alt

সারাদেশ

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহারে মাছশূন্য জলাশয়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : এভাবেই মাছ ধরার জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে চায়না অবৈধ দুয়ারি জাল -সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে চায়নাদুয়ারী শয়তান জালের ব্যবহারে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে করতোয়া নদীসহ উন্মুক্ত জলাশয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় হাটবাজারে প্রকাশ্যে যেমন এই জাল বিক্রি হচ্ছে তেমনি নদী ও জলাশয়গুলিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই জালের ব্যবহার। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও জেলেদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে পরিকল্পিত উদ্যোগ না থকায় থামছে না এই ভয়ংকর জাল দিয়ে মাছ শিকার।

উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া দিয়ে করতোয়া নদী প্রবেশ করে শালমারা ইউনিয়নের শিব বিশুরপাড়া পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২/৩ হাজার চায়না দুয়ারী জাল বা শয়তান জাল পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চায়না দুয়ারী মাছ শিকারে একটি ভয়ঙ্কর ধরনের জাল। এই জালে পরলে শুধু মাছ নয় যেকোন ধরনের জলজ প্রাণীও শিকার হয়ে যায়। এই জাল ব্যবহার অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে করতোয়া নদী এবং উন্মুক্ত জলাশয় মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী মারা পরে যাবে। সংকটে পড়বে জীববৈচিত্র্য। স্থানীয়রা জানান নদীর পাশাপাশি ছোট বড় উন্মুক্ত জলাশয়গুলিতেও মাঝে মধ্যে এই জাল ব্যবহার করা হয়। নদীপার্শ্ববর্তী দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আজাদুুল ইসলাম বলেন চক রহিমাপুর থেকে পলুপাড়া পর্যন্ত করতোয়া নদীর প্রায় ৬/৭শ’ টি চায়নাদুয়ারী জাল বা শয়তান জাল ব্যবহার হচ্ছে। সারাদিন ও রাতে জালগুলি নদীর তলদেশে পেতে রাখা হয়। একবার এই জালের পথ গলিয়ে মাছ ভিতরে প্রবেশ করলে বের হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকে না সেজন্য প্রতিদিন এই জালে ছোটবড় নানা ধরনের মাছ ধরা পরছে। চক রহিমাপুর গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, আগে এ সময় নদী ও জলাশয়ে নানা ধরনের দেশী মাছ পাওয়া যেত। এলাকার ছোট বড় বাজারেগুলিতে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ। এখন গ্রামের বাজারে চালানি অথবা পাশর্^বর্তী জেলার মাছ ছাড়া ছোট দেশী মাছ পাওয়া যায়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চায়নাদুয়ারী জালের একজন মালিক বলেন, পেটের দায়ে এই জাল ব্যবহার করছি। আসলে এই জাল মা.রাত্মক ধরনের ক্ষতিকর। এতে শুধু মাছ নয় অনেক সময় সাপ-ব্যাঙ ধরা পরে। এজন্য এই জালের ফাঁদ অত্যন্ত ভয়ংঙ্কর।

গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমরান হোসেন চৌধুরী বলেন চায়নাদুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। তার পরেও যারা এই জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছে তাদের বিরূদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জে চায়নাদুয়ারী শয়তান জালের ব্যবহারে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে করতোয়া নদীসহ উন্মুক্ত জলাশয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় হাটবাজারে প্রকাশ্যে যেমন এই জাল বিক্রি হচ্ছে তেমনি নদী ও জলাশয়গুলিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই জালের ব্যবহার। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও জেলেদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে পরিকল্পিত উদ্যোগ না থকায় থামছে না এই ভয়ংকর জাল দিয়ে মাছ শিকার।

উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া দিয়ে করতোয়া নদী প্রবেশ করে শালমারা ইউনিয়নের শিব বিশুরপাড়া পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২/৩ হাজার চায়না দুয়ারী জাল বা শয়তান জাল পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চায়না দুয়ারী মাছ শিকারে একটি ভয়ঙ্কর ধরনের জাল। এই জালে পরলে শুধু মাছ নয় যেকোন ধরনের জলজ প্রাণীও শিকার হয়ে যায়। এই জাল ব্যবহার অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে করতোয়া নদী এবং উন্মুক্ত জলাশয় মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী মারা পরে যাবে। সংকটে পড়বে জীববৈচিত্র। স্থানীয়রা জানান নদীর পাশাপাশি ছোট বড় উন্মুক্ত জলাশয়গুলিতেও মাঝে মধ্যে এই জাল ব্যবহার করা হয়। নদীপার্শ্ববর্তী দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আজাদুল ইসলাম বলেন চক রহিমাপুর থেকে পলুপাড়া পর্যন্ত করতোয়া নদীর প্রায় ৬/৭শ’টি চায়নাদুয়ারী জাল বা শয়তান জাল ব্যবহার হচ্ছে। সারাদিন ও রাতে জালগুলি নদীর তলদেশে পেতে রাখা হয়। একবার এই জালের পথ গলিয়ে মাছ ভিতরে প্রবেশ করলে বের হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকে না সেজন্য প্রতিদিন এই জালে ছোটবড় নানা ধরনের মাছ ধরা পরছে। চক রহিমাপুর গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, আগে এ সময় নদী ও জলাশয়ে নানা ধরনের দেশী মাছ পাওয়া যেত। এলাকার ছোট বড় বাজারেগুলিতে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ। এখন গ্রামের বাজারে চালানি অথবা পার্শ্ববর্তী জেলার মাছ ছাড়া ছোট দেশী মাছ পাওয়া যায়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চায়নাদুয়ারী জালের একজন মালিক বলেন, পেটের দায়ে এই জাল ব্যবহার করছি। আসলে এই জাল মারাত্বক ধরনের ক্ষতিকর।

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসী

শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেপ্তার

মহালছড়িতে নারী সমাবেশ

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

tab

সারাদেশ

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহারে মাছশূন্য জলাশয়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : এভাবেই মাছ ধরার জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে চায়না অবৈধ দুয়ারি জাল -সংবাদ

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গোবিন্দগঞ্জে চায়নাদুয়ারী শয়তান জালের ব্যবহারে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে করতোয়া নদীসহ উন্মুক্ত জলাশয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় হাটবাজারে প্রকাশ্যে যেমন এই জাল বিক্রি হচ্ছে তেমনি নদী ও জলাশয়গুলিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই জালের ব্যবহার। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও জেলেদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে পরিকল্পিত উদ্যোগ না থকায় থামছে না এই ভয়ংকর জাল দিয়ে মাছ শিকার।

উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া দিয়ে করতোয়া নদী প্রবেশ করে শালমারা ইউনিয়নের শিব বিশুরপাড়া পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২/৩ হাজার চায়না দুয়ারী জাল বা শয়তান জাল পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চায়না দুয়ারী মাছ শিকারে একটি ভয়ঙ্কর ধরনের জাল। এই জালে পরলে শুধু মাছ নয় যেকোন ধরনের জলজ প্রাণীও শিকার হয়ে যায়। এই জাল ব্যবহার অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে করতোয়া নদী এবং উন্মুক্ত জলাশয় মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী মারা পরে যাবে। সংকটে পড়বে জীববৈচিত্র্য। স্থানীয়রা জানান নদীর পাশাপাশি ছোট বড় উন্মুক্ত জলাশয়গুলিতেও মাঝে মধ্যে এই জাল ব্যবহার করা হয়। নদীপার্শ্ববর্তী দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আজাদুুল ইসলাম বলেন চক রহিমাপুর থেকে পলুপাড়া পর্যন্ত করতোয়া নদীর প্রায় ৬/৭শ’ টি চায়নাদুয়ারী জাল বা শয়তান জাল ব্যবহার হচ্ছে। সারাদিন ও রাতে জালগুলি নদীর তলদেশে পেতে রাখা হয়। একবার এই জালের পথ গলিয়ে মাছ ভিতরে প্রবেশ করলে বের হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকে না সেজন্য প্রতিদিন এই জালে ছোটবড় নানা ধরনের মাছ ধরা পরছে। চক রহিমাপুর গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, আগে এ সময় নদী ও জলাশয়ে নানা ধরনের দেশী মাছ পাওয়া যেত। এলাকার ছোট বড় বাজারেগুলিতে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ। এখন গ্রামের বাজারে চালানি অথবা পাশর্^বর্তী জেলার মাছ ছাড়া ছোট দেশী মাছ পাওয়া যায়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চায়নাদুয়ারী জালের একজন মালিক বলেন, পেটের দায়ে এই জাল ব্যবহার করছি। আসলে এই জাল মা.রাত্মক ধরনের ক্ষতিকর। এতে শুধু মাছ নয় অনেক সময় সাপ-ব্যাঙ ধরা পরে। এজন্য এই জালের ফাঁদ অত্যন্ত ভয়ংঙ্কর।

গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমরান হোসেন চৌধুরী বলেন চায়নাদুয়ারী জাল দিয়ে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। তার পরেও যারা এই জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার অব্যাহত রেখেছে তাদের বিরূদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জে চায়নাদুয়ারী শয়তান জালের ব্যবহারে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে করতোয়া নদীসহ উন্মুক্ত জলাশয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় হাটবাজারে প্রকাশ্যে যেমন এই জাল বিক্রি হচ্ছে তেমনি নদী ও জলাশয়গুলিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই জালের ব্যবহার। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করলেও জেলেদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে পরিকল্পিত উদ্যোগ না থকায় থামছে না এই ভয়ংকর জাল দিয়ে মাছ শিকার।

উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া দিয়ে করতোয়া নদী প্রবেশ করে শালমারা ইউনিয়নের শিব বিশুরপাড়া পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২/৩ হাজার চায়না দুয়ারী জাল বা শয়তান জাল পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চায়না দুয়ারী মাছ শিকারে একটি ভয়ঙ্কর ধরনের জাল। এই জালে পরলে শুধু মাছ নয় যেকোন ধরনের জলজ প্রাণীও শিকার হয়ে যায়। এই জাল ব্যবহার অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে করতোয়া নদী এবং উন্মুক্ত জলাশয় মাছসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী মারা পরে যাবে। সংকটে পড়বে জীববৈচিত্র। স্থানীয়রা জানান নদীর পাশাপাশি ছোট বড় উন্মুক্ত জলাশয়গুলিতেও মাঝে মধ্যে এই জাল ব্যবহার করা হয়। নদীপার্শ্ববর্তী দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আজাদুল ইসলাম বলেন চক রহিমাপুর থেকে পলুপাড়া পর্যন্ত করতোয়া নদীর প্রায় ৬/৭শ’টি চায়নাদুয়ারী জাল বা শয়তান জাল ব্যবহার হচ্ছে। সারাদিন ও রাতে জালগুলি নদীর তলদেশে পেতে রাখা হয়। একবার এই জালের পথ গলিয়ে মাছ ভিতরে প্রবেশ করলে বের হওয়ার আর কোন সুযোগ থাকে না সেজন্য প্রতিদিন এই জালে ছোটবড় নানা ধরনের মাছ ধরা পরছে। চক রহিমাপুর গ্রামের বাদশা মিয়া বলেন, আগে এ সময় নদী ও জলাশয়ে নানা ধরনের দেশী মাছ পাওয়া যেত। এলাকার ছোট বড় বাজারেগুলিতে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ। এখন গ্রামের বাজারে চালানি অথবা পার্শ্ববর্তী জেলার মাছ ছাড়া ছোট দেশী মাছ পাওয়া যায়না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চায়নাদুয়ারী জালের একজন মালিক বলেন, পেটের দায়ে এই জাল ব্যবহার করছি। আসলে এই জাল মারাত্বক ধরনের ক্ষতিকর।

back to top