ইসরাত নাজনীন জেসমিন
ইদানীং দৈহিক আকার-আকৃতি নিয়ে ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। যার ফলে ব্যক্তি তার দৈহিক অবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তায় পরে যায়, নিজেকে সঠিক একটা মাত্রায় নিয়ে আসতে ডিপ্রেশনে ভোগে এবং তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে। আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিকমাত্রায় খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এ খাদ্য গ্রহণে যখন ভয় কাজ করে তখন সেটা ডিজঅর্ডারে পরিণত হয়। খাবার গ্রহণের ফলে ব্যক্তি আরও মোটা হয়ে যাবে এটা নিয়ে যে ভয় এটাই ইটিং ডিজঅর্ডার। ইটিং ডিজঅর্ডার ব্যক্তির মানসিক চিন্তাভাবনা, ইমোশনের সঙ্গে জড়িত থাকে। কোন ব্যক্তি যখন তার বডি শেমিংয়ের জন্য বুলিংয়ের শিকার হয় তখন সে তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়। এ পরিবর্তন আনতে গিয়ে সে ইটিং ডিজঅর্ডারে জড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ইটিং ডিজঅর্ডার রয়েছে। তার মধ্যে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা, বুলিমিয়া নারভোসা এবং বিনজ ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগছে অনেকেই। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে খাবার না খাওয়া বা খেয়ে ফেললেও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তা দেহ থেকে বের করে ফেলার পেছনে আমাদের সমাজের বুলিং দায়ী অনেকাংশেই। এই যে কিছুদিন আগে আমরা দেখতে পেলাম দশম শ্রেণীর একজন ছেলে তার অতিরিক্ত মোটা হওয়া নিয়ে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে ক্লাস টিচার এর দ্বারা ও বুলিংয়ের শিকার হলো। যার ফলে একপর্যায়ে সে ডায়েটিং করতে গিয়ে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসাতে ভুগতে শুরু করে লাস্ট পর্যন্ত পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। আমাদের উচিত কাউকে নিয়ে সমালোচনা না করে বরং সে যে অবস্থায় আছে তাকে তার অবস্থানে ভালো অনুভব করানো। কারো দৈহিক আকৃতি নিয়ে বুলিং করতে গিয়ে তাকে এমন অবস্থানে নিয়ে না আসা যাতে সে খাবার গ্রহণেই ভয় পায়। আমরা কখন বুঝতে পারব যে একজন ব্যক্তি ইটিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত? আমরা যদি কাউকে দেখি যে সে আগে যেরকম খেত এখন পরিমাণে অনেক কম খাচ্ছে, গ্রুপের সবাই খাবার খেতে ব্যস্ত কিন্তু সে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে বা সব কিছু অনেক বেশি ডায়েটিং মাফিক করছে তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে অন্যথায় ইটিং ডিজঅর্ডার ভুগতে পারে। তবে কেউ যদি এসব সমস্যায় জড়িয়েই যায় তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে জোড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং বা থেরাপি নেয়া যেতে পারে।
[ লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]
ইসরাত নাজনীন জেসমিন
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইদানীং দৈহিক আকার-আকৃতি নিয়ে ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরাও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। যার ফলে ব্যক্তি তার দৈহিক অবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তায় পরে যায়, নিজেকে সঠিক একটা মাত্রায় নিয়ে আসতে ডিপ্রেশনে ভোগে এবং তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে শুরু করে। আমাদের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য সঠিকমাত্রায় খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এ খাদ্য গ্রহণে যখন ভয় কাজ করে তখন সেটা ডিজঅর্ডারে পরিণত হয়। খাবার গ্রহণের ফলে ব্যক্তি আরও মোটা হয়ে যাবে এটা নিয়ে যে ভয় এটাই ইটিং ডিজঅর্ডার। ইটিং ডিজঅর্ডার ব্যক্তির মানসিক চিন্তাভাবনা, ইমোশনের সঙ্গে জড়িত থাকে। কোন ব্যক্তি যখন তার বডি শেমিংয়ের জন্য বুলিংয়ের শিকার হয় তখন সে তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়। এ পরিবর্তন আনতে গিয়ে সে ইটিং ডিজঅর্ডারে জড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ইটিং ডিজঅর্ডার রয়েছে। তার মধ্যে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা, বুলিমিয়া নারভোসা এবং বিনজ ইটিং ডিজঅর্ডারে ভুগছে অনেকেই। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে খাবার না খাওয়া বা খেয়ে ফেললেও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তা দেহ থেকে বের করে ফেলার পেছনে আমাদের সমাজের বুলিং দায়ী অনেকাংশেই। এই যে কিছুদিন আগে আমরা দেখতে পেলাম দশম শ্রেণীর একজন ছেলে তার অতিরিক্ত মোটা হওয়া নিয়ে তার সহপাঠী থেকে শুরু করে ক্লাস টিচার এর দ্বারা ও বুলিংয়ের শিকার হলো। যার ফলে একপর্যায়ে সে ডায়েটিং করতে গিয়ে অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসাতে ভুগতে শুরু করে লাস্ট পর্যন্ত পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। আমাদের উচিত কাউকে নিয়ে সমালোচনা না করে বরং সে যে অবস্থায় আছে তাকে তার অবস্থানে ভালো অনুভব করানো। কারো দৈহিক আকৃতি নিয়ে বুলিং করতে গিয়ে তাকে এমন অবস্থানে নিয়ে না আসা যাতে সে খাবার গ্রহণেই ভয় পায়। আমরা কখন বুঝতে পারব যে একজন ব্যক্তি ইটিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত? আমরা যদি কাউকে দেখি যে সে আগে যেরকম খেত এখন পরিমাণে অনেক কম খাচ্ছে, গ্রুপের সবাই খাবার খেতে ব্যস্ত কিন্তু সে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে বা সব কিছু অনেক বেশি ডায়েটিং মাফিক করছে তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে অন্যথায় ইটিং ডিজঅর্ডার ভুগতে পারে। তবে কেউ যদি এসব সমস্যায় জড়িয়েই যায় তবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে জোড় দেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং বা থেরাপি নেয়া যেতে পারে।
[ লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]