alt

উপ-সম্পাদকীয়

দেশের ইস্পাত শিল্প

কামরুল ইসলাম পাপ্পু

: রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইস্পাত শিল্প এখন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। এ শিল্প দেশের সুফল বয়ে আনবে। ইস্পাত শিল্প মানুষের মেরুদন্ডের মতো। মানুষ যেমন মেরুদন্ডের ওপর টিকে থাকে, তেমনই ভবন দাঁড়িয়ে থাকে স্টিলের ওপর। দেশে ইস্পাতের বাজার বাড়ছে। সরকারের সুরক্ষা নীতির কারণে ব্যবসায়ীরাও এই খাতে বিনিয়োগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বাংলাদেশে ইস্পাত শিল্পের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় ইস্পাতের রয়েছে বড় অবদান। দেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হলে ইস্পাতের ব্যবহার বাড়াতেই হবে। সরকারের উদ্যোগে সড়ক ও রেলসহ অবকাঠামো খাতে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আবাসন খাতে গতি ফেরায় প্রভাব পড়ছে ইস্পাত শিল্পে। ইস্পাতের চাহিদা বাড়ায় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়াচ্ছে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা। নতুন বিনিয়োগ নিয়েও আসছে অনেকে। বর্তমানে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে ইস্পাত শিল্পের সুবর্ণ অগ্রযাত্রা অদূর ভবিষ্যতে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।

একটা দেশের উন্নয়ন বিবেচনা করা হয় সে দেশের স্টিল ব্যবহারের ওপর। কতটুকু তারা স্টিল ব্যবহার করে, সে বিষয়ে। সেদিক থেকে আমরা অনেক এগিয়েছি। এই শিল্প খাতের বর্জ্য শতভাগ রিসাইক্লিং। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের হাইওয়েতে আমরা। কিন্তু আমাদের দেশে আরও অনেক উন্নয়নের দরকার। ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য সরকারের পলিসি আছে, দেশের শিল্পপতিদের জন্যও পলিসি আছে। শিল্পের উন্নয়ন হলে দেশেরও উন্নয়ন হবে। স্বাধীনতার পর সরকার শিল্প খাতের উন্নয়নে যেভাবে এগিয়ে এসেছে, দেশের মানুষ পরিবর্তন হয়েছে।

পৃথিবীর যত দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে গিয়েছে, স্টিল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়েছে। আর তখনই দেশ এগিয়ে যায়। এখন দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে বেশি স্টিল ব্যবহার করে। মাথাপিছু স্টিল ব্যবহার প্রায় এক হাজার ৪৭ কেজি। বাংলাদেশে আমরা ব্যবহার করি মাথাপিছু ৪৫ কেজি। কিন্তু দেশে প্রতি বছর স্টিলের ব্যবহার বাড়ছে। সেটার কারণ আমাদের দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। স্টিল ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বহু পিছিয়ে থাকলেও এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। দেশে স্টিল ব্যবহার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখছে ইস্পাত। সময়ের ব্যবধানে বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে ইস্পাত শিল্পে। গত ১২ বছরে তিনগুণেরও বেশি চাহিদা বেড়েছে ইস্পাতের।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে স্টিলশিল্প গুরুত্বপূর্ণ। এই স্টিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, দেশও এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের মতো বড় বড় মেগা প্রকল্প চলমান। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নও চলছে। দেশের অবকাঠামো বা মেগা প্রকল্পে দেশীয় ইস্পাত শিল্পের আরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দেশের এই শিল্পকে উৎসাহিত করতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। দেশি শিল্পকে উৎসাহিত করতে বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধান করতে হবে। একটি শিল্পে নানা সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু সেটিকে এগিয়ে নিতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নীতি-সহায়তা দিয়েও দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে ও এগিয়ে নিতে হবে সরকারকে।

