সতীর্থরা টি-২০ ক্রিকেটে ডুবে আছেন। মোমিনুল, শান্তরা জাতীয় দলে আছেন শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের জন্য। তাদের হাতে অফুরন্ত সময়। নিজেদের উদ্যোগে অনুশীলন বাদে করার নেই তেমন কিছু। তবে বিসিবি এবার তাদের ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের চারদিনের ম্যাচ। প্রতিপক্ষ বিসিবি হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিবির দুই দল দুটি চারদিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে। মোমিনুল, শান্ত, সাইফ, সাদমানরা সবশেষ টেস্ট খেলেছে জুলাইতে, জিম্বাবুয়েতে। এরপর অনুশীলনে সময় কেটেছে তাদের। দীর্ঘদিন পর মাঠে নামার সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত শান্ত।
বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘আমরা যারা সবসময় টেস্ট দলে খেলি, যারা সাদা বলে কম খেলি তারা আবার একত্র হয়েছি।
একটা সিরিজ খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের সবার জন্য ভালো সুযোগ। একটা লম্বা সময় বিরতি ছিল আমাদের। আমাদের ম্যাচের ভেতরে আসা জরুরি ছিল। সাধারণত আমরা টেস্ট ম্যাচ অনেক দিন পরপর খেলি। এক মাস বা ১৫ দিন পরপর খেলি তাও না। লম্বা সময় বিরতি থাকে। তাই ম্যাচ খেলা জরুরি ছিল।’ নিজেদের মধ্যে ম্যাচ আয়োজন হলেও নভেম্বরে পাকিস্তান সিরিজের কথা মাথায় আছে শান্তদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু হবে। বাবর আজমদের বিপক্ষে চট্টগ্রামেই হবে প্রথম টেস্ট।
এ প্রসঙ্গে নিজের ভাবনা জানিয়ে শান্ত আরও বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আছে নভেম্বরে। চট্টগ্রামেও ম্যাচ আছে। এখানে চারদিনের ম্যাচ খেলব। সামনে যে টেস্ট ম্যাচ আছে সেটা কাজে লাগবে। এতদিন সবাই যার যার বিভাগীয় শহরে ব্যক্তিগত ট্রেনিং করেছি। একসঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ ছিল না। এখানে একসঙ্গে হয়ে অনুশীলন ও সিরিজ খেলতে পারছি, সেটা অবশ্যই ভালো। সামনে এনসিএল টুর্নামেন্টও আছে। এটাও ভালো প্রস্তুতির সুযোগ। এখানেও যদি ব্যাটসম্যানরা রান করে, বোলাররা উইকেট পায় তাহলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ভালো করার সুযোগ বেশি হবে।’ ১৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচ এবং ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ম্যাচ। মোমিনুল হক ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তার সঙ্গে সাইফ, শান্ত, সাদমান, মিঠুন, মিরাজ, নাঈম, ইবাদত, রাহীকেও রেখেছেন নির্বাচকরা। এইচপি দল অনেক আগের থেকেই চট্টগ্রামে ক্যাম্প করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কোয়াডটি সাজানো হয়েছে।
এক অন লাইন নিউজ পোর্টালকে মোমিনুল বলেছেন, যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে পারাই হবে পাকিস্তান সিরিজের জন্য ভালো প্রস্তুতি।
‘আমার তো এখন কাজ নেই। আমরা অনেকেই অনেক দিন ধরে খেলার ভেতরে নেই। সেদিক থেকে ম্যাচ অনুশীলনের ভালো সুযোগ এই সিরিজে। সামনে যদিও জাতীয় লীগ, তবে এখন থেকেই খেলার মধ্যে থাকা হলো।’ ‘আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে আমার কাছে সব সময়ই মনে হয়, ঘরোয়া ক্রিকেট হলে প্রস্তুতিটা ভালো হয়। মাঠে থাকার একটা ফিল থাকে, এটা দরকার হয়। চার দিনের ম্যাচ কিন্তু ওয়ানডে-টি-টায়েন্টির মতো নয় যে, একটি ম্যাচ খেলেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমে পড়া যায়। এখানে লম্বা ইনিংস খেলা, লম্বা সময় ব্যাটিং-বোলিং করার ব্যাপার থাকে। সঙ্গে ফিল্ডিং, লম্বা সময় মাঠে থাকা, এসব মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারও থাকে। এই সিরিজটি তাই ভালো একটি সুযোগ।’
মোমিনুল বলেন, দেশের ক্রিকেট এখন আর আগের মতো নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন আমি খেলি, দেখতে পাই কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেট বলেন বা এসব ম্যাচ, হাই-ইনটেনসিটি থাকবে অবশ্যই। আগের কালচার এখন আর নেই। সবাইকে বলে দেয়া আছে। এ ছাড়া সবাই জানে নিজেরাও।’
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
