চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
ম্যাচ শেষে কোচ ও খেলোয়াড়দের উচ্ছাস
বায়ার্ন মিউনিখ ফিরতি লেগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে ১-০ গোলে পরাজিত করা সত্ত্বেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। গত আসরের দুই ফাইনালিস্টের মধ্যেকার দুই লেগের ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে। প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে পিএসজি জিতেছিল ৩-২ গোলে। সেই গোলই তাদেরকে নিয়ে যায় সেমিফাইনালে। প্রথম লেগের মতো ফিরতি লেগও হয়েছে বেশ উপভোগ্য। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে উভয় দল চেষ্টা করেছে জয়ী হওয়ার। এর মধ্যে বায়ার্ন একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচটিতে জিতে যায়। কিন্তু এক গোলের জয় তাদের সেমিফাইনালে তুলতে পারেনি। কাইলিয়ান এমবাপ্পে এবং নেইমারের সমন্বয়ে গড়া পিএসজি সেমিফাইনালে খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি এবং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যেকার বিজয়ী দলের সাথে।
ম্যাচে বায়ার্ন জিতলেও গোলের বেশী সুযোগ পেয়েছিল পিএসজিই। ভাগ্য তাদের পক্ষে না থাকায় সেগুলো গোলে পরিনত হয়নি। প্রথমার্ধে নেইমারের দুটি শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে। তাছাড়া বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাচিয়েছেন কয়েকবার। এমবাপ্পের গতি এবং নেইমারের ড্রিবলিং বারবার বায়ার্নের রক্ষণভাগকে পরাস্ত করেছে। কিন্তু মূল কাজটি তারা করতে পারেনি। তিন মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। এর পর প্রতিপক্ষের মাধ্যমে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে খালি জায়গায় বল পেয়ে যান নেইমার। এ সময় তার প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক নয়্যার। এর পর দুইবার তার শট পোস্টে লাগে। প্রথমার তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি বক্সের ঠিক শীর্ষ থেকে নেয়া চমৎকার শটটি ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। অপর দিকে বায়ার্ন প্রথম প্রাপ্ত সুযোগ থেকেই গোল করে এগিয়ে যায়। পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাস একটি প্রচেষ্টা প্রতিহত করলে সেটি গোলমুখে পেয়ে যান এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং। তিনি বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন বায়ার্নকে। বায়ার্ন জানতো এক গোলের জয় তাদেরকে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে পারবে না। তাই তারা দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে। অপর দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করে পিএসজি। কিন্তু গোল করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতাই ছিল এদিন তাদের সঙ্গী। অপর দিকে বদল হিসেবে নামা বাক্কারকে গতিতে পেছনে ফেলে লেরয় সানে নিয়েছিলেন দুরন্ত এক শট। সেটি ঝাপিয়ে পড়ে বাচিয়ে দেন নাভাস। একেবারে ইনজুরি টাইমে সানের নেয়া শট সরাসরি চলে যায় নাভাসের হাতে। ফলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে দুরন্ত একটি ম্যাচ শেষ মাত্র একবার বল জালে গিয়ে। একই সাথে বিদায় নেয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
ম্যাচ শেষে কোচ ও খেলোয়াড়দের উচ্ছাস
বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
বায়ার্ন মিউনিখ ফিরতি লেগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে ১-০ গোলে পরাজিত করা সত্ত্বেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। গত আসরের দুই ফাইনালিস্টের মধ্যেকার দুই লেগের ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে। প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে পিএসজি জিতেছিল ৩-২ গোলে। সেই গোলই তাদেরকে নিয়ে যায় সেমিফাইনালে। প্রথম লেগের মতো ফিরতি লেগও হয়েছে বেশ উপভোগ্য। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে উভয় দল চেষ্টা করেছে জয়ী হওয়ার। এর মধ্যে বায়ার্ন একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচটিতে জিতে যায়। কিন্তু এক গোলের জয় তাদের সেমিফাইনালে তুলতে পারেনি। কাইলিয়ান এমবাপ্পে এবং নেইমারের সমন্বয়ে গড়া পিএসজি সেমিফাইনালে খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি এবং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মধ্যেকার বিজয়ী দলের সাথে।
ম্যাচে বায়ার্ন জিতলেও গোলের বেশী সুযোগ পেয়েছিল পিএসজিই। ভাগ্য তাদের পক্ষে না থাকায় সেগুলো গোলে পরিনত হয়নি। প্রথমার্ধে নেইমারের দুটি শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে। তাছাড়া বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাচিয়েছেন কয়েকবার। এমবাপ্পের গতি এবং নেইমারের ড্রিবলিং বারবার বায়ার্নের রক্ষণভাগকে পরাস্ত করেছে। কিন্তু মূল কাজটি তারা করতে পারেনি। তিন মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। এর পর প্রতিপক্ষের মাধ্যমে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে খালি জায়গায় বল পেয়ে যান নেইমার। এ সময় তার প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক নয়্যার। এর পর দুইবার তার শট পোস্টে লাগে। প্রথমার তার সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি বক্সের ঠিক শীর্ষ থেকে নেয়া চমৎকার শটটি ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। অপর দিকে বায়ার্ন প্রথম প্রাপ্ত সুযোগ থেকেই গোল করে এগিয়ে যায়। পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাস একটি প্রচেষ্টা প্রতিহত করলে সেটি গোলমুখে পেয়ে যান এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং। তিনি বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন বায়ার্নকে। বায়ার্ন জানতো এক গোলের জয় তাদেরকে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে পারবে না। তাই তারা দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে। অপর দিকে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করে পিএসজি। কিন্তু গোল করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতাই ছিল এদিন তাদের সঙ্গী। অপর দিকে বদল হিসেবে নামা বাক্কারকে গতিতে পেছনে ফেলে লেরয় সানে নিয়েছিলেন দুরন্ত এক শট। সেটি ঝাপিয়ে পড়ে বাচিয়ে দেন নাভাস। একেবারে ইনজুরি টাইমে সানের নেয়া শট সরাসরি চলে যায় নাভাসের হাতে। ফলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে দুরন্ত একটি ম্যাচ শেষ মাত্র একবার বল জালে গিয়ে। একই সাথে বিদায় নেয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।