alt

পাঠকের চিঠি

বইয়ের সঠিক মূল্য লিখুন

: মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০

বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। সমাজ আলোকিত করে; সুনাগরিক গঠনেও বইয়ের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। এক কথায় জ্ঞান, সম্মৃদ্ধি ও উন্নতির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হলো বই। সুতরাং বই সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন এবং সবার কাছে বই পৌঁছে দেওয়া কর্তব্য। নাগরিকের কাছে বই প্রাপ্তিতে বাধা মানে ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী ও সুনাগরিক গঠনে বাধা সৃষ্টি করা। সকল ধরনের বই যেমন, গবেষণামূলক বই, একাডেমিক বই, গল্পের বই, উপন্যাস, নাটক, জীবনীগ্রন্থ এবং অন্যান্য সকল বইয়ের প্রকৃত মূল্য থেকে দৃশ্যমান মূল্য অনেক বেশি। দৃশ্যমান মূল্য বেশি হওয়ার কারণে অনেকে বই ক্রয়ে নিরুৎসাহিত হয়; মনে করে যে, বই এর মূল্য অনেক বেশি! তাই বই ক্রয়ে আগ্রহ অনেক সময় কমে যায়। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ স্বল্পশিক্ষিত বা বর্ণজ্ঞানহীন। তারা কম বোঝেন।

কিন্তু তাদের কম বোঝার ফলে ফাইদা হয় দোকানদারদের। যেমন- একটি বইয়ের মূল্য বইতে দেওয়া আছে চারশ’ বিশ টাকা কিন্তু দুইশত ত্রিশ টাকা হলো বিক্রয় মূল্য। তাহলে বইটির মূল্য চারশ’ বিশ টাকা দেয়ার কোনো মানে হয় না! এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের ধোঁকা দেওয়ার সুযোগ পায় দোকানদার। যদি চারশত বিশ টাকা মূল্যের বই দুশ’ ত্রিশ টাকায় বিক্রি হয় তাহলে চারশ’ বিশ টাকা লেখা মানে দোকানদারদের সুযোগ করে দেয়া ছাড়া কিছুই নয়!

কারণ এক্ষেত্রে গ্রামের সহজ সরল মানুষের থেকে দৃশ্যমান মূল্য দেখিয়ে সেই মূল্য থেকে কিছু টাকা কমে বা সেই মূল্যে বই বিক্রি করে দিতে পারেন। এভাবে সাধারণ মানুষ ধোঁকা খায়। এর অনেক নজির রয়েছে। লেখক মনে করতে পারেন যে, তার বইয়ের মূল্য বেশি লিখলে হয়তো মানুষের কাছে মানসম্মত বই বলে বিবেচিত হবে বা তার বইয়ের মানদন্ড বৃদ্ধি পাবে। ভালো লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হবে কিন্তু ভাল লেখক বা বইয়ের মূল্য নির্ভর করে লেখনির মাধ্যমে, বিশ্লেষণ বা পাঠকের ভালো লাগার মাধ্যমে; উল্লেখ্য মূল্যের ওপর নয়!

সব কিছুর একটি বিধিমালা বা আইনি প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন। যেমন- কপিরাইট আইন জোরদার করা, বইয়ের সঠিক মূল্য লেখা ও অসামাজিক বই নিষিদ্ধ করা। এগুলো বাস্তবায়ন করলে লেখা মানসম্মত হবে এবং পাঠকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে! সেই সঙ্গে নতুন কবি সাহিত্যিকও তৈরি হতে সহায়তা করবে এবং উৎসাহিত হবে। তাই লেখক ও প্রকাশকদের আহ্বান করছি এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে বই প্রকাশ করার জন্য!

মো. সোহেল রানা

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বাড়ছে কেন

মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা প্রয়োজন

ছবি

মেট্রোরেলে টিকেট ভোগান্তি

রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ হোক

ডিভাইস মুক্ত পরীক্ষা চাই

সড়ক হোক নিরাপদ

ছবি

গণপরিবহনে নারীরা কতটুকু নিরাপদ?

