সাগরের নীল জলরাশি, লাল কাঁকড়া আর বালুচরের মায়া নিয়ে অপূর্ব সৌন্দর্যের ব্যতিক্রমী মিশ্রণ সেন্টমার্টিন। অবকাশকালীন ভ্রমণের জন্য দেশি পর্যটকদের শীর্ষ পছন্দের তালিকায় আরও রয়েছে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও কুয়াকাটা। এ কারণে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিনিয়োগও সেখানেই হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসব জায়গায় সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পরিবেশগত ক্ষতিও হয়েছে মারাত্মক আকারে। শুধু তা-ই নয়, গোটা দেশেই বনাঞ্চল, জলাভূমি, পার্বত্যাঞ্চল ও সাগরসৈকতকে ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন স্পটগুলো দূষণ ও প্রতিবেশগতভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
দেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্পটকগুলো ঘিরে বিভিন্ন সময়, বহু পরিকল্পনা নিলেও কোনটি বাস্তবায়িত হয়েছে, কোনটি থেকে গেছে ফাইলবন্দী। একই অবস্থা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্রের। অবকাঠামো দূর্বলতা, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে নজরদারির অভাব, অপরিকল্পিত অবকাঠামো ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন কর্মকা-কেই কারণেই ধুকছে খাতটি।
এই অবস্থায় আজ দেশে ‘পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ’ স্লোগানে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। সংশিষ্টরা বলছেন, দেশে পর্যটনে বিনিয়োগই নেই, সেখানে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগের বিষয়টি হাস্যকর। পর্যটন থেকে অর্থনৈতিক লভ্যাংশ পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন নিশ্চিত করা।
দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের ফলে সেখানকার বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। দ্বীপটির প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যরে দূষণ এসব এলাকায় এখন প্রকট হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন সময় দেশের পর্যটন স্পটগুলো নিয়ে কথা বললেও কতৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।
সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রন (সিপিই) এর পরিচালক মুহম্মদ আবদুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘কক্সবাজারের কথাই যদি আমরা ধরি এখানে পর্যটন নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন পরিকল্পনা নেই। অপরিকল্পিত উপায়ে হোটেল মোটেল গড়ে উঠেছে। কতটুকু ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সেই বিষয়ে আমাদের কোন গবেষণা নেই, নেই কোন পরিকল্পনা। একই চিত্র কুয়াকাটায়, সুন্দরবনে। প্রতি বছর কত পর্যটককে আমরা সুবিধা দিতে পারবো, কত পর্যটকের আগমন ঘটছে, এই পর্যটকের জন্য সুপেয় পানি, খাবার, বিদ্যুত, পয়নিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর সংস্থান করা, প্রাকৃতিক পরিবেশকে ক্ষতি না করে পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ণ ব্যতীত পর্যটন যেমন পরিবেশ বান্ধব হয়না তেমনি বিশ্ব মানেরও হয়না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও সুন্দরবনের বিনিয়োগ কী পরিবেশ বান্ধব হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোটোও না। কারণ এগুলোর কোনটিকেই পরিবেশকে সমুন্নত রেকে করা হয়নি। এখানে বিনিয়োগ হয়েছে লাভের আশায়।’
ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক সিইও জাবেদ আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ কেন বাংলাদেশে তো পর্যটনেই বিনিয়োগ নেই। পর্যটন খাতটি বড় অর্থনৈতিক খাত, এ খাতে বিনিয়োগ না বাড়ালে আমরা উন্নয়ন করতে পারবে না।’
