ষড়ঋতুর পালাবদল আর প্রকৃতির মনভুলানো রূপলাবণ্য ধারণ করে আমাদের জন্মভূমি পৃথিবীর সব দেশ থেকে আলাদা হয়ে আছে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত কত রঙ, উচ্ছ্বাস আর সৌন্দর্য্য নিয়ে আগলে রাখে প্রকৃতিকে। একের পর এক পরিবর্তন। পরিবর্তনের এই ধারা অনেকের কাছে যেমন উপভোগ্য হয়, তেমনি কারো কাছে হয়ে উঠে দুঃসহ-অভিশাপ।
গৃহহীন হত দরিদ্র শীতার্ত মানুষের কাছে শীত ঋতু রীতিমতো ভয়ের কারণ। কুয়াশাঘেরা রাত্রিগুলো তাদের জীবনকে কঠিন করে তুলে। একটু উষ্ণতার খোঁজে কেউবা খড় পোড়ায়, কেউবা কাঁপতে কাঁপতে খুঁজে বেড়ায় জীবনের মানে। শীতের প্রকোপে খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। খোলা আকাশের নিচে কুয়াশার আলিঙ্গন যেমন নিদারুণ কষ্টের সাক্ষী হয় তেমনি নানা রোগ-বালাই দেখা দেয় সুবিধাবঞ্চিত এই মানুষদের।
ইচ্ছে করলেই আমরা হতদরিদ্র শীতার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখতে পারি। নিজেদের অব্যবহৃত কাপড়গুলো ঘরে ফেলে না রেখে আশপাশের দরিদ্রদের হাতে তুলে দিয়ে হতে পারি একেকটি নিষ্কলুষ হাসির ভাগীদার। আমাদের অব্যবহৃত একেকটি শীতবস্ত্র শীত নিবারণের অবলম্বন হতে পারে একজন শীতার্ত মানুষের। সমাজের বিত্তবান ও মানবিক বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা যদি মানবিকতার হাত বাড়ান দুর্দশাগ্রস্ত এসব মানুষের তরে, তবেই কমবে দুর্ভোগ। আসুন, নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসি। সামষ্টিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে এক চিলতে হাসি উপহার দেই, ছন্নছাড়া মানুষদের। শীত শুরুর এই সময়টাতে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শীতার্তদের খোঁজ নেই, জোগান দেই একটু উষ্ণতার।
রিদ্বওয়ান মাহমুদ
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, এমসি কলেজ সিলেট।
মঙ্গলবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২০
ষড়ঋতুর পালাবদল আর প্রকৃতির মনভুলানো রূপলাবণ্য ধারণ করে আমাদের জন্মভূমি পৃথিবীর সব দেশ থেকে আলাদা হয়ে আছে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত কত রঙ, উচ্ছ্বাস আর সৌন্দর্য্য নিয়ে আগলে রাখে প্রকৃতিকে। একের পর এক পরিবর্তন। পরিবর্তনের এই ধারা অনেকের কাছে যেমন উপভোগ্য হয়, তেমনি কারো কাছে হয়ে উঠে দুঃসহ-অভিশাপ।
গৃহহীন হত দরিদ্র শীতার্ত মানুষের কাছে শীত ঋতু রীতিমতো ভয়ের কারণ। কুয়াশাঘেরা রাত্রিগুলো তাদের জীবনকে কঠিন করে তুলে। একটু উষ্ণতার খোঁজে কেউবা খড় পোড়ায়, কেউবা কাঁপতে কাঁপতে খুঁজে বেড়ায় জীবনের মানে। শীতের প্রকোপে খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। খোলা আকাশের নিচে কুয়াশার আলিঙ্গন যেমন নিদারুণ কষ্টের সাক্ষী হয় তেমনি নানা রোগ-বালাই দেখা দেয় সুবিধাবঞ্চিত এই মানুষদের।
ইচ্ছে করলেই আমরা হতদরিদ্র শীতার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখতে পারি। নিজেদের অব্যবহৃত কাপড়গুলো ঘরে ফেলে না রেখে আশপাশের দরিদ্রদের হাতে তুলে দিয়ে হতে পারি একেকটি নিষ্কলুষ হাসির ভাগীদার। আমাদের অব্যবহৃত একেকটি শীতবস্ত্র শীত নিবারণের অবলম্বন হতে পারে একজন শীতার্ত মানুষের। সমাজের বিত্তবান ও মানবিক বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা যদি মানবিকতার হাত বাড়ান দুর্দশাগ্রস্ত এসব মানুষের তরে, তবেই কমবে দুর্ভোগ। আসুন, নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসি। সামষ্টিকভাবে উদ্যোগ নিয়ে এক চিলতে হাসি উপহার দেই, ছন্নছাড়া মানুষদের। শীত শুরুর এই সময়টাতে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শীতার্তদের খোঁজ নেই, জোগান দেই একটু উষ্ণতার।
রিদ্বওয়ান মাহমুদ
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, এমসি কলেজ সিলেট।