স্পেনিশ লা লিগা
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ রবিবার সেভিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় স্পেনিশ লা লিগার শিরোপার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর খেলতে নেমেই হেরে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো। মার্কোস অ্যাকুনা দ্বিতীয়ার্ধে হেডে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় শীর্ষস্থানীয় তিন দল অ্যাটলেটিকো, রিয়াল এবং বার্সেলোনার মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে। অ্যাটলেটিকোর চেয়ে রিয়াল এখন পিছিয়ে আছে তিন পয়েন্টে। বার্সেলোনা তাদের ম্যাচে জিততে পারলে ব্যবধান কমে হবে মাত্র এক। আন্তর্জাতিক বিরতির পর খেলতে নেমে অ্যাটলেটিকোকে মনে হয়েছে একেবারে ছন্নছাড়া একটি দল। অথচ মনে করা হয়েছিল মার্চ মাসের বিরতির পর তারা দুরন্ত একটি দল হিসেবে মাঠে নেমে শিরোপার লড়াইয়ে আরও এগিয়ে যাবে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেভিয়া ছিল সেরা দল। তারা সাত মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিল। ইভান র্যাকিটিচকে সাউল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। লুকাস ওক্যাম্পোসের নেয়া পেনাল্টি বাচিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওব্ল্যাক। এ নিয়ে পর পর দুই ম্যাচে পেনাল্টি বাচালেন ওব্ল্যাক। এর পর আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন ওক্যাম্পোস। কিন্তু এবারও তিনি ব্যর্থ হন গোল করতে। ম্যাচের আগে অসুস্থতার কারণে অ্যাটলেটিকো দলে নিতে পারেনি স্টেফান স্যাভিচকে। খেলার সময়ে আঘাত পাওয়ায় মাঠ ছাড়েন রেনান লোডি। অপেক্ষাকৃত অনেক খারাপ খেলেও অ্যাটলেটিকো প্রথমার্ধ গোলশূন্য রেখে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়। বিরতির পর তাদের খেলায় কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ১৬ সেকেন্ডের মাথায় অ্যাঞ্জেল কোরেয়া দারুন একটি ক্রস করেছিলেন। কিন্তু লুইস সুয়ারেজ মাত্র কয়েক ইঞ্চির জন্য সেটির নাগাল পাননি।
এর পর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা বেশ জমে উঠে। র্যাকিটিচের ভলি অল্পের জন্য বাইরে যায়। অপর দিকে অ্যাটলেটিকোর মার্কোস লরেন্তে এবং কোকেও বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন। খেলার একমাত্র গোলটি হয় ৭০ মিনিটে। গোলের আগে ঘটে কিছু ঘটনা। কিয়েরান ট্রিপিয়ারে বল প্রতিহত করতে গিয়ে অক্যাম্পোস করেন হ্যান্ডবল। এর পর তারা আবার বলের দখল ফিরে পায় এবং সেটি থেকেই গোল করে। গোলের আগে তারা ১৫টি পাস দেয়। জেসুস নাভাসের ক্রসে হেড করে গোলটি করেন অ্যাকুনা। রেফারি ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দেন। এর পর পরই গোলের সুযোগ পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। কিন্তু মারিও হারমোসোর নেয়া শট চলে যায় গ্যালারিতে। ইনজুরি টাইমেও তারা একটি দারুন সুযোগ পেয়েছিল। সুয়ারেজের পাস থেকে কোরেয়া বল ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেভিয়ার গোলরক্ষক বোনো দারুনভাবে সেটি বাচিয়ে দিয়ে সেভিয়াকে এনে দেন পূর্ণ পয়েন্ট। আগামী সপ্তায় হবে বিখ্যাত এলক্লাসিকো। সেই ম্যাচের উপর নির্ভর করে পয়েন্ট তালিকার অবস্থান বদলে যেতে পারে। অ্যাটলেটিকো পরের ম্যাচ খেলবে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে। সে ম্যাচে তারা পাবে না লুইস সুয়ারেজ এবং লরেন্তেকে। দুজনই সাসপেন্ড থাকবেন সে ম্যাচে।
