হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের সন্দলপুর গ্রামে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। প্রতি রাতে কোথাও না কোথাও ঘটছে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা।
গ্রামবাসীরা জানান, গত ১ মাসে অন্তত ৩৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে ওই গ্রামে। প্রতিনিয়ত চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রাম তথা এলাকাবাসীর মধ্যে। চোরেরা বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে অতি সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা, টিভি, দামি মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়ি থেকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সোলার ব্যাটারি ও ফিশারি থেকে থেকে মাছ চুরি করছে। বাদ পড়ছে না অসহায় প্রতিবন্ধীদের বাড়িও।
কিন্তু এতসব ঘটনার পরেও বেশিসংখ্যক ভুক্তভোগী হয়রানি ও প্রাণের ভয়ে থানায় জিডি বা কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। এতে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরির ঘটনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক ও বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আবদুল্লা মিয়া বলেন, তাদের গ্রামে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
থানা বা আদালতে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ তেমন অভিযোগ করছেন না। ফলে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা।
ওই গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক এবাদুর রহমান বলেন, তার বাড়িতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর
গভীর রাতে ঘরের পেছনের দরজার টিন কেটে অজ্ঞাত চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে তার ৪ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসার জন্য রাখা ৩৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ দামি মালামাল নিয়ে যায়। একই রাতে তার পাশ্ববর্তী আরেক প্রতিবন্ধী সিরাজুল ইসলামের ঘরেও চুরি হয়।
আরেক প্রতিবন্ধী রাফিয়া বেগম বলেন কিছুদিন পূর্বে তার বাড়িতেও হানা দিয়ে চোরের দল সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারি, মোবাইল নিয়ে যায়। অন্যদিকে কৃষক কাজল মিয়া বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে ধান বিক্রির ৮০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, একদল চোরের হুমকিতে তিনি নির্বাহী হাকিম-আদালত হবিগঞ্জে মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের সন্দলপুর গ্রামে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। প্রতি রাতে কোথাও না কোথাও ঘটছে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা।
গ্রামবাসীরা জানান, গত ১ মাসে অন্তত ৩৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে ওই গ্রামে। প্রতিনিয়ত চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রাম তথা এলাকাবাসীর মধ্যে। চোরেরা বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে অতি সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা, টিভি, দামি মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়ি থেকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সোলার ব্যাটারি ও ফিশারি থেকে থেকে মাছ চুরি করছে। বাদ পড়ছে না অসহায় প্রতিবন্ধীদের বাড়িও।
কিন্তু এতসব ঘটনার পরেও বেশিসংখ্যক ভুক্তভোগী হয়রানি ও প্রাণের ভয়ে থানায় জিডি বা কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। এতে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরির ঘটনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক ও বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. আবদুল্লা মিয়া বলেন, তাদের গ্রামে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
থানা বা আদালতে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ তেমন অভিযোগ করছেন না। ফলে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা।
ওই গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক এবাদুর রহমান বলেন, তার বাড়িতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর
গভীর রাতে ঘরের পেছনের দরজার টিন কেটে অজ্ঞাত চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে তার ৪ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী অসুস্থ শিশুটির চিকিৎসার জন্য রাখা ৩৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ দামি মালামাল নিয়ে যায়। একই রাতে তার পাশ্ববর্তী আরেক প্রতিবন্ধী সিরাজুল ইসলামের ঘরেও চুরি হয়।
আরেক প্রতিবন্ধী রাফিয়া বেগম বলেন কিছুদিন পূর্বে তার বাড়িতেও হানা দিয়ে চোরের দল সৌরবিদ্যুতের ব্যাটারি, মোবাইল নিয়ে যায়। অন্যদিকে কৃষক কাজল মিয়া বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে ধান বিক্রির ৮০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, একদল চোরের হুমকিতে তিনি নির্বাহী হাকিম-আদালত হবিগঞ্জে মামলা দায়ের করেছেন।