ম্যানইউর হয়ে জোড়া গোল করেন ম্যাসন
ইউরোপা ফুটবল লীগের ফাইনালে উঠেছে দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার ৪-১ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওকে। প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতেছিল ম্যান ইউ। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ গোলে জয়ের ব্যবধানে ফাইনাল নিশ্চিত করে ম্যান ইউ।
আরেক সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টটেনহাম ২-০ গোলে হারিয়েছে বোডো/গ্লিমটকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয় পাওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে টটেনহাম।
নিজেদের মাঠে ৩১ মিনিটেই গোল হজম করে ম্যানচেস্টার । বিলবাওকে এগিয়ে দেন মিকেল জাউরেগিজার। প্রথমার্ধে গোল পরিশোধ করতে পারেনি ম্যান ইউ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল ম্যান ইউ । কিন্তু গোলের জন্য ৭২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাদের। ৭২ থেকে ৯১ মিনিটের মধ্যে চার গোল আদায় করে ম্যানচেস্টার।
ম্যাসন মাউন্ট ৭২ ও ৯১ মিনিটে, কাসেমিরো ৭৯ মিনিটে এবং রাসমাস হোলান্ড ৮৫ মিনিটে গোলগুলো করেন। এতে ৪-১ গোলের জয়ে ২০২১ সালের পর আবারও টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত হয় ম্যান ইউর।
ম্যাচ শেষে ম্যান ইউ কোচ রুবেন আমোরিম বলেন, ‘ম্যাচটি বেশ কঠিন ছিল। কারণ আমরা শুরুতে গোল হজম করেছি। তারপরও আমরা হাল ছাড়িনি। লড়াই করেছি এবং শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছি। আমার মনে হয় ফাইনালে যাওয়া আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’
এদিকে, প্রথম লেগের জয় নিয়ে বোডো/গ্লিমটকের মাঠে দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামে টটেনহাম। প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে পারেনি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে ৬ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল আদায় করে নেয় টটেনহাম। দলের হয়ে গোল দু’টি করেন ডোমিনিক সোলাঙ্কে (৬৩ মিনিট) ও পেদ্রো পোরো (৬৯ মিনিট)। ২-০ গোলের জয়ে ৪১ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করে টটেনহাম। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে সর্বশেষ ইউরোপা লীগ জিতেছিল টটেনহাম। আগামী ২১ মে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যান ইউ ও টটেনহাম।
‘টটেনহ্যাম ফাইনালে ওঠায়
অনেকের মন খারাপ হবে’
প্রিমিয়ার লীগে দলের ভীষণ বাজে পারফরফরম্যান্সে মৌসুমজুড়ে তীব্র সমালোচনা সইতে হয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ ও খেলোয়াড়দের। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অবশ্য পুরোই ভিন্ন রূপ তাদের। দাপটের সঙ্গে ইউরোপ লীগের ফাইনালে উঠে সমালোচকদের দিকে এবার পাল্টা তীর ছুড়লেন দলটির কোচ আঞ্জে পোস্তেকগলু।
‘ফাইনালে ওঠা যদি এতই সহজ হয়, তাহলে তারা (প্রিমিয়ার লীগে যারা সেরা তিনে থাকে) কেন এটা করতে পারে না।’
এবারের লীগে একের পর এক হার ও ড্রয়ে টেবিলের ১৬ নম্বরে নেমে গেছে টটেনহ্যাম। খুব কঠিন এই সময়ের মাঝেই অবশ্য ইউরোপা লীগে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে ২০০৮ সালের পর প্রথম শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।
এত সমস্যার ভিড়েও ফাইনালে উঠতে পেরে আনন্দের শেষ নেই কোচ-খেলোয়াড়দের। পোস্তেকগলুর সেটা হয়তো আরও বেশি, আর তা অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হওয়ার কারণেই। তাইতো সুযোগ পেয়ে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়লেন না তিনি।
‘এতে (টটেনহ্যাম ফাইনালে ওঠায়) অনেকের হয়তো মন খারাপ হবে, তাই নয় কি? বিতর্ক বৃদ্ধি পাবে। সর্বশেষটা হলো, আমরা জিতলেও আমাদের মধ্যে কেউ ট্রফি পাওয়ার যোগ্য হবে না। তাই তারা কেবল দলের একটা ছবি তুলবে, কারণ আমরা (ট্রফি পাওয়ার) যোগ্য না।’
‘আমি বলতে চাই, লীগে আমরা যে ভুগছি, তাতে কার কী আসে-যায়? সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ব্যাপার। লীগের ফর্মের সঙ্গে এর তো কোনো সম্পর্ক নেই। কোন দল ভুগছে আর কারা না, আমার কাছে এর কোনো গুরুত্ব নেই। আমার মতে, আমরা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ফাইনাল খেলার) যোগ্যতা অর্জন করেছি।’
টটেনহ্যামের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও প্রিমিয়ার লীগে সময়টা খুব বাজে কাটছে।
লীগে এখন পর্যন্ত ৩৫ রাউন্ডে ১০ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে আছে হুবের আমুরির ইউনাইটেড। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে ১৬ নম্বরে টটেনহ্যাম।
ম্যানইউর হয়ে জোড়া গোল করেন ম্যাসন
