লঘুচাপের কারণে দেশের আট বিভাগেই আগামী সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায় সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বৃষ্টির প্রভাব কমেছে। আজ থেকে পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে শুরু করলেও উত্তরের তিন বিভাগে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ আট বিভাগেই কম বেশী বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা উত্তরের অঞ্চলগুলোতে বেশি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।দেশের কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও সেই বৃষ্টির পানি আজ পর্যন্ত রয়ে যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে মানুষ। আজ সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা। রাজধানীর কোথাও কোথাও হালকা ঝিরিঝিরি বা একপশলা ভারী বৃষ্টিও হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাংশে সক্রিয় ও অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় (৭৬ থেকে শতভাগ অঞ্চল) এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় (৫১ থেকে ৭৫ শতাংশ অঞ্চল) অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

অর্থাৎ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি ক্রমেই কমে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে-রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।