ফলাফল বলছে, জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে পর্যন্ত স্বাগতিকদের ওপর দাপট দেখিয়েছে। তবে, সত্যিটা হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সামনে বরাবরই বড় রকমের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। একমাত্র টেস্টে শেষ পর্যন্ত ২২০ রানের জয় পেলেও, বাংলাদেশ দলের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। আবার সিরিজের শেষ ওডিআইতে টাইগারদের সামনে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। যাহোক, বাংলাদেশ দল এ পর্যন্ত এক মাত্র টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজের ট্রফি জিতে নিয়েছে। ১-১ সমতা বিরাজ করা টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতে এই ট্রফিটা নিজেদের ঘরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
রোববার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটায় দুই দল টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার সময়ে সিকান্দার রাজার মতো বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও চাইবেন জয়। স্বাভাবিকভাবেই হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে জমজমাট একটা লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিটা ফরম্যাটেই পাল্লা দিয়ে লড়ার চেষ্টা চালিয়েছে জিম্বাবুয়ে। অন্তত তিনবার জিম্বাবুয়ের বোলাররা দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে, ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতায় শেষ রক্ষা হয়নি। এই দিকটা বিবেচনায় নিলে যোগ্যতর দল হিসেবেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। শুক্রবারের হেরে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। দুটো নিশ্চিত ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন ফিল্ডাররা। দতুই ফিল্ডারের ভুল বোঝাবুঝিতেই ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। টানা জয়ের ধারায় থাকা বাংলাদেশ দলের ওপর অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস সম্ভবত ভর করেছিল। নাহলে, ফিল্ডিংয়ে এমন ছন্নছাড়া দশা হওয়ার কোন কারণ নেই। বটাইগার ফিল্ডারদের বদান্যতায় তোলা ১৬৬ রানের সংগ্রহ রক্ষা করার পথে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা একটা ক্যাচও হাতছাড়া করেননি। বোলাররা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। শুক্রবারের ম্যাচে ব্লেসিং মুজারাবানি শুরুতেই দুই ওপেনারকে ক্রিজছাড়া করে যে ধাক্কাটা বাংলাদেশ দলকে দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের উইকেটসহ তিন ব্যাটারের প্রাণ সংহার করেন। বাকি কাজটা সারেন লুক জংওয়ে ও টেন্ডাই চাতারা। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েসলি মাধভেরে ৫৭ বলে তুলেছিলেন ৭৩ রান। এর বাইরে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ডিয়ন মায়ার্স ও রায়ান বার্ল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজটা নিজেদের কব্জায় নিতে হলে এরকম দলগত প্রচেষ্টা চাই স্বাগতিকদের।
অন্যদিকে চলতি সফরে বেশ কয়েকবার কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়েও ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দলের মধ্যে আত্মতৃপ্তি থাকতেই পারে। এই কঠিন জয় পাওয়া ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেনের ব্যাট জ্বলে উঠেছিল প্রয়োজনের সময়ে। বোলিংয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন যথাসময়ে আঘাত করেছিলেন তৃতীয় ম্যাচে। জিম্বাবুয়ের ইনিংস ৮৭ রানে পৌঁছানোর পর সাইফুদ্দিন তিনটি উইকেটের পতন ঘটাতে না পারলে তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের স্কোর তিনশ’র কোটা ছাড়িয়ে যেতে পারতো। দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয়ের মুখে থাকা টাইগারদের ইনিংস বলতে গেলে একাই টেনেছেন সাকিব আল হাসান। গোড়ালির ইনজুরির পরও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সাদা বলের দুই স্পেশালিস্ট ব্যাটার নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেন রান তাড়ায় নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রত্যেকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ফরম্যাটেই জিতে দেশে ফিরবে টাইগাররা।
দুই দলের খবর হলো, ইনজুরির ঝামেলায় না পড়লে টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে কোন পরিবর্তন আনবে না জিম্বাবুয়ে।
অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচ খেলার মতো পুরোপুরি ফিট হলেই কেবল দ্বিতীয় টি-২০তে খেলা বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে, অন্যথায় নয়।
শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