ছবি

তরমুজের দাম এত বেশি

নিরাপদে বেড়ে উঠুক প্রতিটি শিশু

রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায়ভার কার?

চিকিৎসায় বিদেশমুখিতা

tab

পাঠকের চিঠি

বইয়ের সঠিক মূল্য লিখুন

মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০

বই মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করে। সমাজ আলোকিত করে; সুনাগরিক গঠনেও বইয়ের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। এক কথায় জ্ঞান, সম্মৃদ্ধি ও উন্নতির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হলো বই। সুতরাং বই সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন এবং সবার কাছে বই পৌঁছে দেওয়া কর্তব্য। নাগরিকের কাছে বই প্রাপ্তিতে বাধা মানে ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী ও সুনাগরিক গঠনে বাধা সৃষ্টি করা। সকল ধরনের বই যেমন, গবেষণামূলক বই, একাডেমিক বই, গল্পের বই, উপন্যাস, নাটক, জীবনীগ্রন্থ এবং অন্যান্য সকল বইয়ের প্রকৃত মূল্য থেকে দৃশ্যমান মূল্য অনেক বেশি। দৃশ্যমান মূল্য বেশি হওয়ার কারণে অনেকে বই ক্রয়ে নিরুৎসাহিত হয়; মনে করে যে, বই এর মূল্য অনেক বেশি! তাই বই ক্রয়ে আগ্রহ অনেক সময় কমে যায়। শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ স্বল্পশিক্ষিত বা বর্ণজ্ঞানহীন। তারা কম বোঝেন।

কিন্তু তাদের কম বোঝার ফলে ফাইদা হয় দোকানদারদের। যেমন- একটি বইয়ের মূল্য বইতে দেওয়া আছে চারশ’ বিশ টাকা কিন্তু দুইশত ত্রিশ টাকা হলো বিক্রয় মূল্য। তাহলে বইটির মূল্য চারশ’ বিশ টাকা দেয়ার কোনো মানে হয় না! এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের ধোঁকা দেওয়ার সুযোগ পায় দোকানদার। যদি চারশত বিশ টাকা মূল্যের বই দুশ’ ত্রিশ টাকায় বিক্রি হয় তাহলে চারশ’ বিশ টাকা লেখা মানে দোকানদারদের সুযোগ করে দেয়া ছাড়া কিছুই নয়!

কারণ এক্ষেত্রে গ্রামের সহজ সরল মানুষের থেকে দৃশ্যমান মূল্য দেখিয়ে সেই মূল্য থেকে কিছু টাকা কমে বা সেই মূল্যে বই বিক্রি করে দিতে পারেন। এভাবে সাধারণ মানুষ ধোঁকা খায়। এর অনেক নজির রয়েছে। লেখক মনে করতে পারেন যে, তার বইয়ের মূল্য বেশি লিখলে হয়তো মানুষের কাছে মানসম্মত বই বলে বিবেচিত হবে বা তার বইয়ের মানদন্ড বৃদ্ধি পাবে। ভালো লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ হবে কিন্তু ভাল লেখক বা বইয়ের মূল্য নির্ভর করে লেখনির মাধ্যমে, বিশ্লেষণ বা পাঠকের ভালো লাগার মাধ্যমে; উল্লেখ্য মূল্যের ওপর নয়!

সব কিছুর একটি বিধিমালা বা আইনি প্রক্রিয়া থাকা প্রয়োজন। যেমন- কপিরাইট আইন জোরদার করা, বইয়ের সঠিক মূল্য লেখা ও অসামাজিক বই নিষিদ্ধ করা। এগুলো বাস্তবায়ন করলে লেখা মানসম্মত হবে এবং পাঠকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে! সেই সঙ্গে নতুন কবি সাহিত্যিকও তৈরি হতে সহায়তা করবে এবং উৎসাহিত হবে। তাই লেখক ও প্রকাশকদের আহ্বান করছি এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে বই প্রকাশ করার জন্য!

মো. সোহেল রানা

back to top