প্রথম ম্যাচে হারের পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। ডাম্বুলার রানগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
রানের ব্যবধানে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
১৩ ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেলেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ইনিংসে দুটি জীবন পেয়েও তা কাজে লাগিয়ে ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, হাঁকান ১ চার ও ৫ ছক্কা। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন শামীম হোসেন। শামীম মাত্র ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৮ রান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। মাত্র ৫ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান। এরপর লিটন ও হৃদয়ের ব্যাটে আসে জুটি, যদিও রানের গতি ছিল মন্থর।
তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও শামীমের ৩৯ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো জুটিতেই চাঙ্গা হয় স্কোরবোর্ড। শেষ দিকে কিছু উইকেট হারালেও দল পায় লড়াকু সংগ্রহ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারে রানআউটে কুসাল মেন্ডিসকে ফেরান শামীম। এরপর একে একে ফিরেন পেরেরা, আভিশকা, আসালাঙ্কা।
মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তখন নিসাঙ্কা ও শানাকা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা ভাঙে রিশাদ হোসেনের হাতে। মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
রিশাদ ৩.২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। শরিফুল, সাইফউদ্দিন ২টি করে এবং মুস্তাফিজ, মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন নিসাঙ্কা, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে শানাকার ব্যাট থেকে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী বুধবার, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (তানজিদ ৫, পারভেজ ০, লিটন ৭৬, হৃদয় ৩১, মিরাজ ১, শামীম ৪৮, জাকের ৩, রিশাদ ০, সাইফ ৬; থুসারা ৪-০-৩০-১, বিনুরা ৪-০-৩১-৩, শানাকা ২-০-২৩-০, থিকশানা ৪-০-৩০-১, ভ্যান্ডারসে ৪-০-৪০-০, কারুনারাত্নে ২-০-১৮-০)
শ্রীলঙ্কা: ১৫.২ ওভারে ৯৪ (নিসাঙ্কা ৩২, কুসাল মেন্ডিস ৮, কুসাল পেরেরা ০, আভিশকা ২, আসালাঙ্কা ৫, শানাকা ২০, কারুনারাত্নে ০, ভ্যান্ডারসে ৮, থিকশানা ৬, বিনুরা ৬, থুসারা ০; শরিফুল ৩-০-১২-২, সাইফউদ্দিন ৩-০-২১-২, মুস্তাফিজ ৩-০-১৪-১, মিরাজ ৩-০-২৬-১, রিশাদ ৩.২-০-১৮-৩)
ফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ীফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ী
সিরিজ: ১-১ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: লিটন কুমার দাস
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
প্রথম ম্যাচে হারের পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। ডাম্বুলার রানগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
রানের ব্যবধানে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
১৩ ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেলেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ইনিংসে দুটি জীবন পেয়েও তা কাজে লাগিয়ে ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, হাঁকান ১ চার ও ৫ ছক্কা। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন শামীম হোসেন। শামীম মাত্র ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৮ রান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। মাত্র ৫ রানে ফিরে যান দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান। এরপর লিটন ও হৃদয়ের ব্যাটে আসে জুটি, যদিও রানের গতি ছিল মন্থর।
তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন ও শামীমের ৩৯ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো জুটিতেই চাঙ্গা হয় স্কোরবোর্ড। শেষ দিকে কিছু উইকেট হারালেও দল পায় লড়াকু সংগ্রহ।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারে রানআউটে কুসাল মেন্ডিসকে ফেরান শামীম। এরপর একে একে ফিরেন পেরেরা, আভিশকা, আসালাঙ্কা।
মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তখন নিসাঙ্কা ও শানাকা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা ভাঙে রিশাদ হোসেনের হাতে। মাত্র ২৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
রিশাদ ৩.২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। শরিফুল, সাইফউদ্দিন ২টি করে এবং মুস্তাফিজ, মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন নিসাঙ্কা, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে শানাকার ব্যাট থেকে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী বুধবার, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭৭/৭ (তানজিদ ৫, পারভেজ ০, লিটন ৭৬, হৃদয় ৩১, মিরাজ ১, শামীম ৪৮, জাকের ৩, রিশাদ ০, সাইফ ৬; থুসারা ৪-০-৩০-১, বিনুরা ৪-০-৩১-৩, শানাকা ২-০-২৩-০, থিকশানা ৪-০-৩০-১, ভ্যান্ডারসে ৪-০-৪০-০, কারুনারাত্নে ২-০-১৮-০)
শ্রীলঙ্কা: ১৫.২ ওভারে ৯৪ (নিসাঙ্কা ৩২, কুসাল মেন্ডিস ৮, কুসাল পেরেরা ০, আভিশকা ২, আসালাঙ্কা ৫, শানাকা ২০, কারুনারাত্নে ০, ভ্যান্ডারসে ৮, থিকশানা ৬, বিনুরা ৬, থুসারা ০; শরিফুল ৩-০-১২-২, সাইফউদ্দিন ৩-০-২১-২, মুস্তাফিজ ৩-০-১৪-১, মিরাজ ৩-০-২৬-১, রিশাদ ৩.২-০-১৮-৩)
ফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ীফল: বাংলাদেশ ৮৩ রানে জয়ী
সিরিজ: ১-১ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: লিটন কুমার দাস