alt

পাঠকের চিঠি

নদী থাকুক নদীর মতো

: মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০

নদীর সঙ্গে এ দেশের মানুষের রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক। একটা সময় নদী দিয়ে সব ধরনের পণ্য আনা-নেয়া করা হতো, এখনও হয়। তবে এখন নানা ধরনের পথ সৃষ্টি হয়েছে। তবুও নদীর কদর এখনও যথেষ্ট আছে। নদীপাড়েই আমাদের দেশের শহর গড়ে উঠেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেটসহ অনেক শহর নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।

কিন্তু দেশে যত নগরায়ন হচ্ছে তত দূষিত হচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে অনেক নদী হারিয়ে গেছে। নগরায়নের ফলে প্রতিনিয়ত নানা শিল্প-প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে আর তাদের বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলছে। এ কারণে নদী হারাতে বসেছে তাদের নাব্যতা, জেগে উঠেছে চড়।

নদীকে সবাই বর্জ্যরে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছে। বাস্তবে দেখা যায় যে, একটা শহরের যত বর্জ্য আছে তা অন্য কোনো দিকে না ফেলে নদীর পাড়ে জমা করে। এছাড়া শহরের সব জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে যত্রতত্র নানা রকম প্লাস্টিকের প্যাকেট ফেলে দেয়ায় বাতাসের সঙ্গে সেটাও নদীতে চলে আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- সিলেট শহরের কীন ব্রিজ, কাজীরবাজার ব্রিজ, নতুন ব্রিজ ও চাঁদনীঘাট পয়েন্টের খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পার হলে দেখা যায় শহরের বর্জ্য নদীতে বিপজ্জনকভাবে পড়ছে। নদীর এমন দূষণে বর্ষা মৌসুমে তেমনটা বোঝা যায় না ঠিকই, কিন্তু শুকনো মৌসুমে জল কালো ও দুর্গন্ধ হয়। বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে জলে-স্থলে ৬৫ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। প্রতিদিন আরও ৩ হাজার টন জমা হচ্ছে। আবার দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। করোনাকালীন ব্যবহৃত ৯২ শতাংশ মাস্ক ও গ্লাভস খাল, বিল, নালা হয়ে নদীতে আসছে। যেখানে বলা হয়েছিল ব্যবহৃত মাস্ক ও গ্লাভস পুড়িয়ে ফেলতে। নদীতে চরম মাত্রায় দূষণ হওয়ার কারণে নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। এমনকি নদী ঘিরে যে ইকোসিস্টেম আছে সেটাতেও ব্যাঘাত ঘটছে।

শহরে গেলে দেখা যায় যে, সব জায়গায় ঠিকঠাকভাবে ডাস্টবিন নেই। তাই যদি দেশের সর্বত্র ডাস্টবিন বসানো হয় তাহলে সেই বর্জ্যরে পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। যত্রতত্র কেউ যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সেদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারি দরকার। ক্রমেই দেশ থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হ্রাস করে পাটজাত বা বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে, প্রশিক্ষিত লোকজন নিয়োগ করলে নদী যেমন বাঁচবে আর কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের। এছাড়া সরকার যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেবেন তাদের যদি অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয় তাহলে ভারি বর্জ্য নদীতে আসবে না। অন্যদিকে ড্রেজিং প্রকল্পটা সারা দেশের নদীতে পর্যায়ক্রমে চালিয়ে যেতে হবে কারণ প্রতিবছর নদীতে অনেক পলি জমে। তাছাড়া পরিবেশবাদী সংগঠনের আরও সতর্ক অবস্থান চাই। আমরা আশাবাদী যে শীঘ্রই আমরা আমাদের নদীগুলোকে আগের অবস্থায় দেখতে পাব।

রিপন চন্দ্র পাল

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

tab

পাঠকের চিঠি

নদী থাকুক নদীর মতো

মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২০

নদীর সঙ্গে এ দেশের মানুষের রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক। একটা সময় নদী দিয়ে সব ধরনের পণ্য আনা-নেয়া করা হতো, এখনও হয়। তবে এখন নানা ধরনের পথ সৃষ্টি হয়েছে। তবুও নদীর কদর এখনও যথেষ্ট আছে। নদীপাড়েই আমাদের দেশের শহর গড়ে উঠেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেটসহ অনেক শহর নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।

কিন্তু দেশে যত নগরায়ন হচ্ছে তত দূষিত হচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে অনেক নদী হারিয়ে গেছে। নগরায়নের ফলে প্রতিনিয়ত নানা শিল্প-প্রতিষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে আর তাদের বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলছে। এ কারণে নদী হারাতে বসেছে তাদের নাব্যতা, জেগে উঠেছে চড়।

নদীকে সবাই বর্জ্যরে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছে। বাস্তবে দেখা যায় যে, একটা শহরের যত বর্জ্য আছে তা অন্য কোনো দিকে না ফেলে নদীর পাড়ে জমা করে। এছাড়া শহরের সব জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে যত্রতত্র নানা রকম প্লাস্টিকের প্যাকেট ফেলে দেয়ায় বাতাসের সঙ্গে সেটাও নদীতে চলে আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- সিলেট শহরের কীন ব্রিজ, কাজীরবাজার ব্রিজ, নতুন ব্রিজ ও চাঁদনীঘাট পয়েন্টের খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পার হলে দেখা যায় শহরের বর্জ্য নদীতে বিপজ্জনকভাবে পড়ছে। নদীর এমন দূষণে বর্ষা মৌসুমে তেমনটা বোঝা যায় না ঠিকই, কিন্তু শুকনো মৌসুমে জল কালো ও দুর্গন্ধ হয়। বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশে জলে-স্থলে ৬৫ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়েছে। প্রতিদিন আরও ৩ হাজার টন জমা হচ্ছে। আবার দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করে। করোনাকালীন ব্যবহৃত ৯২ শতাংশ মাস্ক ও গ্লাভস খাল, বিল, নালা হয়ে নদীতে আসছে। যেখানে বলা হয়েছিল ব্যবহৃত মাস্ক ও গ্লাভস পুড়িয়ে ফেলতে। নদীতে চরম মাত্রায় দূষণ হওয়ার কারণে নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। এমনকি নদী ঘিরে যে ইকোসিস্টেম আছে সেটাতেও ব্যাঘাত ঘটছে।

শহরে গেলে দেখা যায় যে, সব জায়গায় ঠিকঠাকভাবে ডাস্টবিন নেই। তাই যদি দেশের সর্বত্র ডাস্টবিন বসানো হয় তাহলে সেই বর্জ্যরে পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে। যত্রতত্র কেউ যাতে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে সেদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারি দরকার। ক্রমেই দেশ থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার হ্রাস করে পাটজাত বা বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে, প্রশিক্ষিত লোকজন নিয়োগ করলে নদী যেমন বাঁচবে আর কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের। এছাড়া সরকার যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেবেন তাদের যদি অ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয় তাহলে ভারি বর্জ্য নদীতে আসবে না। অন্যদিকে ড্রেজিং প্রকল্পটা সারা দেশের নদীতে পর্যায়ক্রমে চালিয়ে যেতে হবে কারণ প্রতিবছর নদীতে অনেক পলি জমে। তাছাড়া পরিবেশবাদী সংগঠনের আরও সতর্ক অবস্থান চাই। আমরা আশাবাদী যে শীঘ্রই আমরা আমাদের নদীগুলোকে আগের অবস্থায় দেখতে পাব।

রিপন চন্দ্র পাল

back to top