মো. জিল্লুর রহমান
মোটরসাইকেল চালকরা প্রতিনিয়ত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে। যার ফলে সড়কে ঘটছে নানা ধরনের মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। শহরে সড়কের উল্টো দিক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা সর্বাধিক। তাই ফুটপাতে মোটর সাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার, নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত না চালানো, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে রাস্তার মোড় পার হওয়া, জোরে হর্ন না বাজানো, সর্বোপরি ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য জনমত গঠন করা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে জেব্রা ক্রসিং ও ফুট ওভারব্রিজ ছাড়া রাস্তা পারাপারে পথচারীদের নিরুৎসাহিত করা দরকার। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পর মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরার বিষয়ে অনেকের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও অনেকেই আইন মানছেন না।
ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো অবস্থায়ই হাঁটার পথে মোটরবাইক চালানো যাবে না। এছাড়া ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালালে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদন্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-তে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আইনগুলো বাস্তবায়ন হলে ফুটপাতে মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য অনেকাংশেই কমে যাবে।
সড়ক নিরাপত্তার জন্য মোটরসাইকেল বড় হুমকি। মানুষ দ্রুত তার গন্তব্যে যেতে চায়। এ কারণেই রাজধানীর গতিহীন সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হলে মোটরসাইকেল নিয়ে এত দুর্ভাবনার কারণ হতো না। মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা তুলনামূলক কম। তারা সুযোগ পেলেই আইন ভেঙে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনার জন্য, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষ, সড়ক ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারকারী সবাইকে সংযুক্ত করে দেশব্যাপী নিরাপদ সড়কের জন্য ক্যাম্পেইন চালানো দরকার। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্পিড রাডার বসানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সীমার তুলনায় অধিক গতিতে মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহন চালান নিরুৎসাহিত করা জরুরি। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকতে হবে, যেন অসদুপায় অবলম্বন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া না যায়। ট্রাফিক পুলিশকে আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
মো. জিল্লুর রহমান
মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
মোটরসাইকেল চালকরা প্রতিনিয়ত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে। যার ফলে সড়কে ঘটছে নানা ধরনের মারাত্মক সব দুর্ঘটনা। শহরে সড়কের উল্টো দিক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা সর্বাধিক। তাই ফুটপাতে মোটর সাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা দরকার, নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত না চালানো, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে রাস্তার মোড় পার হওয়া, জোরে হর্ন না বাজানো, সর্বোপরি ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য জনমত গঠন করা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে জেব্রা ক্রসিং ও ফুট ওভারব্রিজ ছাড়া রাস্তা পারাপারে পথচারীদের নিরুৎসাহিত করা দরকার। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পর মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরার বিষয়ে অনেকের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও অনেকেই আইন মানছেন না।
ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। উক্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো অবস্থায়ই হাঁটার পথে মোটরবাইক চালানো যাবে না। এছাড়া ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালালে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদন্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-তে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আইনগুলো বাস্তবায়ন হলে ফুটপাতে মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য অনেকাংশেই কমে যাবে।
সড়ক নিরাপত্তার জন্য মোটরসাইকেল বড় হুমকি। মানুষ দ্রুত তার গন্তব্যে যেতে চায়। এ কারণেই রাজধানীর গতিহীন সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে। যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হলে মোটরসাইকেল নিয়ে এত দুর্ভাবনার কারণ হতো না। মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা তুলনামূলক কম। তারা সুযোগ পেলেই আইন ভেঙে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য কমিয়ে আনার জন্য, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষ, সড়ক ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারকারী সবাইকে সংযুক্ত করে দেশব্যাপী নিরাপদ সড়কের জন্য ক্যাম্পেইন চালানো দরকার। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্পিড রাডার বসানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সীমার তুলনায় অধিক গতিতে মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহন চালান নিরুৎসাহিত করা জরুরি। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ও সতর্ক থাকতে হবে, যেন অসদুপায় অবলম্বন করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া না যায়। ট্রাফিক পুলিশকে আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।