যে কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য ইস্পাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু তার জন্য দরকার গুণগত মানের ইস্পাত। আমরা চাইলে আমাদের দেশে যারা ইঞ্জিনিয়ার আছেন তাদের কাজে লাগিয়ে ভালো মানের রড উৎপাদনের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারি। আমাদের দেশে ইস্পাত গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে মানসম্মত রড উৎপাদন এখন সময়ের দাবি।

সভ্যতা শুরুই হয়েছে ইস্পাত দিয়ে। ইস্পাতের পরিধি এত বড় যে আমরা আজ যেই মাইক্রোফোন দিয়ে কথা বলছি এর মধ্যেও লোহা আছে। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই এগিয়ে যাওয়া থামবে না। ২০৫০ পর্যন্ত চলবে। এর জন্য ইস্পাতের প্রয়োজন আছে। ইস্পাত শিল্প হলো একটা দেশের উন্নয়নের হাতিয়ার। এই শিল্পকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের কথা চিন্তাই করা যায় না। তাই আমাদের দেশে বিদেশি যারা এ খাতে বিনিয়োগ করেন তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আমাদের দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে এসে কীভাবে এটাকে আরও উন্নতি করা যায়- তা চিন্তা করা প্রয়োজন।

[লেখক : শিল্পোদ্যোক্তা ও কর্ণধার; বন্দর স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড]

চিকিৎসা জগতের বাতিঘর জন হপকিনস বিশ^বিদ্যালয়

জলবায়ু পরিবর্তনের দৃশ্যমান প্রভাব

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান ও আজকের বাংলাদেশ

আবিষ্কারমূলক শিখন পদ্ধতি

টেকসই কৃষিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা

ছবি

জয়নুলের সাঁওতাল দম্পতি এবং সুমনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা

এরপরও কি গাছ লাগাবেন না, বন রক্ষা করবেন না?

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিলের শেষ কোথায়

খুব জানতে ইচ্ছে করে

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট?

কৃষিগুচ্ছ : ভর্তির আবেদনের নূ্যূনতম যোগ্যতা ও ফলাফল প্রস্তুতিতে বৈষম্য

ছবি

গণপরিবহনে নৈরাজ্যের শেষ কোথায়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

ছবি

বি আর আম্বেদকর : নিম্নবর্গের মানুষের প্রতিনিধি

চেকের মামলায় আসামির মুক্তির পথ কী

রাম-নবমী : হিন্দুত্বের নয়া গবেষণাগার

‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ উদ্যোগ কি সফল হবে

কিশোর গ্যাং : সমস্যার মূলে যেতে হবে

গীতি চলচ্চিত্র ‘কাজল রেখা’ : সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিকাশ ঘটুক

ছবি

ঋতুভিত্তিক চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতি

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

tab

উপ-সম্পাদকীয়

দেশের ইস্পাত শিল্প

কামরুল ইসলাম পাপ্পু

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইস্পাত শিল্প এখন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। এ শিল্প দেশের সুফল বয়ে আনবে। ইস্পাত শিল্প মানুষের মেরুদন্ডের মতো। মানুষ যেমন মেরুদন্ডের ওপর টিকে থাকে, তেমনই ভবন দাঁড়িয়ে থাকে স্টিলের ওপর। দেশে ইস্পাতের বাজার বাড়ছে। সরকারের সুরক্ষা নীতির কারণে ব্যবসায়ীরাও এই খাতে বিনিয়োগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বাংলাদেশে ইস্পাত শিল্পের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। সভ্যতার অগ্রযাত্রায় ইস্পাতের রয়েছে বড় অবদান। দেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হলে ইস্পাতের ব্যবহার বাড়াতেই হবে। সরকারের উদ্যোগে সড়ক ও রেলসহ অবকাঠামো খাতে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আবাসন খাতে গতি ফেরায় প্রভাব পড়ছে ইস্পাত শিল্পে। ইস্পাতের চাহিদা বাড়ায় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়াচ্ছে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা। নতুন বিনিয়োগ নিয়েও আসছে অনেকে। বর্তমানে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে সরকারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে ইস্পাত শিল্পের সুবর্ণ অগ্রযাত্রা অদূর ভবিষ্যতে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।

