কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া বটতলা এলাকায় মাদক বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারা দ্বন্ধে ছেলে রাসেলের হাতে বাবা আব্দুল আওয়াল (৪৮) খুন হয়েছেন। আর এ হত্যাকান্ডে আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী রেহানা ও মেয়ের জামাই তামিম সহযোগিতা করেছে। নিহতের ছেলে ঘাতক মো. রাসেলকে পিবিআই গ্রেফতারের পর সে আদালতে পিতা আব্দুল আওয়ালকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দী দিয়েছেন। গত বুধবার বিকেলে আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর রাসেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাসেল জানিয়েছে, চার কেজি গাঁজা বিক্রির টাকা নিয়ে তার পিতা আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে তার মা রেহানা বেগম ও ভগ্নিপতি তামিমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে রাসেল মাকে নিয়ে পিতার কাছ থেকে দূরে আলাদা বাসায় থাকেন। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রাসেল, তার মা রেহানা ও ভগ্নিপতি তামিম মিলে আব্দুল আওয়ালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক রাত আড়াইটার দিকে আব্দুল আওয়ালের দোকানের সাটারে জোরে শাবল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন তারা। আব্দুল আওয়াল দোকান থেকে বের হলে মেয়ের জামাই তামিম আব্দুল আওয়ালের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন। এতে আব্দুল আওয়াল চোখে কিছু দেখতে না পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এ অবস্থায় আব্দুল আওয়ালকে তিনজনই শাবল ও লোহার রড দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এরপর এলাকা থেকে তারা সরে পড়েন।
স্থানীয়রা আব্দুল আওয়ালকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও না রেখে রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিন বিকেলে আব্দুল আওয়াল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাখরুল হক খান মামলাটির তদন্তভার নেয়ার পর আব্দুল আওয়ালের ছেলে রাসেলকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শিবু মার্কেট বটতলা রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেফতারের পর রাসেল পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকান্ডের কারণ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া বটতলা এলাকায় মাদক বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারা দ্বন্ধে ছেলে রাসেলের হাতে বাবা আব্দুল আওয়াল (৪৮) খুন হয়েছেন। আর এ হত্যাকান্ডে আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী রেহানা ও মেয়ের জামাই তামিম সহযোগিতা করেছে। নিহতের ছেলে ঘাতক মো. রাসেলকে পিবিআই গ্রেফতারের পর সে আদালতে পিতা আব্দুল আওয়ালকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দী দিয়েছেন। গত বুধবার বিকেলে আদালতে জবানবন্দী দেয়ার পর রাসেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাসেল জানিয়েছে, চার কেজি গাঁজা বিক্রির টাকা নিয়ে তার পিতা আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে তার মা রেহানা বেগম ও ভগ্নিপতি তামিমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে রাসেল মাকে নিয়ে পিতার কাছ থেকে দূরে আলাদা বাসায় থাকেন। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রাসেল, তার মা রেহানা ও ভগ্নিপতি তামিম মিলে আব্দুল আওয়ালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক রাত আড়াইটার দিকে আব্দুল আওয়ালের দোকানের সাটারে জোরে শাবল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন তারা। আব্দুল আওয়াল দোকান থেকে বের হলে মেয়ের জামাই তামিম আব্দুল আওয়ালের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন। এতে আব্দুল আওয়াল চোখে কিছু দেখতে না পেয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এ অবস্থায় আব্দুল আওয়ালকে তিনজনই শাবল ও লোহার রড দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। এরপর এলাকা থেকে তারা সরে পড়েন।
স্থানীয়রা আব্দুল আওয়ালকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও না রেখে রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিন বিকেলে আব্দুল আওয়াল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাখরুল হক খান মামলাটির তদন্তভার নেয়ার পর আব্দুল আওয়ালের ছেলে রাসেলকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শিবু মার্কেট বটতলা রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেফতারের পর রাসেল পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকান্ডের কারণ জানিয়েছেন।