alt

উপ-সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

: শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বিস্তার করেছে জোরেশোরে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ; যার বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী জেলার অধিবাসী। অনেক জেলায় ভাইরাস শনাক্তের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় মৃত্যুবরণকারীর একাংশের নাম তালিকার বাইরে থাকছে। জনসচেতনতার অভাবেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বৃহত্তর খুলনা, রাজশাহীসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে দেশজুড়ে করোনা চিকিৎসায় শুধুই সংকট। এ সংকট মোকাবিলায় নেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তবমুখী ব্যবস্থা।

কভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞ মহল কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়েছে। আইসিইউ বেডের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। একজন সুস্থ মানুষ সারা জীবন মুক্ত বাতাস থেকে যে পরিমাণ অক্সিজেন টেনে নেয়, তার আর্থিক মূল্য কত? এ প্রশ্ন আপেক্ষিক, ক্ষেত্রবিশেষ অবান্তর। কারণ মুক্ত বাতাসের সুলভ অক্সিজেনের দরদাম নির্ধারণের মাপকাঠি কারও হাতে নেই।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সবার দৃষ্টি জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো ঠিক কতটা প্রস্তুত সেদিকে। ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলা শহরের হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। করোনাভাইরাসে যারা গুরুতরভাবে সংক্রমিত তাদের প্রয়োজন ভেন্টিলেটর। অথচ সারাদেশে ভেন্টিলেটরের প্রচন্ড অভাব। ভেন্টিলেটর না থাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের জীবন হুমকির মুখে। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট সহনীয় মাত্রায় থাকে তাদের শ্বাস গ্রহণের জন্য অক্সিজেন নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু যাদের শ্বাসকষ্টের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তাদের শ্বাসযন্ত্র সচল রাখতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। শুধু করোনা আক্রান্ত নন আরও অনেক গুরুতর রোগীর জন্য অক্সিজেন জরুরি হয়ে পড়ে। হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। অক্সিজেন সরবরাহের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা আছে এমনসব হাসপাতালে সমস্যা কম। কিন্তু আমাদের সরকারি-বেসরকারি বেশিরভাগ হাসপাতালে তো কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের সুযোগই নেই। ফলে সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ৩ হাজারের বেশি রোগীর আইসিইউ সহায়তা দরকার, কিন্তু শয্যা আছে চাহিদারও কম। আছে অক্সিজেন সরঞ্জামের চূড়ান্ত অভাব।

খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রচুর মানুষ। আক্রান্তের পর অধিকাংশই মুখোমুখি হচ্ছেন সংকটাপন্ন অবস্থার। রোগীর মুমূর্ষু অবস্থা তৈরি হলে চিকিৎসার অন্যতম জরুরি উপকরণ অক্সিজেন। অথচ বিভিন্ন জেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দিয়েছে। বর্ধিত চাহিদার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে সিলিন্ডারের দাম। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন সরবরাহ না বাড়ালে এবং সামনে সংক্রমণ আরও বাড়লে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে।

মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনোর বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। পরিস্থিতির অবনতি না চাইলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

[লেখক : পরিচালক, এফবিসিসিআই]

জনসংখ্যা : সম্পদ না সংকট?

ব্রিকসে নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

আষাঢ়ী পূর্ণিমা : আত্মশুদ্ধির সাধনায় বুদ্ধের অনন্ত আলো

বদলে যাওয়া মাটিতে সাহসী বীজ : জলবায়ুর বিপরীতে বাংলাদেশের কৃষির অভিযোজনগাথা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থান-গাথা : ‘শিকলে নাহি দিব ধরা’

প্রাচীন যৌধেয় জাতি ও তাদের সাম্যবাদী শাসন

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

প্লান্ট ক্লিনিক বদলে দিচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী করতে করণীয়

রম্যগদ্য : ‘ডন ডনা ডন ডন...’

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব : কে সন্ত্রাসী, কে শিকার?

সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব

প্রতিরোধই উত্তম : মাদকমুক্ত প্রজন্ম গড়ার ডাক

tab

উপ-সম্পাদকীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বিস্তার করেছে জোরেশোরে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ; যার বেশিরভাগ সীমান্তবর্তী জেলার অধিবাসী। অনেক জেলায় ভাইরাস শনাক্তের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় মৃত্যুবরণকারীর একাংশের নাম তালিকার বাইরে থাকছে। জনসচেতনতার অভাবেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বৃহত্তর খুলনা, রাজশাহীসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে দেশজুড়ে করোনা চিকিৎসায় শুধুই সংকট। এ সংকট মোকাবিলায় নেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তবমুখী ব্যবস্থা।

কভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞ মহল কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিয়েছে। আইসিইউ বেডের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। একজন সুস্থ মানুষ সারা জীবন মুক্ত বাতাস থেকে যে পরিমাণ অক্সিজেন টেনে নেয়, তার আর্থিক মূল্য কত? এ প্রশ্ন আপেক্ষিক, ক্ষেত্রবিশেষ অবান্তর। কারণ মুক্ত বাতাসের সুলভ অক্সিজেনের দরদাম নির্ধারণের মাপকাঠি কারও হাতে নেই।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই সবার দৃষ্টি জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্য অবকাঠামো ঠিক কতটা প্রস্তুত সেদিকে। ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলা শহরের হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। করোনাভাইরাসে যারা গুরুতরভাবে সংক্রমিত তাদের প্রয়োজন ভেন্টিলেটর। অথচ সারাদেশে ভেন্টিলেটরের প্রচন্ড অভাব। ভেন্টিলেটর না থাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের জীবন হুমকির মুখে। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট সহনীয় মাত্রায় থাকে তাদের শ্বাস গ্রহণের জন্য অক্সিজেন নেয়ার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু যাদের শ্বাসকষ্টের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তাদের শ্বাসযন্ত্র সচল রাখতে বাইরে থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়। শুধু করোনা আক্রান্ত নন আরও অনেক গুরুতর রোগীর জন্য অক্সিজেন জরুরি হয়ে পড়ে। হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। অক্সিজেন সরবরাহের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা আছে এমনসব হাসপাতালে সমস্যা কম। কিন্তু আমাদের সরকারি-বেসরকারি বেশিরভাগ হাসপাতালে তো কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের সুযোগই নেই। ফলে সিলিন্ডারের মাধ্যমে রোগীকে অক্সিজেন দিতে হয়। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ৩ হাজারের বেশি রোগীর আইসিইউ সহায়তা দরকার, কিন্তু শয্যা আছে চাহিদারও কম। আছে অক্সিজেন সরঞ্জামের চূড়ান্ত অভাব।

খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে প্রচুর মানুষ। আক্রান্তের পর অধিকাংশই মুখোমুখি হচ্ছেন সংকটাপন্ন অবস্থার। রোগীর মুমূর্ষু অবস্থা তৈরি হলে চিকিৎসার অন্যতম জরুরি উপকরণ অক্সিজেন। অথচ বিভিন্ন জেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দিয়েছে। বর্ধিত চাহিদার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে সিলিন্ডারের দাম। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন সরবরাহ না বাড়ালে এবং সামনে সংক্রমণ আরও বাড়লে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে।

মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনোর বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। পরিস্থিতির অবনতি না চাইলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

[লেখক : পরিচালক, এফবিসিসিআই]

back to top