বাফুফে নির্বাচন-২০২০
২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাফুফে নির্বাচন-২০২০। তবে করোনার ভয়াল থাবায় সেটা সম্ভবপর হয়নি। দেশে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে। গতকাল থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে সব কিছু খুলে দেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। লকডাউন তোলার ঘোষণার আগেই বাফুফে নির্বাচন নিয়ে তোরজোর শুরু করে দিয়েছে। বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল তো এ বিষয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে। জুনের প্রথম সপ্তাহেই নাকি নির্বাচন আয়োজন করতে চান তারা! অনলাইন ভোটিংসহ আরো কিছু বিষয়ে এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলেছেন তাবিথ আউয়াল। যা বাফুফের গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বিষয়টি নজরে এনে গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল ফুটবলের রূপকার বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন।
বাফুফের যাচাই-বাছাই কমিটি প্রসঙ্গে রুহুল আমিন বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে একটা যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়েছে এবং যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা কিন্তু বাফুফের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিরই সদস্য। সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাকি দুজন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। যাচাই-বাছাই কমিটি যদি নিজেদের লোক দিয়ে করানো হয়, তাহলে যাচাই-বাছাই কমিটির কোনো স্বাধীনতা থাকলে কি। এটি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা। যারা বাফুফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না অথবা বাফুফের নির্বাচনে অংশ নিবে না এই ধরনের লোক। এই যাচাই-বাছাই কমিটি অনতিবিলম্বে ভেঙে দিয়ে স্বাধীন লোকদের দিয়ে কমিটিটি করা উচিত। সেটা না হলে আমরা আইনগত যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটা নেব। বিডিডিএফএ এবং বিএফসিএ আমরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
রুহুল আমিন আরো বলেন, হঠাৎ ওনি (তাবিথ আউয়াল) চ্যানেলে এসে বলবেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করে ফেলবেন। অনলাইন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে এ ধরনের উদ্ভূট কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা ওনি কেন বললেন, কার কথায় বললেন এটা কিন্তু ওনাকে জবাবদিহি করতে হবে। ওনি দীর্ঘদিন ফুটবল ফেডারেশনে আছেন। ওনি যথেষ্ট জ্ঞানসম্পন্ন লোক, একজন ব্যবসায়ী। ওনি আইন-কানুন জেনে কথাটি বলা উচিত ছিল। অথচ আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া কথা বলে দিলেন। ওনি তো জানেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অন্তত সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো প্রায় মাসখানেকের মতো সময় লাগে। গঠনতন্ত্রেও কোন আলোকে তিনি এ কথা বলেছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রক্সি ভোটের কোনো সুযোগ নাই; অনলাইন ভোটিংয়ের কোনো সুযোগ নাই। অনলাইন ভোটিং যদি করতেই হয় ফিফা অনুমতি লাগবে। এজিএম করে গঠনতন্ত্রে এটা সংযোজন করতে হবে।’
বাফুফে নির্বাচন-২০২০
রোববার, ৩১ মে ২০২০
২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাফুফে নির্বাচন-২০২০। তবে করোনার ভয়াল থাবায় সেটা সম্ভবপর হয়নি। দেশে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে। গতকাল থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে সব কিছু খুলে দেয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। লকডাউন তোলার ঘোষণার আগেই বাফুফে নির্বাচন নিয়ে তোরজোর শুরু করে দিয়েছে। বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল তো এ বিষয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে। জুনের প্রথম সপ্তাহেই নাকি নির্বাচন আয়োজন করতে চান তারা! অনলাইন ভোটিংসহ আরো কিছু বিষয়ে এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলেছেন তাবিথ আউয়াল। যা বাফুফের গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বিষয়টি নজরে এনে গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল ফুটবলের রূপকার বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন।
বাফুফের যাচাই-বাছাই কমিটি প্রসঙ্গে রুহুল আমিন বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে একটা যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়েছে এবং যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা কিন্তু বাফুফের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিরই সদস্য। সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাকি দুজন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। যাচাই-বাছাই কমিটি যদি নিজেদের লোক দিয়ে করানো হয়, তাহলে যাচাই-বাছাই কমিটির কোনো স্বাধীনতা থাকলে কি। এটি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা। যারা বাফুফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না অথবা বাফুফের নির্বাচনে অংশ নিবে না এই ধরনের লোক। এই যাচাই-বাছাই কমিটি অনতিবিলম্বে ভেঙে দিয়ে স্বাধীন লোকদের দিয়ে কমিটিটি করা উচিত। সেটা না হলে আমরা আইনগত যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটা নেব। বিডিডিএফএ এবং বিএফসিএ আমরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
রুহুল আমিন আরো বলেন, হঠাৎ ওনি (তাবিথ আউয়াল) চ্যানেলে এসে বলবেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন করে ফেলবেন। অনলাইন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে এ ধরনের উদ্ভূট কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা ওনি কেন বললেন, কার কথায় বললেন এটা কিন্তু ওনাকে জবাবদিহি করতে হবে। ওনি দীর্ঘদিন ফুটবল ফেডারেশনে আছেন। ওনি যথেষ্ট জ্ঞানসম্পন্ন লোক, একজন ব্যবসায়ী। ওনি আইন-কানুন জেনে কথাটি বলা উচিত ছিল। অথচ আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া কথা বলে দিলেন। ওনি তো জানেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অন্তত সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো প্রায় মাসখানেকের মতো সময় লাগে। গঠনতন্ত্রেও কোন আলোকে তিনি এ কথা বলেছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রক্সি ভোটের কোনো সুযোগ নাই; অনলাইন ভোটিংয়ের কোনো সুযোগ নাই। অনলাইন ভোটিং যদি করতেই হয় ফিফা অনুমতি লাগবে। এজিএম করে গঠনতন্ত্রে এটা সংযোজন করতে হবে।’