স্পেনিশ লা লিগা
বার্সেলোনাকে নাটকীয় ভাবে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে স্পেনিশ লা লিগা দারুণভাবে জমিয়ে দিয়েছে গ্রানাডা। বৃহস্পতিবার রাতে বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গ্রানাডা প্রথমে গোল খেয়েও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। এর ফলে বার্সেলোনাকে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকতে হচ্ছে। এ ম্যাচে জিততে পারলে বার্সেলোনা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে স্থানে উঠে যেত। এখন তারা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে দুই পিছিয়ে রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের সমান পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও হেড টু হেড রেকর্ডে পিছিয়ে থাকায় তাদেরকে থাকতে হচ্ছে রিয়াল এর নিচে। বার্সেলোনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও একটি বেশি গোল করতে পারেনি। গ্রানাডার রক্ষণভাগ দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করে লিওনেল মেসি এবং গ্রিজম্যানের আক্রমণ। অপরদিকে কাউন্টার এটাক থেকে ফ্রেডরিক ম্যাচিস এবং জর্জ মলিনা গোল করে পূর্ণ পয়েন্ট পাইয়ে দেন গ্রানাডাকে।
বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ডো ম্যান গত সপ্তাহে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলা একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন ম্যাচের জন্য। পেড্রির পরিবর্তে সুযোগ পান ইলাইক্স মরিবর। এছাড়া একাদশে আসেন স্যামুয়েল উমতিতি এবং সার্জি রবার্তো।
খেলার শুরু থেকে বার্সেলোনা যেভাবে আক্রমণ করে খেলেছে তাতে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত একবারও মনে হয়নি যে তারা হারতে পারে। বিশেষ করে মিডফিল্ড এবং আক্রমণভাগের মধ্যেকার বোঝাপড়া ছিল চমৎকার। শুরুর দিকেই মেসির পাস থেকে গ্রিজম্যানের নেয়া শট সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক আরনের হাতে। এর পরও তাদের দাপট অব্যাহত থাকে এবং মেসি চমৎকার একটি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ২৩ মিনিটের মাথায়। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে গ্রিজম্যানের চমৎকার একটি পাস নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে মেসি কোনাকুনি শটে গোলটি করেন। এ গোল করার পর ব্যবধান বাড়ানোর জন্য আক্রমণ অব্যাহত রাখে বার্সেলোনা। সার্জিও বুসকেটসের পাস থেকে মেসির নেয়া শট কোন রকমে পা লাগিয়ে বাইরে পাঠান গোলরক্ষক আরন। বিরতি পর্যন্ত গোলে এগিয়ে থাকে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও বার্সেলোনা প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে। মরিবরের পাস থেকে দারুন একটি সুযোগ পান গ্রিজম্যান। কিন্তু তার শট চলে যায় পোস্টের বাইরে। দাপটের সাথে খেলেও খেলার এক ঘন্টা পর্যন্ত ১-০ গোলেই এগিয়ে থাকে বার্সেলোনা। ৬৩ মিনিটে ম্যাচিস গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। অস্কার মিনগেজার পায়ে লেগে বল চলে যায় ম্যাচিসের কাছে। তিনি দুরন্ত গতিতে এগিয়ে গিয়ে গোল করে সমতা ফেরান। এ গোল খাওয়ায় বার্সেলোনার কোচ খুবই ক্ষুব্ধ হন। তিনি চতুর্থ রেফারির সাথে খারাপ আচরণ করেন। ফলে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি পাবলো গঞ্জালেস ফুয়ের্টেস। সমতা ফেরার পরই বার্সেলোনা তিনটি পরিবর্তন আনে। মিনগেজার বদলে ওসমানে ডেম্বেলে এবং ইলাইক্সের জায়গায় মাঠে নামানো হয় পেড্রিকে। বুসকেটসের বদলে ট্রিনকাও। এতে প্রতিপক্ষের উপর চাপ আরও বাড়লেও কোন গোল তারা করতে পারেনি। ৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মলিনা। গোলমুখে উড়ে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে তিনি পরাস্ত করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনকে। শেষ দশ মিনিট গোলের জন্য গ্রানাডাকে চেপে ধরেও পরাজয় এড়াতে পারেননি মেসিরা।
লিগে প্রতিটি দলের খেলা বাকি আছে ৫টি করে। এর মধ্যে একটি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকো সে ম্যাচে জিততে পারলে বেশ খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছে যাবে। আর সে ম্যাচ ড্র হলে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। খুব একটা পিছিয়ে নেই সেভিয়া। তাদের সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। তাদের সাথে ম্যাচ বাকি আছে রিয়ালের। ফলে তাদেরও সম্ভাবনা আছে শিরোপা জেতার।
স্পেনিশ লা লিগা
