শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড, আক্রান্ত সন্তানের পাশে উদ্বিগ্ন মা -সংবাদ
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৮৪৬ জন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪ জন, ৩ জন ঢাকার বাইরের। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩ হাজার ২৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিন ডেঙ্গুতে সবচেয়ে কম ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝের ১৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জনের উপরে থেকেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ২৭ জনের মধ্যে ঢাকায় ৮৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জনে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং অন্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ৭৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৮১৯ জন।
একদিকে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে অন্যদিকে এই রোগীদের জন্য চলছে শিরায় দেয়া স্যালাইনের সংকট। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু করেছে সরকার।
স্যালাইন সংকট ঢাকায় তো আছেই ঢাকার বাইরে আরও প্রকট বলে জানা যায়। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন হয় না। শিরায় দেয়া স্যালাইন উৎপাদন করে ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে স্যালাইন কেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ইডিসিএল সেসব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ছয় কোম্পানি মাসে সাড়ে ৪৬ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করে। এর মধ্যে আছে সাধারণ স্যালাইন, গ্লুকোজ মিশ্রিত সাধারণ স্যালাইন ও কলেরার স্যালাইন।
ইডিসিএলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আগস্টে আমরা সাড়ে আট লাখ ব্যাগ স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করেছি। সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে সরবরাহ করেছি সাড়ে তিন লাখ ব্যাগ।’
বাজারে কেন স্যালাইন সংকট নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীর কারণে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনে আছে। তারপরও চাহিদার পুরোটা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আমদানি করা স্যালাইন দেশে পৌঁছালে সমস্যা আর থাকবে না।
শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড, আক্রান্ত সন্তানের পাশে উদ্বিগ্ন মা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৮৪৬ জন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪ জন, ৩ জন ঢাকার বাইরের। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩ হাজার ২৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিন ডেঙ্গুতে সবচেয়ে কম ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝের ১৭ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জনের উপরে থেকেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সর্বশেষ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ২৭ জনের মধ্যে ঢাকায় ৮৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জনে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৪ জন এবং অন্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ৭৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৮১৯ জন।
একদিকে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে অন্যদিকে এই রোগীদের জন্য চলছে শিরায় দেয়া স্যালাইনের সংকট। একাধিক সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চাহিদামতো স্যালাইন দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্যালাইন আমদানি শুরু করেছে সরকার।
স্যালাইন সংকট ঢাকায় তো আছেই ঢাকার বাইরে আরও প্রকট বলে জানা যায়। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়ে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন হয় না। শিরায় দেয়া স্যালাইন উৎপাদন করে ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে স্যালাইন কেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ইডিসিএল সেসব স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ছয় কোম্পানি মাসে সাড়ে ৪৬ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করে। এর মধ্যে আছে সাধারণ স্যালাইন, গ্লুকোজ মিশ্রিত সাধারণ স্যালাইন ও কলেরার স্যালাইন।
ইডিসিএলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আগস্টে আমরা সাড়ে আট লাখ ব্যাগ স্যালাইন সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করেছি। সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে সরবরাহ করেছি সাড়ে তিন লাখ ব্যাগ।’
বাজারে কেন স্যালাইন সংকট নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীর কারণে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনে আছে। তারপরও চাহিদার পুরোটা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। আমদানি করা স্যালাইন দেশে পৌঁছালে সমস্যা আর থাকবে না।