‘কিন্তু দেশের যে বড় বড় ডেস্টিনেশনগুলোর (কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার) দিকে তাকান তাহলে দেখবেন সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে কোন ইনভেস্টমেন্টও নেই গ্রিন ইনভেস্টমেন্টের কোন কথাই নেই।’
‘দেশে পরিবেশকে সমুন্নত রেখে, পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রেখে যে বড় বড় রিসোর্টগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো দেখে আমার ভাল লাগে। বিশেষ করে অরুনিমা ইকো পার্ক, সাইরু হিল রিসোর্ট, ঢাকার কাছে সারা রিসোর্ট। তবে, আমাদের সুন্দরবনে, চা বাগানগুলোতে ও হেরিটেজগুলোতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নতুন করে হতে পারে। যার বেসরকারিভাবে দারুণ দারুণ রিসোর্ট করেছে বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব ইনভেষ্টমেন্ট হতে পারে।’ বলে মেন করেন তিনি।
পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কী:
ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘পর্যটনের জায়গাটা নানা রকম হতে পারে। এটা সি বিচ, হাওর বা রাতারগুল বা পাহাড় যেখানেই হোক পরিবেশ বান্ধব তখনই হবে পর্যটন যখন সেই শিল্পটা পরিবেশকে সমুন্নত রেখে করবে। অর্থাৎ যারা ওই পরিবেশের কোন ধরণের ক্ষতি করার চেষ্ঠা করবে না বরং পরিবেশটাকে কিভাবে প্রোমোট করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ সম্মতভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা আপনার বাড়ি-ঘর তৈরি করা থেকে শুরু করে সেখানকার যে এক্টিভিটিগুলো হবে সেখানে যেন প্লাক্টিকের ব্যবহার করা না হয়, সেখানে এমন কোন স্থাপনা তৈরি করা যাবেনা যেটা পরিবেশ নষ্ট করবে। পরিবেশ বান্ধব পর্যটন। এখন সেখানে যদি একটা ফাইভ স্টার হোটেল করেন সেটা তো পরিবেশ সম্মত হলো না। ববং কীভাবে পাহাড়টাকে প্রোটেক্ট করা যায় কর্মকান্ডে তখন সেটাকে পরিবেশ সম্মত বলা যায়।’
জীব বৈচিত্রকে সংরক্ষণ করা সেখানকার পানির ফ্লো-টা যেন ঠিকঠাক মতো থাকে এমনকি সেখানকার যে কমিউনিটি আছে সেই কমিউনিটির এক্টিভিটিজ যেন নষ্ট না হয় সেই কালচারটাকেও নষ্ট করা যাবেনা সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে- বলেন তিনি।
পরিবেশ নষ্ট না করে যারা বিনিয়োগ করবে এটাই পরিবেশ বান্ধ বিনিয়োগ।
দরকার সচেতনতা :
পর্যটনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে গেলে আমাদের পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে হবে। দেশে পর্যটকদের ধারণ করতে যে যে উপাদানগুলো দরকার, তার সবই আছে সেইসব উপাদান ধারণ করে পর্যটনকে প্রোমোট করতে হবে। দেশের পর্যটন প্রসারে প্রচারণার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে বলেছেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাট্রিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিআরআইএবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খবির উদ্দিন আহম্মেদ সংবাদকে বলেন, ‘১৪-১৫ বছর আগে ট্যুরিজমের ট ও ছিলনা, তবে এখন অবস্থা অনেক বদলে গেছে। এটার জন্য পাব্লিকলি এয়ারনেস দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে এই সেক্টরে আন্দোলনের ফলে আমরা হোটেল ও রিসোর্টকে আলাদাভাবে সঙ্গায়িত করতে পেরেছি। এই আলাদা হয়ে যাওয়ার ফলে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটা আইন আছে সেই আইনে কেউ যদি হোটেল বা রিসোর্ট করতে চায় তবে অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনুমতি নিতে হবে। সেখানে ওয়ান স্টার বা টু স্টার হোটেলের অনুমোন নিতে ডিসি আর থ্রি স্টার বা তার ওপরে নিতে গেলে মন্ত্রণালয় থেকে পারমিশন নিতে হবে।’
