জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলায় চিকাজানি ইউনিয়নের দক্ষিণ টাকিমারি গ্রামের বাসিন্দারা লেয়ার মুরগী খামারের দুর্গন্ধে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো গ্রামবাসী ।
দক্ষিণ টাকিমারি গ্রামটির মাঝখান দিয়ে ছোট পাকা সড়ক। দু’পাশ দিয়ে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘনবসতিপূর্ণ বসবাস। গ্রামের ঠিক মাঝখানে রাস্তার ধারে একটি লেয়ার মুরগীর খামার। যা পরিবেশ গত মাননিয়ন্ত্রনে পুরোটাই পিছিয়ে। ফলে পুরো গ্রাম জুড়ে খামারের দূর্গন্ধ । এতে বিশুদ্ধ বায়ু থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী। প্রতিদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু, কিশোর, যুবক সহ বয়স্করা।
জানা যায়, এই গ্রামের বাসিন্দা মনিকা (৩০) দুর্গন্ধে বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বামী কালাম তাকে স্থানীয় চিকিৎসার পাশাপাশি জামালপুর জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এখনও মনিকা পুরোপুরি সুস্থ নয় । এ সময় শরিফা, জয়লা, সাকিতন, হুনুফা এবং মানিক হার, জিলানী, হানিফ, সোনা মিয়া, হযরত সহ গ্রামের অন্যান্যরা বলেন- দুর্গন্ধে আমরা ঘরে থাকতে পারি না। বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খাওয়া দাওয়া করতে গেলে বমি বমি ভাব উপভোগ হয়। ঘরে ঘরে পেটের অসুখ। এই দুর্গন্ধ পরিবেশের কারনে আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত দেয়া হয়না। এমনকি ছেলে মেয়ের বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহেল, কুরবান, শিমুল, শ্যামলী, সুমি, আল্পনা জানায়, আমরা সকাল সন্ধ্যা বাড়িতে পড়াশুনা করতে পারি না। স্কুলে যা পড়ি তাই। এলাকার বাইরে গেলে বাড়ি আসতে মন চায় না। আমরা এ দুর্গন্ধ হতে পরিত্রাণ চাই ।
পুরো এলাকাবাসী দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই গ্রামের কে.এম. আবু তালেব (রনি) লেয়ার মুরগীর খামার স্থাপন করেছে। প্রায় ৭ বছর আগে। বর্তমানে খামারটিতে এক হাজারের অধিক মুরগী রয়েছে। মুরগীর বিষ্ঠা, জবাইকৃত মুরগীর রক্ত, রোগাক্রান্ত মৃত মুরগী যেখানে সেখানে ফেলে রাখার কারনে দুর্গন্ধ পুরো এলাকায় ছেয়ে গেছে। এতে গ্রামবাসীর গ্রাম ছাড়ার উপক্রম হয়ে পরেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের ভার দেয় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানকে । তিনি তদন্ত শেষে দৈনিক সংবাদ’কে বলেন, খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ মানা হয়নি। খামারটি আবাসিক এলাকায় নির্মান করা হয়েছে এবং বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই । এক মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে । সেই সঙ্গে খামারটির স্থান পরিবর্তনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে বলে জানান। আরো বলেন আগামী এক মাসের মধ্যে খামারের পরিবেশ মানসম্মত না হলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য খামার মালিক রনি বলেন, নিয়মিত পরিস্কার রাখার চেষ্টা করছি। যাতে দুর্গন্ধ কম ছড়ায়।
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
জামালপুরের দেয়ানগঞ্জ উপজেলায় চিকাজানি ইউনিয়নের দক্ষিণ টাকিমারি গ্রামের বাসিন্দারা লেয়ার মুরগী খামারের দুর্গন্ধে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো গ্রামবাসী ।
দক্ষিণ টাকিমারি গ্রামটির মাঝখান দিয়ে ছোট পাকা সড়ক। দু’পাশ দিয়ে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘনবসতিপূর্ণ বসবাস। গ্রামের ঠিক মাঝখানে রাস্তার ধারে একটি লেয়ার মুরগীর খামার। যা পরিবেশ গত মাননিয়ন্ত্রনে পুরোটাই পিছিয়ে। ফলে পুরো গ্রাম জুড়ে খামারের দূর্গন্ধ । এতে বিশুদ্ধ বায়ু থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী। প্রতিদিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু, কিশোর, যুবক সহ বয়স্করা।
জানা যায়, এই গ্রামের বাসিন্দা মনিকা (৩০) দুর্গন্ধে বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বামী কালাম তাকে স্থানীয় চিকিৎসার পাশাপাশি জামালপুর জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এখনও মনিকা পুরোপুরি সুস্থ নয় । এ সময় শরিফা, জয়লা, সাকিতন, হুনুফা এবং মানিক হার, জিলানী, হানিফ, সোনা মিয়া, হযরত সহ গ্রামের অন্যান্যরা বলেন- দুর্গন্ধে আমরা ঘরে থাকতে পারি না। বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খাওয়া দাওয়া করতে গেলে বমি বমি ভাব উপভোগ হয়। ঘরে ঘরে পেটের অসুখ। এই দুর্গন্ধ পরিবেশের কারনে আত্মীয় স্বজনকে দাওয়াত দেয়া হয়না। এমনকি ছেলে মেয়ের বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহেল, কুরবান, শিমুল, শ্যামলী, সুমি, আল্পনা জানায়, আমরা সকাল সন্ধ্যা বাড়িতে পড়াশুনা করতে পারি না। স্কুলে যা পড়ি তাই। এলাকার বাইরে গেলে বাড়ি আসতে মন চায় না। আমরা এ দুর্গন্ধ হতে পরিত্রাণ চাই ।
পুরো এলাকাবাসী দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই গ্রামের কে.এম. আবু তালেব (রনি) লেয়ার মুরগীর খামার স্থাপন করেছে। প্রায় ৭ বছর আগে। বর্তমানে খামারটিতে এক হাজারের অধিক মুরগী রয়েছে। মুরগীর বিষ্ঠা, জবাইকৃত মুরগীর রক্ত, রোগাক্রান্ত মৃত মুরগী যেখানে সেখানে ফেলে রাখার কারনে দুর্গন্ধ পুরো এলাকায় ছেয়ে গেছে। এতে গ্রামবাসীর গ্রাম ছাড়ার উপক্রম হয়ে পরেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের ভার দেয় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমানকে । তিনি তদন্ত শেষে দৈনিক সংবাদ’কে বলেন, খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ মানা হয়নি। খামারটি আবাসিক এলাকায় নির্মান করা হয়েছে এবং বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই । এক মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে । সেই সঙ্গে খামারটির স্থান পরিবর্তনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে বলে জানান। আরো বলেন আগামী এক মাসের মধ্যে খামারের পরিবেশ মানসম্মত না হলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য খামার মালিক রনি বলেন, নিয়মিত পরিস্কার রাখার চেষ্টা করছি। যাতে দুর্গন্ধ কম ছড়ায়।