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
ইউরোপা ফুটবল লীগের ফাইনালে উঠেছে দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার ৪-১ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওকে। প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জিতেছিল ম্যান ইউ। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ গোলে জয়ের ব্যবধানে ফাইনাল নিশ্চিত করে ম্যান ইউ।
আরেক সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টটেনহাম ২-০ গোলে হারিয়েছে বোডো/গ্লিমটকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয় পাওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে টটেনহাম।
নিজেদের মাঠে ৩১ মিনিটেই গোল হজম করে ম্যানচেস্টার । বিলবাওকে এগিয়ে দেন মিকেল জাউরেগিজার। প্রথমার্ধে গোল পরিশোধ করতে পারেনি ম্যান ইউ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল ম্যান ইউ । কিন্তু গোলের জন্য ৭২ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাদের। ৭২ থেকে ৯১ মিনিটের মধ্যে চার গোল আদায় করে ম্যানচেস্টার।
ম্যাসন মাউন্ট ৭২ ও ৯১ মিনিটে, কাসেমিরো ৭৯ মিনিটে এবং রাসমাস হোলান্ড ৮৫ মিনিটে গোলগুলো করেন। এতে ৪-১ গোলের জয়ে ২০২১ সালের পর আবারও টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত হয় ম্যান ইউর।
ম্যাচ শেষে ম্যান ইউ কোচ রুবেন আমোরিম বলেন, ‘ম্যাচটি বেশ কঠিন ছিল। কারণ আমরা শুরুতে গোল হজম করেছি। তারপরও আমরা হাল ছাড়িনি। লড়াই করেছি এবং শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছি। আমার মনে হয় ফাইনালে যাওয়া আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’
এদিকে, প্রথম লেগের জয় নিয়ে বোডো/গ্লিমটকের মাঠে দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামে টটেনহাম। প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে পারেনি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে ৬ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল আদায় করে নেয় টটেনহাম। দলের হয়ে গোল দু’টি করেন ডোমিনিক সোলাঙ্কে (৬৩ মিনিট) ও পেদ্রো পোরো (৬৯ মিনিট)। ২-০ গোলের জয়ে ৪১ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করে টটেনহাম। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে সর্বশেষ ইউরোপা লীগ জিতেছিল টটেনহাম। আগামী ২১ মে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যান ইউ ও টটেনহাম।
‘টটেনহ্যাম ফাইনালে ওঠায়
অনেকের মন খারাপ হবে’
প্রিমিয়ার লীগে দলের ভীষণ বাজে পারফরফরম্যান্সে মৌসুমজুড়ে তীব্র সমালোচনা সইতে হয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ ও খেলোয়াড়দের। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অবশ্য পুরোই ভিন্ন রূপ তাদের। দাপটের সঙ্গে ইউরোপ লীগের ফাইনালে উঠে সমালোচকদের দিকে এবার পাল্টা তীর ছুড়লেন দলটির কোচ আঞ্জে পোস্তেকগলু।
‘ফাইনালে ওঠা যদি এতই সহজ হয়, তাহলে তারা (প্রিমিয়ার লীগে যারা সেরা তিনে থাকে) কেন এটা করতে পারে না।’
এবারের লীগে একের পর এক হার ও ড্রয়ে টেবিলের ১৬ নম্বরে নেমে গেছে টটেনহ্যাম। খুব কঠিন এই সময়ের মাঝেই অবশ্য ইউরোপা লীগে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে ২০০৮ সালের পর প্রথম শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।
এত সমস্যার ভিড়েও ফাইনালে উঠতে পেরে আনন্দের শেষ নেই কোচ-খেলোয়াড়দের। পোস্তেকগলুর সেটা হয়তো আরও বেশি, আর তা অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হওয়ার কারণেই। তাইতো সুযোগ পেয়ে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়লেন না তিনি।
‘এতে (টটেনহ্যাম ফাইনালে ওঠায়) অনেকের হয়তো মন খারাপ হবে, তাই নয় কি? বিতর্ক বৃদ্ধি পাবে। সর্বশেষটা হলো, আমরা জিতলেও আমাদের মধ্যে কেউ ট্রফি পাওয়ার যোগ্য হবে না। তাই তারা কেবল দলের একটা ছবি তুলবে, কারণ আমরা (ট্রফি পাওয়ার) যোগ্য না।’
‘আমি বলতে চাই, লীগে আমরা যে ভুগছি, তাতে কার কী আসে-যায়? সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি ব্যাপার। লীগের ফর্মের সঙ্গে এর তো কোনো সম্পর্ক নেই। কোন দল ভুগছে আর কারা না, আমার কাছে এর কোনো গুরুত্ব নেই। আমার মতে, আমরা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ফাইনাল খেলার) যোগ্যতা অর্জন করেছি।’
টটেনহ্যামের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেরও প্রিমিয়ার লীগে সময়টা খুব বাজে কাটছে।
লীগে এখন পর্যন্ত ৩৫ রাউন্ডে ১০ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে আছে হুবের আমুরির ইউনাইটেড। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে ১৬ নম্বরে টটেনহ্যাম।