সতীর্থরা টি-২০ ক্রিকেটে ডুবে আছেন। মোমিনুল, শান্তরা জাতীয় দলে আছেন শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের জন্য। তাদের হাতে অফুরন্ত সময়। নিজেদের উদ্যোগে অনুশীলন বাদে করার নেই তেমন কিছু। তবে বিসিবি এবার তাদের ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিচ্ছে। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের চারদিনের ম্যাচ। প্রতিপক্ষ বিসিবি হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিবির দুই দল দুটি চারদিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে। মোমিনুল, শান্ত, সাইফ, সাদমানরা সবশেষ টেস্ট খেলেছে জুলাইতে, জিম্বাবুয়েতে। এরপর অনুশীলনে সময় কেটেছে তাদের। দীর্ঘদিন পর মাঠে নামার সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত শান্ত।
বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘আমরা যারা সবসময় টেস্ট দলে খেলি, যারা সাদা বলে কম খেলি তারা আবার একত্র হয়েছি।
একটা সিরিজ খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের সবার জন্য ভালো সুযোগ। একটা লম্বা সময় বিরতি ছিল আমাদের। আমাদের ম্যাচের ভেতরে আসা জরুরি ছিল। সাধারণত আমরা টেস্ট ম্যাচ অনেক দিন পরপর খেলি। এক মাস বা ১৫ দিন পরপর খেলি তাও না। লম্বা সময় বিরতি থাকে। তাই ম্যাচ খেলা জরুরি ছিল।’ নিজেদের মধ্যে ম্যাচ আয়োজন হলেও নভেম্বরে পাকিস্তান সিরিজের কথা মাথায় আছে শান্তদের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু হবে। বাবর আজমদের বিপক্ষে চট্টগ্রামেই হবে প্রথম টেস্ট।
এ প্রসঙ্গে নিজের ভাবনা জানিয়ে শান্ত আরও বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আছে নভেম্বরে। চট্টগ্রামেও ম্যাচ আছে। এখানে চারদিনের ম্যাচ খেলব। সামনে যে টেস্ট ম্যাচ আছে সেটা কাজে লাগবে। এতদিন সবাই যার যার বিভাগীয় শহরে ব্যক্তিগত ট্রেনিং করেছি। একসঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ ছিল না। এখানে একসঙ্গে হয়ে অনুশীলন ও সিরিজ খেলতে পারছি, সেটা অবশ্যই ভালো। সামনে এনসিএল টুর্নামেন্টও আছে। এটাও ভালো প্রস্তুতির সুযোগ। এখানেও যদি ব্যাটসম্যানরা রান করে, বোলাররা উইকেট পায় তাহলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ভালো করার সুযোগ বেশি হবে।’ ১৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচ এবং ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ম্যাচ। মোমিনুল হক ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তার সঙ্গে সাইফ, শান্ত, সাদমান, মিঠুন, মিরাজ, নাঈম, ইবাদত, রাহীকেও রেখেছেন নির্বাচকরা। এইচপি দল অনেক আগের থেকেই চট্টগ্রামে ক্যাম্প করছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কোয়াডটি সাজানো হয়েছে।
এক অন লাইন নিউজ পোর্টালকে মোমিনুল বলেছেন, যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলতে পারাই হবে পাকিস্তান সিরিজের জন্য ভালো প্রস্তুতি।
‘আমার তো এখন কাজ নেই। আমরা অনেকেই অনেক দিন ধরে খেলার ভেতরে নেই। সেদিক থেকে ম্যাচ অনুশীলনের ভালো সুযোগ এই সিরিজে। সামনে যদিও জাতীয় লীগ, তবে এখন থেকেই খেলার মধ্যে থাকা হলো।’ ‘আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে আমার কাছে সব সময়ই মনে হয়, ঘরোয়া ক্রিকেট হলে প্রস্তুতিটা ভালো হয়। মাঠে থাকার একটা ফিল থাকে, এটা দরকার হয়। চার দিনের ম্যাচ কিন্তু ওয়ানডে-টি-টায়েন্টির মতো নয় যে, একটি ম্যাচ খেলেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমে পড়া যায়। এখানে লম্বা ইনিংস খেলা, লম্বা সময় ব্যাটিং-বোলিং করার ব্যাপার থাকে। সঙ্গে ফিল্ডিং, লম্বা সময় মাঠে থাকা, এসব মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারও থাকে। এই সিরিজটি তাই ভালো একটি সুযোগ।’
মোমিনুল বলেন, দেশের ক্রিকেট এখন আর আগের মতো নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন আমি খেলি, দেখতে পাই কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেট বলেন বা এসব ম্যাচ, হাই-ইনটেনসিটি থাকবে অবশ্যই। আগের কালচার এখন আর নেই। সবাইকে বলে দেয়া আছে। এ ছাড়া সবাই জানে নিজেরাও।’