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
বার্সেলোনাকে নাটকীয় ভাবে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে স্পেনিশ লা লিগা দারুণভাবে জমিয়ে দিয়েছে গ্রানাডা। বৃহস্পতিবার রাতে বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গ্রানাডা প্রথমে গোল খেয়েও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। এর ফলে বার্সেলোনাকে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকতে হচ্ছে। এ ম্যাচে জিততে পারলে বার্সেলোনা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে স্থানে উঠে যেত। এখন তারা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে দুই পিছিয়ে রয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের সমান পয়েন্ট সংগ্রহ করলেও হেড টু হেড রেকর্ডে পিছিয়ে থাকায় তাদেরকে থাকতে হচ্ছে রিয়াল এর নিচে। বার্সেলোনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও একটি বেশি গোল করতে পারেনি। গ্রানাডার রক্ষণভাগ দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করে লিওনেল মেসি এবং গ্রিজম্যানের আক্রমণ। অপরদিকে কাউন্টার এটাক থেকে ফ্রেডরিক ম্যাচিস এবং জর্জ মলিনা গোল করে পূর্ণ পয়েন্ট পাইয়ে দেন গ্রানাডাকে।
বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ডো ম্যান গত সপ্তাহে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলা একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন ম্যাচের জন্য। পেড্রির পরিবর্তে সুযোগ পান ইলাইক্স মরিবর। এছাড়া একাদশে আসেন স্যামুয়েল উমতিতি এবং সার্জি রবার্তো।
খেলার শুরু থেকে বার্সেলোনা যেভাবে আক্রমণ করে খেলেছে তাতে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত একবারও মনে হয়নি যে তারা হারতে পারে। বিশেষ করে মিডফিল্ড এবং আক্রমণভাগের মধ্যেকার বোঝাপড়া ছিল চমৎকার। শুরুর দিকেই মেসির পাস থেকে গ্রিজম্যানের নেয়া শট সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক আরনের হাতে। এর পরও তাদের দাপট অব্যাহত থাকে এবং মেসি চমৎকার একটি গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন ২৩ মিনিটের মাথায়। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে গ্রিজম্যানের চমৎকার একটি পাস নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে মেসি কোনাকুনি শটে গোলটি করেন। এ গোল করার পর ব্যবধান বাড়ানোর জন্য আক্রমণ অব্যাহত রাখে বার্সেলোনা। সার্জিও বুসকেটসের পাস থেকে মেসির নেয়া শট কোন রকমে পা লাগিয়ে বাইরে পাঠান গোলরক্ষক আরন। বিরতি পর্যন্ত গোলে এগিয়ে থাকে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও বার্সেলোনা প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে। মরিবরের পাস থেকে দারুন একটি সুযোগ পান গ্রিজম্যান। কিন্তু তার শট চলে যায় পোস্টের বাইরে। দাপটের সাথে খেলেও খেলার এক ঘন্টা পর্যন্ত ১-০ গোলেই এগিয়ে থাকে বার্সেলোনা। ৬৩ মিনিটে ম্যাচিস গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। অস্কার মিনগেজার পায়ে লেগে বল চলে যায় ম্যাচিসের কাছে। তিনি দুরন্ত গতিতে এগিয়ে গিয়ে গোল করে সমতা ফেরান। এ গোল খাওয়ায় বার্সেলোনার কোচ খুবই ক্ষুব্ধ হন। তিনি চতুর্থ রেফারির সাথে খারাপ আচরণ করেন। ফলে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি পাবলো গঞ্জালেস ফুয়ের্টেস। সমতা ফেরার পরই বার্সেলোনা তিনটি পরিবর্তন আনে। মিনগেজার বদলে ওসমানে ডেম্বেলে এবং ইলাইক্সের জায়গায় মাঠে নামানো হয় পেড্রিকে। বুসকেটসের বদলে ট্রিনকাও। এতে প্রতিপক্ষের উপর চাপ আরও বাড়লেও কোন গোল তারা করতে পারেনি। ৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মলিনা। গোলমুখে উড়ে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে তিনি পরাস্ত করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনকে। শেষ দশ মিনিট গোলের জন্য গ্রানাডাকে চেপে ধরেও পরাজয় এড়াতে পারেননি মেসিরা।
লিগে প্রতিটি দলের খেলা বাকি আছে ৫টি করে। এর মধ্যে একটি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকো সে ম্যাচে জিততে পারলে বেশ খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছে যাবে। আর সে ম্যাচ ড্র হলে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। খুব একটা পিছিয়ে নেই সেভিয়া। তাদের সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। তাদের সাথে ম্যাচ বাকি আছে রিয়ালের। ফলে তাদেরও সম্ভাবনা আছে শিরোপা জেতার।