এশিয়া কাপ নারী ফুটবল
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মতোই দশা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। ক’দিন আগে কিরগিজস্তানে গিয়ে ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে হালি হালি গোল হজম করে এসেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। এবার সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন সাবিনা খাতুনরাও। এএফসি এশিয়া কাপ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে জর্ডানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার তাসখন্দের বুনিয়দকর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাবিনাদের।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে জর্ডান। ধারে-ভারেও এগিয়ে তারা। মাঠের লড়াইয়েও ব্যবধানটা ধরা দিলো স্পষ্ট। জর্ডানের মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে লাল সবুজের মেয়েদের। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে একপেশে ভঙ্গিতে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে জর্ডান। যার ফলশ্রুতিতে গোল ব্যবধানও বাড়িয়ে নিয়েছে বিরতির পর। এই অর্ধে হয়েছে আরও তিনটি গোল। হ্যাটট্রিক করেছেন জর্ডান অধিনায়ক মাইশা জিয়াদ জেবারাহ। ৬২, ৬৭ ও ৭৭ মিনিটে মাইশা হ্যাটট্রিক পূরণ করলে বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। যদিও এই ম্যাচের আগের সন্ধ্যায় সাবিনাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বাফুফে। জিতলে ৩ হাজার ডলার, ড্র করলে ১ হাজার ডলার দেয়ার কথা বলা হয়েছিল সাবিনাদের। কিন্তু তা কোন কাজেই আসেনি। ড্র করা তো দুরে থাক বড় ব্যবধানে হার দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করল এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন।
২০১৪ সালে সবশেষ বাছাইয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে অংশ নেয়নি। সাত বছর আগে দেশের মাটিতে অভিজ্ঞতা অবশ্য মোটেও সুখের ছিল না দলের। সেবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯-০, ইরানের বিপক্ষে ২-০ এবং ফিলিপাইনের কাছে ৪-০ গোলে হেরে গ্রুপের তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। এবারও শুরু হলো বড় হার দিয়ে।
বাছাইয়ের জন্য উজবেকিস্তান যাওয়ার আগে নেপালে খেলেছিল তারা। প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পরের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল দল। নেপালের প্রস্তুতি উজবেকিস্তানে কাজে লাগিয়ে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রব্বানী। কিন্তু হলো না তেমন কিছুই।
২২ সেপ্টেম্বর ইরানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ নারী ফুটবল
রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মতোই দশা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। ক’দিন আগে কিরগিজস্তানে গিয়ে ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে হালি হালি গোল হজম করে এসেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। এবার সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন সাবিনা খাতুনরাও। এএফসি এশিয়া কাপ নারী টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে জর্ডানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার তাসখন্দের বুনিয়দকর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জি-গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাবিনাদের।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে জর্ডান। ধারে-ভারেও এগিয়ে তারা। মাঠের লড়াইয়েও ব্যবধানটা ধরা দিলো স্পষ্ট। জর্ডানের মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে লাল সবুজের মেয়েদের। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে একপেশে ভঙ্গিতে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে জর্ডান। যার ফলশ্রুতিতে গোল ব্যবধানও বাড়িয়ে নিয়েছে বিরতির পর। এই অর্ধে হয়েছে আরও তিনটি গোল। হ্যাটট্রিক করেছেন জর্ডান অধিনায়ক মাইশা জিয়াদ জেবারাহ। ৬২, ৬৭ ও ৭৭ মিনিটে মাইশা হ্যাটট্রিক পূরণ করলে বড় ব্যবধানে হার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। যদিও এই ম্যাচের আগের সন্ধ্যায় সাবিনাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বাফুফে। জিতলে ৩ হাজার ডলার, ড্র করলে ১ হাজার ডলার দেয়ার কথা বলা হয়েছিল সাবিনাদের। কিন্তু তা কোন কাজেই আসেনি। ড্র করা তো দুরে থাক বড় ব্যবধানে হার দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করল এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন।
২০১৪ সালে সবশেষ বাছাইয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে অংশ নেয়নি। সাত বছর আগে দেশের মাটিতে অভিজ্ঞতা অবশ্য মোটেও সুখের ছিল না দলের। সেবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯-০, ইরানের বিপক্ষে ২-০ এবং ফিলিপাইনের কাছে ৪-০ গোলে হেরে গ্রুপের তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। এবারও শুরু হলো বড় হার দিয়ে।
বাছাইয়ের জন্য উজবেকিস্তান যাওয়ার আগে নেপালে খেলেছিল তারা। প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পরের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল দল। নেপালের প্রস্তুতি উজবেকিস্তানে কাজে লাগিয়ে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রব্বানী। কিন্তু হলো না তেমন কিছুই।
২২ সেপ্টেম্বর ইরানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।