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সাগরের নীল জলরাশি, লাল কাঁকড়া আর বালুচরের মায়া নিয়ে অপূর্ব সৌন্দর্যের ব্যতিক্রমী মিশ্রণ সেন্টমার্টিন। অবকাশকালীন ভ্রমণের জন্য দেশি পর্যটকদের শীর্ষ পছন্দের তালিকায় আরও রয়েছে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও কুয়াকাটা। এ কারণে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিনিয়োগও সেখানেই হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসব জায়গায় সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পরিবেশগত ক্ষতিও হয়েছে মারাত্মক আকারে। শুধু তা-ই নয়, গোটা দেশেই বনাঞ্চল, জলাভূমি, পার্বত্যাঞ্চল ও সাগরসৈকতকে ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন স্পটগুলো দূষণ ও প্রতিবেশগতভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
দেশের পর্যটন খাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্পটকগুলো ঘিরে বিভিন্ন সময়, বহু পরিকল্পনা নিলেও কোনটি বাস্তবায়িত হয়েছে, কোনটি থেকে গেছে ফাইলবন্দী। একই অবস্থা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্রের। অবকাঠামো দূর্বলতা, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে নজরদারির অভাব, অপরিকল্পিত অবকাঠামো ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন কর্মকা-কেই কারণেই ধুকছে খাতটি।
এই অবস্থায় আজ দেশে ‘পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ’ স্লোগানে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। সংশিষ্টরা বলছেন, দেশে পর্যটনে বিনিয়োগই নেই, সেখানে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগের বিষয়টি হাস্যকর। পর্যটন থেকে অর্থনৈতিক লভ্যাংশ পেতে হলে সবার আগে প্রয়োজন পরিবেশ-বান্ধব পর্যটন নিশ্চিত করা।
দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের ফলে সেখানকার বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। দ্বীপটির প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যরে দূষণ এসব এলাকায় এখন প্রকট হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন সময় দেশের পর্যটন স্পটগুলো নিয়ে কথা বললেও কতৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।
সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রন (সিপিই) এর পরিচালক মুহম্মদ আবদুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘কক্সবাজারের কথাই যদি আমরা ধরি এখানে পর্যটন নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন পরিকল্পনা নেই। অপরিকল্পিত উপায়ে হোটেল মোটেল গড়ে উঠেছে। কতটুকু ধারণ ক্ষমতা রয়েছে সেই বিষয়ে আমাদের কোন গবেষণা নেই, নেই কোন পরিকল্পনা। একই চিত্র কুয়াকাটায়, সুন্দরবনে। প্রতি বছর কত পর্যটককে আমরা সুবিধা দিতে পারবো, কত পর্যটকের আগমন ঘটছে, এই পর্যটকের জন্য সুপেয় পানি, খাবার, বিদ্যুত, পয়নিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর সংস্থান করা, প্রাকৃতিক পরিবেশকে ক্ষতি না করে পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ণ ব্যতীত পর্যটন যেমন পরিবেশ বান্ধব হয়না তেমনি বিশ্ব মানেরও হয়না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও সুন্দরবনের বিনিয়োগ কী পরিবেশ বান্ধব হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোটোও না। কারণ এগুলোর কোনটিকেই পরিবেশকে সমুন্নত রেকে করা হয়নি। এখানে বিনিয়োগ হয়েছে লাভের আশায়।’
ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক সিইও জাবেদ আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ কেন বাংলাদেশে তো পর্যটনেই বিনিয়োগ নেই। পর্যটন খাতটি বড় অর্থনৈতিক খাত, এ খাতে বিনিয়োগ না বাড়ালে আমরা উন্নয়ন করতে পারবে না।’
