চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
রিয়াল মাদ্রিদ ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে। বুধবার ইংল্যান্ডের দল লিভারপুলের সাথে তাদের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে গোলশূন্য ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ উঠে যায় সেমিফাইনালে। নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ী হয়েছিল রিয়াল। সে জয়ই তাদেরকে সেমিফাইনালে তুলে দেয়। লিভারপুল এর আগে বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগে পরাজিত হয়েও ফিরতি লেগে চার গোল করে জয়ী হয়েছিল। এবারও তারা সে রকম কিছুরই আশা করেছিল। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের ইনজুরি এবং ক্লান্তির সুযোগ তারা নিতে চেয়েছিল, কিন্তু গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াসহ রক্ষণভাগের অসামান্য দৃঢ়তার কারণে তাদের সে আশা পূর্ণ হয়নি। রিয়াল মাদ্রিদকে খেলতে হচ্ছে তাদের নিয়মিত দুই সেন্টার ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে এবং সার্জিও র্যামোসকে ছাড়া। দানি কারভাহলের অনুপস্থিতিতে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলা লুকাস ভাজকেজ এলক্লাসিকোতে ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। ফলে মিডফিল্ডার হিসেবে দলে নিয়মিত খেলা ফেডে ভালভার্দেকে খেলানো হয় রাইট ব্যাক হিসেবে। মিডফিল্ড ও আক্রমণভাগে কোন পরিবর্তন ছিল না।
লিভারপুল জেতার জন্য ছিল মরিয়া। অপর দিকে রিয়াল মাদ্রিদ যেহেতু প্রথম লেগে জিতে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল তাই তাদের লক্ষ্য ছিল কেবল কোন গোল না খাওয়া। সুযোগ পেলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়া। তারা খেলেছে কাউন্টার অ্যাটাকে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা রিয়ালের সীমাতেই বলতে গেলে খেলাটিকে সীমিত করে ফেলেছিল। ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতে নামা ভালভার্দে মাঝে মধ্যে কিছুটা সমস্যায় পড়ছিলেন লিভারপুলের আক্রমণ সামাল দিতে। তবে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া ছিলেন অজেয়। যখনই বিপদ এসেছে তখনই তিনি ত্রাতা হিসেবে দুর্গ আগলেছেন। মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনোর চেষ্টাগুলো তিনি রুখে দিয়েছেন দারুন দক্ষতায়। প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েছিল রিয়ালও। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে করিম বেনজামার নেয়া শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিয়ুসের শট সামনে এগিয়ে গিয়ে বাচিয়ে দেন লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। তিনি গোলবঞ্চিত করেন বেনজামাকেও। এ অর্ধে বেনজামা গোলমুখে দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার নেয়া হেড ড্রপ খেয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের শেষ বাশি বাজা পর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখে লিভারপুল। প্রাপ্ত সুযোগগুলো হয় তারা বাইরে মেরেছে না রিয়ালের রক্ষণভাগ প্রতিহত করেছে। এত ভাল খেলার পরও ম্যাচ জিততে না পারাটা ছিল লিভারপুলের জন্য সত্যিই কষ্টের। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে রিয়াল তাদের কৌশল অনুযায়ী খেলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছেছে। পুরো ম্যাচে লিভারপুল রিয়ালের গোল লক্ষ্য করে ১৫টি শট নিয়েও কোন গোল গোল করতে পারেনি। ম্যাচে তারা বল দখলে রেখেছিল ৫৬% সময়। সেমিফাইনালে রিয়াল খেলবে চেলসির বিপক্ষে। অপর সেমিতে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
রিয়াল মাদ্রিদ ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে। বুধবার ইংল্যান্ডের দল লিভারপুলের সাথে তাদের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে গোলশূন্য ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ উঠে যায় সেমিফাইনালে। নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ী হয়েছিল রিয়াল। সে জয়ই তাদেরকে সেমিফাইনালে তুলে দেয়। লিভারপুল এর আগে বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগে পরাজিত হয়েও ফিরতি লেগে চার গোল করে জয়ী হয়েছিল। এবারও তারা সে রকম কিছুরই আশা করেছিল। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের ইনজুরি এবং ক্লান্তির সুযোগ তারা নিতে চেয়েছিল, কিন্তু গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াসহ রক্ষণভাগের অসামান্য দৃঢ়তার কারণে তাদের সে আশা পূর্ণ হয়নি। রিয়াল মাদ্রিদকে খেলতে হচ্ছে তাদের নিয়মিত দুই সেন্টার ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে এবং সার্জিও র্যামোসকে ছাড়া। দানি কারভাহলের অনুপস্থিতিতে রাইট ব্যাক হিসেবে খেলা লুকাস ভাজকেজ এলক্লাসিকোতে ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। ফলে মিডফিল্ডার হিসেবে দলে নিয়মিত খেলা ফেডে ভালভার্দেকে খেলানো হয় রাইট ব্যাক হিসেবে। মিডফিল্ড ও আক্রমণভাগে কোন পরিবর্তন ছিল না।
লিভারপুল জেতার জন্য ছিল মরিয়া। অপর দিকে রিয়াল মাদ্রিদ যেহেতু প্রথম লেগে জিতে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল তাই তাদের লক্ষ্য ছিল কেবল কোন গোল না খাওয়া। সুযোগ পেলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়া। তারা খেলেছে কাউন্টার অ্যাটাকে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা রিয়ালের সীমাতেই বলতে গেলে খেলাটিকে সীমিত করে ফেলেছিল। ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতে নামা ভালভার্দে মাঝে মধ্যে কিছুটা সমস্যায় পড়ছিলেন লিভারপুলের আক্রমণ সামাল দিতে। তবে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া ছিলেন অজেয়। যখনই বিপদ এসেছে তখনই তিনি ত্রাতা হিসেবে দুর্গ আগলেছেন। মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনোর চেষ্টাগুলো তিনি রুখে দিয়েছেন দারুন দক্ষতায়। প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েছিল রিয়ালও। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে করিম বেনজামার নেয়া শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিয়ুসের শট সামনে এগিয়ে গিয়ে বাচিয়ে দেন লিভারপুলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। তিনি গোলবঞ্চিত করেন বেনজামাকেও। এ অর্ধে বেনজামা গোলমুখে দারুন একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার নেয়া হেড ড্রপ খেয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের শেষ বাশি বাজা পর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখে লিভারপুল। প্রাপ্ত সুযোগগুলো হয় তারা বাইরে মেরেছে না রিয়ালের রক্ষণভাগ প্রতিহত করেছে। এত ভাল খেলার পরও ম্যাচ জিততে না পারাটা ছিল লিভারপুলের জন্য সত্যিই কষ্টের। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে রিয়াল তাদের কৌশল অনুযায়ী খেলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছেছে। পুরো ম্যাচে লিভারপুল রিয়ালের গোল লক্ষ্য করে ১৫টি শট নিয়েও কোন গোল গোল করতে পারেনি। ম্যাচে তারা বল দখলে রেখেছিল ৫৬% সময়। সেমিফাইনালে রিয়াল খেলবে চেলসির বিপক্ষে। অপর সেমিতে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি এবং প্যারিস সেন্ট জার্মেই।