প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পা রেখেই বাজিমাত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হারিয়ে দিয়েছিল সেই সময়কার তুমুল শক্তিশালী পাকিস্তানকে। দেশের ক্রিকেটে স্মরণীয় দিনটির ২১ বছর পূর্ণ হলো ৩১ মে, রোববার। ১৯৯৯ সালের এই দিনে এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল নর্দাম্পটনের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
নাঈমুর রহমাদ দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন, আকরাম খানদের ৬২ রানের সেই বীরত্বগাথা মনে রেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা- আইসিসি’ও। সেই ক্ষণের একটি ভিডিও ফুটেজ টুইট করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
একুশ বছর আগে এদিন ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান, যেই লড়াইয়ে নিশ্চিতভাবেই ফেবারিট ছিল ওয়াসিম আকরাম, সাঈদ আনোয়ার, সাকলাইন মুশতাক, ওয়াকার ইউনিস, আজহার মাহমুদ, ইনজামামুল হক, শহীদ আফ্রিদি ও শোয়েব আখতারদের মতো তারকায় ঠাসা পাকিস্তান।
অথচ সেই পাকিস্তানকে ওইদিন বিশাল এক লজ্জায় ডুবিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করা আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছিল ২২৩ রান।
জবাবে ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানে গুঁড়িয়ে যায় ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। দশ ওভার বোলিং করে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন খালেদ মাহমুদ সুজন। হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
এবারের অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপ চলাকালে আইসিসি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেই স্মরণীয় জয়ের প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেছিলেন সুজন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপও টুইটে জুড়ে দিয়েছে আইসিসি।
সুজন বলেন, “টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ওটাই আমাদের প্রথম জয় ছিল। চির স্মরণীয় জয় তো অবশ্যই, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা জয় ওটা। ম্যাচটাতে আমি ম্যাচসেরা হয়েছিলাম।
“আমি প্রথম উইকেট পেয়েছিলাম শহীদ আফ্রিদিরটা। তারপর সেলিম মালিক ও ইনজামাম-উল-হকের উইকেট।”
“আমি খুব ভালো মনে আছে। শেষ উইকেটটা রান আউট ছিল। দর্শকেরা মাঠে নেমে পড়েছিল এবং আমরা দৌড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যাই। ওই সময়ের পরিবেশটা অসাধারণ ছিল, রোমাঞ্চকর ছিল। মনে হচ্ছিল আমরা বাংলাদেশেই আছি।”
রোববার, ৩১ মে ২০২০
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে পা রেখেই বাজিমাত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হারিয়ে দিয়েছিল সেই সময়কার তুমুল শক্তিশালী পাকিস্তানকে। দেশের ক্রিকেটে স্মরণীয় দিনটির ২১ বছর পূর্ণ হলো ৩১ মে, রোববার। ১৯৯৯ সালের এই দিনে এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল নর্দাম্পটনের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
নাঈমুর রহমাদ দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন, আকরাম খানদের ৬২ রানের সেই বীরত্বগাথা মনে রেখেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা- আইসিসি’ও। সেই ক্ষণের একটি ভিডিও ফুটেজ টুইট করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
একুশ বছর আগে এদিন ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান, যেই লড়াইয়ে নিশ্চিতভাবেই ফেবারিট ছিল ওয়াসিম আকরাম, সাঈদ আনোয়ার, সাকলাইন মুশতাক, ওয়াকার ইউনিস, আজহার মাহমুদ, ইনজামামুল হক, শহীদ আফ্রিদি ও শোয়েব আখতারদের মতো তারকায় ঠাসা পাকিস্তান।
অথচ সেই পাকিস্তানকে ওইদিন বিশাল এক লজ্জায় ডুবিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করা আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছিল ২২৩ রান।
জবাবে ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানে গুঁড়িয়ে যায় ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। দশ ওভার বোলিং করে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন খালেদ মাহমুদ সুজন। হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
এবারের অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপ চলাকালে আইসিসি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সেই স্মরণীয় জয়ের প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেছিলেন সুজন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপও টুইটে জুড়ে দিয়েছে আইসিসি।
সুজন বলেন, “টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ওটাই আমাদের প্রথম জয় ছিল। চির স্মরণীয় জয় তো অবশ্যই, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা জয় ওটা। ম্যাচটাতে আমি ম্যাচসেরা হয়েছিলাম।
“আমি প্রথম উইকেট পেয়েছিলাম শহীদ আফ্রিদিরটা। তারপর সেলিম মালিক ও ইনজামাম-উল-হকের উইকেট।”
“আমি খুব ভালো মনে আছে। শেষ উইকেটটা রান আউট ছিল। দর্শকেরা মাঠে নেমে পড়েছিল এবং আমরা দৌড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যাই। ওই সময়ের পরিবেশটা অসাধারণ ছিল, রোমাঞ্চকর ছিল। মনে হচ্ছিল আমরা বাংলাদেশেই আছি।”