‘কিন্তু দেশের যে বড় বড় ডেস্টিনেশনগুলোর (কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার) দিকে তাকান তাহলে দেখবেন সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে কোন ইনভেস্টমেন্টও নেই গ্রিন ইনভেস্টমেন্টের কোন কথাই নেই।’
‘দেশে পরিবেশকে সমুন্নত রেখে, পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রেখে যে বড় বড় রিসোর্টগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো দেখে আমার ভাল লাগে। বিশেষ করে অরুনিমা ইকো পার্ক, সাইরু হিল রিসোর্ট, ঢাকার কাছে সারা রিসোর্ট। তবে, আমাদের সুন্দরবনে, চা বাগানগুলোতে ও হেরিটেজগুলোতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নতুন করে হতে পারে। যার বেসরকারিভাবে দারুণ দারুণ রিসোর্ট করেছে বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব ইনভেষ্টমেন্ট হতে পারে।’ বলে মেন করেন তিনি।
পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কী:
ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘পর্যটনের জায়গাটা নানা রকম হতে পারে। এটা সি বিচ, হাওর বা রাতারগুল বা পাহাড় যেখানেই হোক পরিবেশ বান্ধব তখনই হবে পর্যটন যখন সেই শিল্পটা পরিবেশকে সমুন্নত রেখে করবে। অর্থাৎ যারা ওই পরিবেশের কোন ধরণের ক্ষতি করার চেষ্ঠা করবে না বরং পরিবেশটাকে কিভাবে প্রোমোট করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ সম্মতভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা আপনার বাড়ি-ঘর তৈরি করা থেকে শুরু করে সেখানকার যে এক্টিভিটিগুলো হবে সেখানে যেন প্লাক্টিকের ব্যবহার করা না হয়, সেখানে এমন কোন স্থাপনা তৈরি করা যাবেনা যেটা পরিবেশ নষ্ট করবে। পরিবেশ বান্ধব পর্যটন। এখন সেখানে যদি একটা ফাইভ স্টার হোটেল করেন সেটা তো পরিবেশ সম্মত হলো না। ববং কীভাবে পাহাড়টাকে প্রোটেক্ট করা যায় কর্মকান্ডে তখন সেটাকে পরিবেশ সম্মত বলা যায়।’
জীব বৈচিত্রকে সংরক্ষণ করা সেখানকার পানির ফ্লো-টা যেন ঠিকঠাক মতো থাকে এমনকি সেখানকার যে কমিউনিটি আছে সেই কমিউনিটির এক্টিভিটিজ যেন নষ্ট না হয় সেই কালচারটাকেও নষ্ট করা যাবেনা সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে- বলেন তিনি।
পরিবেশ নষ্ট না করে যারা বিনিয়োগ করবে এটাই পরিবেশ বান্ধ বিনিয়োগ।
দরকার সচেতনতা :
পর্যটনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে গেলে আমাদের পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে হবে। দেশে পর্যটকদের ধারণ করতে যে যে উপাদানগুলো দরকার, তার সবই আছে সেইসব উপাদান ধারণ করে পর্যটনকে প্রোমোট করতে হবে। দেশের পর্যটন প্রসারে প্রচারণার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে বলেছেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাট্রিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিআরআইএবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খবির উদ্দিন আহম্মেদ সংবাদকে বলেন, ‘১৪-১৫ বছর আগে ট্যুরিজমের ট ও ছিলনা, তবে এখন অবস্থা অনেক বদলে গেছে। এটার জন্য পাব্লিকলি এয়ারনেস দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে এই সেক্টরে আন্দোলনের ফলে আমরা হোটেল ও রিসোর্টকে আলাদাভাবে সঙ্গায়িত করতে পেরেছি। এই আলাদা হয়ে যাওয়ার ফলে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটা আইন আছে সেই আইনে কেউ যদি হোটেল বা রিসোর্ট করতে চায় তবে অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনুমতি নিতে হবে। সেখানে ওয়ান স্টার বা টু স্টার হোটেলের অনুমোন নিতে ডিসি আর থ্রি স্টার বা তার ওপরে নিতে গেলে মন্ত্রণালয় থেকে পারমিশন নিতে হবে।’