একটা দেশের উন্নয়ন বিবেচনা করা হয় সে দেশের স্টিল ব্যবহারের ওপর। কতটুকু তারা স্টিল ব্যবহার করে, সে বিষয়ে। সেদিক থেকে আমরা অনেক এগিয়েছি। এই শিল্প খাতের বর্জ্য শতভাগ রিসাইক্লিং। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের হাইওয়েতে আমরা। কিন্তু আমাদের দেশে আরও অনেক উন্নয়নের দরকার। ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য সরকারের পলিসি আছে, দেশের শিল্পপতিদের জন্যও পলিসি আছে। শিল্পের উন্নয়ন হলে দেশেরও উন্নয়ন হবে। স্বাধীনতার পর সরকার শিল্প খাতের উন্নয়নে যেভাবে এগিয়ে এসেছে, দেশের মানুষ পরিবর্তন হয়েছে।

পৃথিবীর যত দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে গিয়েছে, স্টিল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়েছে। আর তখনই দেশ এগিয়ে যায়। এখন দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে বেশি স্টিল ব্যবহার করে। মাথাপিছু স্টিল ব্যবহার প্রায় এক হাজার ৪৭ কেজি। বাংলাদেশে আমরা ব্যবহার করি মাথাপিছু ৪৫ কেজি। কিন্তু দেশে প্রতি বছর স্টিলের ব্যবহার বাড়ছে। সেটার কারণ আমাদের দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। স্টিল ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বহু পিছিয়ে থাকলেও এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। দেশে স্টিল ব্যবহার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখছে ইস্পাত। সময়ের ব্যবধানে বৈপ্লবিক অগ্রগতি হয়েছে ইস্পাত শিল্পে। গত ১২ বছরে তিনগুণেরও বেশি চাহিদা বেড়েছে ইস্পাতের।

উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে স্টিলশিল্প গুরুত্বপূর্ণ। এই স্টিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, দেশও এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলের মতো বড় বড় মেগা প্রকল্প চলমান। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নও চলছে। দেশের অবকাঠামো বা মেগা প্রকল্পে দেশীয় ইস্পাত শিল্পের আরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দেশের এই শিল্পকে উৎসাহিত করতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন। দেশি শিল্পকে উৎসাহিত করতে বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধান করতে হবে। একটি শিল্পে নানা সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু সেটিকে এগিয়ে নিতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নীতি-সহায়তা দিয়েও দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে ও এগিয়ে নিতে হবে সরকারকে।

যে কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য ইস্পাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু তার জন্য দরকার গুণগত মানের ইস্পাত। আমরা চাইলে আমাদের দেশে যারা ইঞ্জিনিয়ার আছেন তাদের কাজে লাগিয়ে ভালো মানের রড উৎপাদনের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারি। আমাদের দেশে ইস্পাত গবেষণাকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে মানসম্মত রড উৎপাদন এখন সময়ের দাবি।

সভ্যতা শুরুই হয়েছে ইস্পাত দিয়ে। ইস্পাতের পরিধি এত বড় যে আমরা আজ যেই মাইক্রোফোন দিয়ে কথা বলছি এর মধ্যেও লোহা আছে। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই এগিয়ে যাওয়া থামবে না। ২০৫০ পর্যন্ত চলবে। এর জন্য ইস্পাতের প্রয়োজন আছে। ইস্পাত শিল্প হলো একটা দেশের উন্নয়নের হাতিয়ার। এই শিল্পকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের কথা চিন্তাই করা যায় না। তাই আমাদের দেশে বিদেশি যারা এ খাতে বিনিয়োগ করেন তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আমাদের দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে এসে কীভাবে এটাকে আরও উন্নতি করা যায়- তা চিন্তা করা প্রয়োজন।

[লেখক : শিল্পোদ্যোক্তা ও কর্ণধার; বন্দর স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড]

back to top