াসের গোলে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে অবশ্য ৬৭ মিনিটের মাঝে ম্যাচে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল ক্যারিজোর। কিন্তু সেখান থেকে শিরোপার দৌড়ে আর্জেন্টাইন যুবারা নিজেদের আর এগিয়ে নিতে পারেনি। উল্টো ডিয়েগো লিওনের ৮২ মিনিটের গোল নিশ্চিত করে ব্রাজিলের শিরোপা।
নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলও ঝড় তুলেছে একেবারে শেষে এসে। চিলির যুবাদের বিপক্ষে ম্যাচের একটা লম্বা সময় পর্যন্ত দেখা মেলেনি গোলের। কিন্তু যখন দরকার, তখনই সেলেসাও যুবারা নিজেদের জাত চেনালো দারুণভাবে। ৭৩ থেকে ৮৮, এই ১৫ মিনিটে একে একে ৩ গোল প্রতিপক্ষের জালে পুরেছে তারা। শুরুটা করেছিলেন ডেভিড ওয়াশিংটন।
এরপর ৭৮ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় চিলি। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইভান রোমান। ১ জন বাড়তি থাকার সুবিধাটা ব্রাজিল এরপর আদায় করেছে দারুণভাবে। ৮৬ মিনিটেই ব্যবধান ২-০ করেন পেদ্রো। আর মিনিট দুয়েক পরেই ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন রিকার্ডো ম্যাথিয়াস। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ব্রাজিলের রবার্তো পিন্টো লালকার্ড হজম করলেও সেটা তাদের খুব একটা ভাবায়নি।
কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে নেই ফাইনাল বা সেমিফাইনাল। এখানে লিগ পদ্ধতিতে শীর্ষে থাকা দলই হয় চ্যাম্পিয়ন। ব্রাজিল নিজেদের কাজটা সেখানেই সেরেছে। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল পর্ব শেষ করেছে তারা। আর্জেন্টিনার ঝুলিতে ১০ পয়েন্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচটা ৬-০ গোলের হার দিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নের হাসিটা ব্রাজিলেরই থাকলো।
কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রেখেছিল ব্রাজিলের যুবারা। আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে হলে করতে হতো ৪ গোল। কিন্তু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে চার গোল তো দেয়া হয়নি, বরং ৩-২ গোলে হেরেছে ক্লদিও এচেভেরির দল। ফাইনাল পর্ব শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাই অনেকটা হেসেখেলেই কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলল ব্রাজিল।
নিজেদের ম্যাচটা শেষ করেই ব্রাজিল দল চলে এসেছিল আর্জেন্টিনা ম্যাচের ভেন্যুতে। প্যারাগুয়ের তৃতীয় গোলের পর তাদের উচ্ছ্বাসই ছিল সবচেয়ে বেশি। ডিয়েগো লিওনের সেই গোলের পর আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জয়ের জন্য করতে হতো আরও ৫ গোল। কিন্তু ৮২ মিনিটে গোল হজমের পর ৫ গোল দেয়ার স্বপ্ন দেখাটাও বেশ কঠিনই বটে।
আর্জেন্টিনার হারের এপিটাফ অবশ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল আরও অনেকটা আগেই। চিলির বিপক্ষে ব্রাজিল ৩-০ গোলে জিতেছিল কয়েক ঘণ্টা আগেই। এমন অবস্থায় শিরোপা জিততে আর্জেন্টিনার জন্য ভরসা ছিল গোল ব্যবধান। চার গোলের নিচে জয় পেলেও তাদের লাভ হতো না সে অর্থে। কিন্তু আর্জেন্টিনা যুবারা ম্যাচে পিছিয়ে যায় ৩০ মিনিটেই। লুকা কেমেটের গোল লিড নেয় প্যারাগুয়ে।
বিরতির পর ফের গোল হজম করে তারা। তিয়াগো ইসায়াসের গোলে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে অবশ্য ৬৭ মিনিটের মাঝে ম্যাচে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল ক্যারিজোর। কিন্তু সেখান থেকে শিরোপার দৌড়ে আর্জেন্টাইন যুবারা নিজেদের আর এগিয়ে নিতে পারেনি। উল্টো ডিয়েগো লিওনের ৮২ মিনিটের গোল নিশ্চিত করে ব্রাজিলের শিরোপা।
নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলও ঝড় তুলেছে একেবারে শেষে এসে। চিলির যুবাদের বিপক্ষে ম্যাচের একটা লম্বা সময় পর্যন্ত দেখা মেলেনি গোলের। কিন্তু যখন দরকার, তখনই সেলেসাও যুবারা নিজেদের জাত চেনালো দারুণভাবে। ৭৩ থেকে ৮৮, এই ১৫ মিনিটে একে একে ৩ গোল প্রতিপক্ষের জালে পুরেছে তারা। শুরুটা করেছিলেন ডেভিড ওয়াশিংটন।
এরপর ৭৮ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় চিলি। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইভান রোমান। ১ জন বাড়তি থাকার সুবিধাটা ব্রাজিল এরপর আদায় করেছে দারুণভাবে। ৮৬ মিনিটেই ব্যবধান ২-০ করেন পেদ্রো। আর মিনিট দুয়েক পরেই ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন রিকার্ডো ম্যাথিয়াস। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ব্রাজিলের রবার্তো পিন্টো লালকার্ড হজম করলেও সেটা তাদের খুব একটা ভাবায়নি।
কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে নেই ফাইনাল বা সেমিফাইনাল। এখানে লিগ পদ্ধতিতে শীর্ষে থাকা দলই হয় চ্যাম্পিয়ন। ব্রাজিল নিজেদের কাজটা সেখানেই সেরেছে। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল পর্ব শেষ করেছে তারা। আর্জেন্টিনার ঝুলিতে ১০ পয়েন্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচটা ৬-০ গোলের হার দিয়ে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নের হাসিটা ব্রাজিলেরই থাকলো।