নিউজিল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হওয়ায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাদের ভাষ্য, অন্তত ১৩ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে পিসিবির। এ খরচ নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরে। নিরাপত্তার জন্য আরও ২-৩ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। শঙ্কা আছে, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড সিরিজও পন্ড হতে পারে। দুটি টি-২০ খেলতে ইংল্যান্ডের পাকিস্তানে যাওয়ার সূচি রয়েছে আগামী মাসে। যদি ইংল্যান্ড সিরিজও না হয় তাহলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। বিশাল এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তড়িঘড়ি করে একটি সিরিজ আয়োজন করতে চায় পিসিবি। এজন্য বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বারস্থ হয়েছে তারা। দুই দেশকেই পাঁচটি টি-২০ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি। তাদের এই দুঃসময়ে পাশে থাকার ইচ্ছা থাকলেও নানা কারণে সিরিজ খেলার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছে না বিসিবি। এজন্য না করে দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘পিসিবি থেকে আমরা একটি প্রস্তাব পেয়েছি। সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সফর করা সম্ভব নয়। হুট করে সিরিজ খেলার মতো মানসিকতা এখন নেই। ক্রিকেটাররা ছুটিতে, কোচিং স্টাফরাও ছুটিতে। আমরা বিশ্বকাপে আগে ওমানে প্রস্তুতি ক্যাম্পও করব। ফলে সিরিজ খেলার কোন সুযোগ দেখছি না। তবে সুযোগ থাকলে আমরা অবশ্যই পাকিস্তানের পাশে থাকতাম।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু বিসিবি মাথায় রেখেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ তিনটি টি-২০ ও এক টেস্ট খেলেছিল পাকিস্তানে। সেই সফরের আগে বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছিল। তাদের সবুজ সংকেতের ভিত্তিতে পাকিস্তানে দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। চার্টার্ড ফ্লাইটে দলকে নিয়ে গিয়েছিল তারা। অতি দ্রুত সময়ে এসব প্রক্রিয়া কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বিসিবির তরফ থেকে তাই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায়ও নেই। বিশ্বকাপের পর নভেম্বরে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা আছে। দুই টেস্ট ও তিন টি-২০ খেলতে ১৬ নভেম্বরই বাবর আজমের দল বাংলাদেশে আসছে। ২০১৫ সালের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে পাকিস্তান বাংলাদেশে আসছে। মাঝে ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ খেলতে এসেছিল শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ প- হওয়ার পর ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়নি পাকিস্তান। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ আয়োজন করে প্রস্তুতিতে রেখেছে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হাসান আলীদের।
সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিউজিল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হওয়ায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাদের ভাষ্য, অন্তত ১৩ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে পিসিবির। এ খরচ নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরে। নিরাপত্তার জন্য আরও ২-৩ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। শঙ্কা আছে, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড সিরিজও পন্ড হতে পারে। দুটি টি-২০ খেলতে ইংল্যান্ডের পাকিস্তানে যাওয়ার সূচি রয়েছে আগামী মাসে। যদি ইংল্যান্ড সিরিজও না হয় তাহলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। বিশাল এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তড়িঘড়ি করে একটি সিরিজ আয়োজন করতে চায় পিসিবি। এজন্য বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বারস্থ হয়েছে তারা। দুই দেশকেই পাঁচটি টি-২০ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে পিসিবি। তাদের এই দুঃসময়ে পাশে থাকার ইচ্ছা থাকলেও নানা কারণে সিরিজ খেলার প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছে না বিসিবি। এজন্য না করে দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘পিসিবি থেকে আমরা একটি প্রস্তাব পেয়েছি। সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সফর করা সম্ভব নয়। হুট করে সিরিজ খেলার মতো মানসিকতা এখন নেই। ক্রিকেটাররা ছুটিতে, কোচিং স্টাফরাও ছুটিতে। আমরা বিশ্বকাপে আগে ওমানে প্রস্তুতি ক্যাম্পও করব। ফলে সিরিজ খেলার কোন সুযোগ দেখছি না। তবে সুযোগ থাকলে আমরা অবশ্যই পাকিস্তানের পাশে থাকতাম।’
পাকিস্তানের নিরাপত্তা ইস্যু বিসিবি মাথায় রেখেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ তিনটি টি-২০ ও এক টেস্ট খেলেছিল পাকিস্তানে। সেই সফরের আগে বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছিল। তাদের সবুজ সংকেতের ভিত্তিতে পাকিস্তানে দল পাঠিয়েছিল বিসিবি। চার্টার্ড ফ্লাইটে দলকে নিয়ে গিয়েছিল তারা। অতি দ্রুত সময়ে এসব প্রক্রিয়া কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। বিসিবির তরফ থেকে তাই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়া ছাড়া কোন উপায়ও নেই। বিশ্বকাপের পর নভেম্বরে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা আছে। দুই টেস্ট ও তিন টি-২০ খেলতে ১৬ নভেম্বরই বাবর আজমের দল বাংলাদেশে আসছে। ২০১৫ সালের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে পাকিস্তান বাংলাদেশে আসছে। মাঝে ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ খেলতে এসেছিল শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ প- হওয়ার পর ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়নি পাকিস্তান। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ আয়োজন করে প্রস্তুতিতে রেখেছে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হাসান আলীদের।