স্পেনিশ লা লিগা
সোমবার, ০৫ এপ্রিল ২০২১
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ রবিবার সেভিয়ার কাছে হেরে যাওয়ায় স্পেনিশ লা লিগার শিরোপার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর খেলতে নেমেই হেরে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো। মার্কোস অ্যাকুনা দ্বিতীয়ার্ধে হেডে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। এ ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় শীর্ষস্থানীয় তিন দল অ্যাটলেটিকো, রিয়াল এবং বার্সেলোনার মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে। অ্যাটলেটিকোর চেয়ে রিয়াল এখন পিছিয়ে আছে তিন পয়েন্টে। বার্সেলোনা তাদের ম্যাচে জিততে পারলে ব্যবধান কমে হবে মাত্র এক। আন্তর্জাতিক বিরতির পর খেলতে নেমে অ্যাটলেটিকোকে মনে হয়েছে একেবারে ছন্নছাড়া একটি দল। অথচ মনে করা হয়েছিল মার্চ মাসের বিরতির পর তারা দুরন্ত একটি দল হিসেবে মাঠে নেমে শিরোপার লড়াইয়ে আরও এগিয়ে যাবে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেভিয়া ছিল সেরা দল। তারা সাত মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিল। ইভান র্যাকিটিচকে সাউল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেভিয়া। লুকাস ওক্যাম্পোসের নেয়া পেনাল্টি বাচিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওব্ল্যাক। এ নিয়ে পর পর দুই ম্যাচে পেনাল্টি বাচালেন ওব্ল্যাক। এর পর আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন ওক্যাম্পোস। কিন্তু এবারও তিনি ব্যর্থ হন গোল করতে। ম্যাচের আগে অসুস্থতার কারণে অ্যাটলেটিকো দলে নিতে পারেনি স্টেফান স্যাভিচকে। খেলার সময়ে আঘাত পাওয়ায় মাঠ ছাড়েন রেনান লোডি। অপেক্ষাকৃত অনেক খারাপ খেলেও অ্যাটলেটিকো প্রথমার্ধ গোলশূন্য রেখে মাঠ ছাড়তে সমর্থ হয়। বিরতির পর তাদের খেলায় কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ১৬ সেকেন্ডের মাথায় অ্যাঞ্জেল কোরেয়া দারুন একটি ক্রস করেছিলেন। কিন্তু লুইস সুয়ারেজ মাত্র কয়েক ইঞ্চির জন্য সেটির নাগাল পাননি।
এর পর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা বেশ জমে উঠে। র্যাকিটিচের ভলি অল্পের জন্য বাইরে যায়। অপর দিকে অ্যাটলেটিকোর মার্কোস লরেন্তে এবং কোকেও বল পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন। খেলার একমাত্র গোলটি হয় ৭০ মিনিটে। গোলের আগে ঘটে কিছু ঘটনা। কিয়েরান ট্রিপিয়ারে বল প্রতিহত করতে গিয়ে অক্যাম্পোস করেন হ্যান্ডবল। এর পর তারা আবার বলের দখল ফিরে পায় এবং সেটি থেকেই গোল করে। গোলের আগে তারা ১৫টি পাস দেয়। জেসুস নাভাসের ক্রসে হেড করে গোলটি করেন অ্যাকুনা। রেফারি ভিএআর দেখে গোলের সিদ্ধান্ত দেন। এর পর পরই গোলের সুযোগ পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। কিন্তু মারিও হারমোসোর নেয়া শট চলে যায় গ্যালারিতে। ইনজুরি টাইমেও তারা একটি দারুন সুযোগ পেয়েছিল। সুয়ারেজের পাস থেকে কোরেয়া বল ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেভিয়ার গোলরক্ষক বোনো দারুনভাবে সেটি বাচিয়ে দিয়ে সেভিয়াকে এনে দেন পূর্ণ পয়েন্ট। আগামী সপ্তায় হবে বিখ্যাত এলক্লাসিকো। সেই ম্যাচের উপর নির্ভর করে পয়েন্ট তালিকার অবস্থান বদলে যেতে পারে। অ্যাটলেটিকো পরের ম্যাচ খেলবে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে। সে ম্যাচে তারা পাবে না লুইস সুয়ারেজ এবং লরেন্তেকে। দুজনই সাসপেন্ড থাকবেন সে ম্যাচে।