বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিলো নভেল করোনাভাইরাস কভিড-১৯ এর সংক্রমন। অবস্থা সামাল দিতে আগামী ৫ এপ্রিল সোমবার থেকে লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর প্রভাব পড়তে পারে ক্রিকেট অঙ্গনেও। আপাতত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তেমন ব্যস্ততা নেই। নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করে দেশে ফিরছে দল। তিনদিন আগেই জাতীয় ক্রিকেট লিগ করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। ইমার্জিং দলেরও কোনও সূচি নেই। তবে বাংলাদেশের নারী ইমার্জিং দলের সাথে দক্ষিন আফ্রিকান নারী ইমার্জিং দলের সিরিজ, পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর এবং চলমান বাংলাদেশ গেমস ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে সরকারী সিদ্ধান্তের ওপর।
আজ ৪ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ ইমার্জিং দল বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দলের মধ্যকার সিরিজ।
এই সিরিজ প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লকডাউন যেহেতু সোমবার থেকে, তার আগে আগামীকাল ( আজ ০৪ এপ্রিল রোববার) যে ম্যাচটি শুরু (বাংলাদেশ বনাম দক্ষিন আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দলের প্রথম ম্যাচ) হওয়ার কথা, সেটি যথা নিয়মে চলবে। সিরিজের বাকীটা নির্ভর করবে সরকারের প্রজ্ঞাপনের ওপর।
বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী বলেন, সরকার খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা না দিলে আমরা এখন যে রকম সুরক্ষা প্রোটোকল আছে সেটি বাড়িয়ে দেব।
চলমান বাংলাদেশ গেমসের নবম আসরে ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা চলবে কি না সে বিষয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ গেমসের বিষয় পুরোটাই নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ গেমস নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই আমরা ক্রিকেট পরিচালনা করবো।
এদিকে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে একটি চার দিনের ম্যাচ ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসার কথা পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের। ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ঢাকা ও সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৯ এপ্রিল চার দিনের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ানোর কথা সিরিজটি। সূচি অনুযায়ী, পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর তারিখ ২৬ এপ্রিল। এই ম্যাচের সঙ্গে ২৮ ও ৩০ এপ্রিলের দুটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচও হওয়ার কথা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ ও ৫ মে চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে’র দিন তারিখ নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু লকডাউনের ঘোষণার পর এই সিরিজটা নিয়েও শঙ্কা তৈরী হয়েছে।
বিসিবি’র ন্যাশনাল গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কায়সার গতকাল শনিবার বলেছেন, সরকারি নির্দেশনাগুলো জানার পর আমাদের ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই আসলে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি। সিরিজ আয়োজনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলে তো সিরিজ আয়োজন করার কোনও সম্ভাবনা নেই।
কায়সার আরও বলেছেন, নির্দেশনা আসার পর আমরা নিজেরাও পর্যালোচনা করে দেখবো, আমাদের মুভ করার মতো সুযোগ আছে কিনা। মুভ করার মতো অবস্থা না থাকলে এই মুহূর্তে যে ঝুঁকিটা তৈরি হয়েছে, সেখানে খেলা চালানো কঠিন। তবে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষা করছি।
আবু ইমাম মোহাম্মদ কায়সার আরো বলেন, ক্যাম্প শুরু করার কথা ছিল ৬ এপ্রিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে টার্গেট করেই এই প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করার কথা ছিল। এই মুহূর্তে যুবারা যে যার বাসাতেই অবস্থান করছে। যদি সিরিজটি স্থগিত হয়, তাহলে ক্যাম্প শুরু করার কারণ দেখি না। আপাতত আমরা বিস্তারিত নির্দেশনার অপেক্ষা করছি। পরিস্থিতির কারণে যদি স্থগিত করতে হয়, তাহলে স্থগিত হবে। এটা তো জাতীয় সমস্যা।
শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২১
বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিলো নভেল করোনাভাইরাস কভিড-১৯ এর সংক্রমন। অবস্থা সামাল দিতে আগামী ৫ এপ্রিল সোমবার থেকে লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর প্রভাব পড়তে পারে ক্রিকেট অঙ্গনেও। আপাতত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তেমন ব্যস্ততা নেই। নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করে দেশে ফিরছে দল। তিনদিন আগেই জাতীয় ক্রিকেট লিগ করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। ইমার্জিং দলেরও কোনও সূচি নেই। তবে বাংলাদেশের নারী ইমার্জিং দলের সাথে দক্ষিন আফ্রিকান নারী ইমার্জিং দলের সিরিজ, পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বাংলাদেশ সফর এবং চলমান বাংলাদেশ গেমস ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে সরকারী সিদ্ধান্তের ওপর।
আজ ৪ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ ইমার্জিং দল বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দলের মধ্যকার সিরিজ।
এই সিরিজ প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লকডাউন যেহেতু সোমবার থেকে, তার আগে আগামীকাল ( আজ ০৪ এপ্রিল রোববার) যে ম্যাচটি শুরু (বাংলাদেশ বনাম দক্ষিন আফ্রিকা ইমার্জিং নারী দলের প্রথম ম্যাচ) হওয়ার কথা, সেটি যথা নিয়মে চলবে। সিরিজের বাকীটা নির্ভর করবে সরকারের প্রজ্ঞাপনের ওপর।
বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী বলেন, সরকার খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা না দিলে আমরা এখন যে রকম সুরক্ষা প্রোটোকল আছে সেটি বাড়িয়ে দেব।
চলমান বাংলাদেশ গেমসের নবম আসরে ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা চলবে কি না সে বিষয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ গেমসের বিষয় পুরোটাই নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ গেমস নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই আমরা ক্রিকেট পরিচালনা করবো।
এদিকে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে একটি চার দিনের ম্যাচ ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসার কথা পাকিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের। ম্যাচগুলো হওয়ার কথা ঢাকা ও সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৯ এপ্রিল চার দিনের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ানোর কথা সিরিজটি। সূচি অনুযায়ী, পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর তারিখ ২৬ এপ্রিল। এই ম্যাচের সঙ্গে ২৮ ও ৩০ এপ্রিলের দুটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচও হওয়ার কথা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ ও ৫ মে চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডে’র দিন তারিখ নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু লকডাউনের ঘোষণার পর এই সিরিজটা নিয়েও শঙ্কা তৈরী হয়েছে।
বিসিবি’র ন্যাশনাল গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কায়সার গতকাল শনিবার বলেছেন, সরকারি নির্দেশনাগুলো জানার পর আমাদের ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই আসলে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি। সিরিজ আয়োজনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলে তো সিরিজ আয়োজন করার কোনও সম্ভাবনা নেই।
কায়সার আরও বলেছেন, নির্দেশনা আসার পর আমরা নিজেরাও পর্যালোচনা করে দেখবো, আমাদের মুভ করার মতো সুযোগ আছে কিনা। মুভ করার মতো অবস্থা না থাকলে এই মুহূর্তে যে ঝুঁকিটা তৈরি হয়েছে, সেখানে খেলা চালানো কঠিন। তবে আমরা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষা করছি।
আবু ইমাম মোহাম্মদ কায়সার আরো বলেন, ক্যাম্প শুরু করার কথা ছিল ৬ এপ্রিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে টার্গেট করেই এই প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করার কথা ছিল। এই মুহূর্তে যুবারা যে যার বাসাতেই অবস্থান করছে। যদি সিরিজটি স্থগিত হয়, তাহলে ক্যাম্প শুরু করার কারণ দেখি না। আপাতত আমরা বিস্তারিত নির্দেশনার অপেক্ষা করছি। পরিস্থিতির কারণে যদি স্থগিত করতে হয়, তাহলে স্থগিত হবে। এটা তো জাতীয় সমস্যা।