ফলাফল বলছে, জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে পর্যন্ত স্বাগতিকদের ওপর দাপট দেখিয়েছে। তবে, সত্যিটা হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সামনে বরাবরই বড় রকমের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। একমাত্র টেস্টে শেষ পর্যন্ত ২২০ রানের জয় পেলেও, বাংলাদেশ দলের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। আবার সিরিজের শেষ ওডিআইতে টাইগারদের সামনে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। যাহোক, বাংলাদেশ দল এ পর্যন্ত এক মাত্র টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজের ট্রফি জিতে নিয়েছে। ১-১ সমতা বিরাজ করা টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতে এই ট্রফিটা নিজেদের ঘরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
রোববার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটায় দুই দল টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার সময়ে সিকান্দার রাজার মতো বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও চাইবেন জয়। স্বাভাবিকভাবেই হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে জমজমাট একটা লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিটা ফরম্যাটেই পাল্লা দিয়ে লড়ার চেষ্টা চালিয়েছে জিম্বাবুয়ে। অন্তত তিনবার জিম্বাবুয়ের বোলাররা দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে, ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতায় শেষ রক্ষা হয়নি। এই দিকটা বিবেচনায় নিলে যোগ্যতর দল হিসেবেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। শুক্রবারের হেরে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। দুটো নিশ্চিত ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন ফিল্ডাররা। দতুই ফিল্ডারের ভুল বোঝাবুঝিতেই ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। টানা জয়ের ধারায় থাকা বাংলাদেশ দলের ওপর অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস সম্ভবত ভর করেছিল। নাহলে, ফিল্ডিংয়ে এমন ছন্নছাড়া দশা হওয়ার কোন কারণ নেই। বটাইগার ফিল্ডারদের বদান্যতায় তোলা ১৬৬ রানের সংগ্রহ রক্ষা করার পথে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা একটা ক্যাচও হাতছাড়া করেননি। বোলাররা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। শুক্রবারের ম্যাচে ব্লেসিং মুজারাবানি শুরুতেই দুই ওপেনারকে ক্রিজছাড়া করে যে ধাক্কাটা বাংলাদেশ দলকে দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের উইকেটসহ তিন ব্যাটারের প্রাণ সংহার করেন। বাকি কাজটা সারেন লুক জংওয়ে ও টেন্ডাই চাতারা। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েসলি মাধভেরে ৫৭ বলে তুলেছিলেন ৭৩ রান। এর বাইরে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ডিয়ন মায়ার্স ও রায়ান বার্ল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজটা নিজেদের কব্জায় নিতে হলে এরকম দলগত প্রচেষ্টা চাই স্বাগতিকদের।
অন্যদিকে চলতি সফরে বেশ কয়েকবার কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়েও ম্যাচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দলের মধ্যে আত্মতৃপ্তি থাকতেই পারে। এই কঠিন জয় পাওয়া ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেনের ব্যাট জ্বলে উঠেছিল প্রয়োজনের সময়ে। বোলিংয়ে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন যথাসময়ে আঘাত করেছিলেন তৃতীয় ম্যাচে। জিম্বাবুয়ের ইনিংস ৮৭ রানে পৌঁছানোর পর সাইফুদ্দিন তিনটি উইকেটের পতন ঘটাতে না পারলে তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের স্কোর তিনশ’র কোটা ছাড়িয়ে যেতে পারতো। দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয়ের মুখে থাকা টাইগারদের ইনিংস বলতে গেলে একাই টেনেছেন সাকিব আল হাসান। গোড়ালির ইনজুরির পরও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সাদা বলের দুই স্পেশালিস্ট ব্যাটার নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেন রান তাড়ায় নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রত্যেকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ফরম্যাটেই জিতে দেশে ফিরবে টাইগাররা।
দুই দলের খবর হলো, ইনজুরির ঝামেলায় না পড়লে টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে কোন পরিবর্তন আনবে না জিম্বাবুয়ে।
অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচ খেলার মতো পুরোপুরি ফিট হলেই কেবল দ্বিতীয় টি-২০তে খেলা বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে, অন্যথায় নয়।